skip to Main Content
ডিজিটাল লার্নিংয়ে টিকটক স্টেম ফিড

ডিজিটাল অর্থনীতি এখন দ্রুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো এখানকার তরুণ প্রজন্ম। তবে শিক্ষার ক্ষেত্রে এই তরুণেরা সমান সুযোগ পাচ্ছেন না। কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এবং অঞ্চলভেদে শিক্ষার মান ভিন্ন হওয়ায় অনেকেই শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে পড়েন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি হিসেবে, টিকটকের দক্ষিণ এশিয়ার হেড অব পাবলিক পলিসি ও গভর্নমেন্ট রিলেশনস ফেরদৌস মোত্তাকিন রচিত এক আর্টিক্যাল থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

ওই আর্টিক্যালে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ব্যুরো অব এডুকেশনাল ইনফরমেশন অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৬৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করে। এসব অঞ্চলে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতঅর্থাৎ স্টেম বিষয়গুলোতে মানসম্মত শিক্ষা পাওয়া এখনো কঠিন। তবে আজকের ডিজিটাল যুগে এই ব্যবধান কমানো সম্ভব। টিকটকের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা বা ডিজিটাল লার্নিংয়ের মাধ্যমে এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যেতে পারে। কারণ প্রযুক্তি কখনোই বাধা নয়, বরং এটি নতুনভাবে শেখার সুযোগ তৈরি করে।

টিকটকের স্টেম ফিড

শিক্ষার প্রসারে বিশ্বজুড়ে টিকটক ‘স্টেম ফিড’ ফিচার চালু করেছে। এটি টিকটক অ্যাপের একটি ডেডিকেটেড স্পেস, যেখানে নির্ভরযোগ্য ও আকর্ষণীয় শিক্ষামূলক কনটেন্ট পাওয়া যায়। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও ক্রিয়েটরদের এক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করছে এই ফিড। শেখাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহজলভ্য ও আনন্দদায়ক করে তোলাই টিকটকের এই ফিচারের লক্ষ্য।

স্টেম কেবল পাঠ্যবিষয়ের জ্ঞানই তুলে ধরে না, এটি একইসঙ্গে উদ্ভাবনী চিন্তা ও মানসিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে শুরু করে ডিজিটাল হেলথ, কোডিং কিংবা রোবোটিক্সের মতো সমসাময়িক আবিস্কারগুলো স্টেম ফিডে উঠে আসে।

বাংলাদেশের অনেক গ্রামীণ ও উপশহর এলাকায় এসব বিষয় শেখার সুযোগ থাকলেও তা সীমিত পর্যায়ের। স্টেম ফিডের মাধ্যমে টিকটক সেই সীমাবদ্ধতা দূর করতে চায়। স্টেম ভিডিওগুলোতে ক্রিয়েটররা বাস্তব উদাহরণ ব্যবহার করে জটিল তত্ত্বগুলো সহজভাবে ব্যাখ্যা করেন। ফলে সংক্ষিপ্ত ও আকর্ষণীয় ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তির নানা দিক সহজেই জানতে পারছেন।

বিশ্বজুড়ে স্টেম-সম্পর্কিত কনটেন্টে ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গেছে এবং ইতিমধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিয়েটর ও বিজ্ঞানের শিক্ষকেরা এখন টিকটকে স্টেম বিষয়ক কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার করতে পারছেন।

ডিজিটাল লার্নিং

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে টিকটক সকলের জন্য তথ্য তুলে ধরার মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কৌতূহলী মনোভাবও গড়ে তুলছে। অন্যদিকে, কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য টিকটকের প্রয়োজনীয় টুল, প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা নিশ্চিত করছে নির্ভুল, সাবলীল এবং প্রাসঙ্গিক শিক্ষামূলক ভিডিওগুলো।

স্টেম ফিড শুধু ডিজিটাল লার্নিংয়ের সুবিধাই দিচ্ছে না; এটি ব্যবহারকারীদের সঠিক তথ্য চেনা, গঠনমূলক চিন্তা এবং দায়িত্বশীলভাবে অনলাইনে সম্পৃক্ত হতে উৎসাহিতও করছে। সঠিক তথ্য ও ব্যবহারকারীর নিরাপত্তাকে টিকটক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। নিরাপদ ও ইতিবাচক পরিবেশ নিশ্চিত করতে টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইন, বয়স-উপযোগী সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কনটেন্ট যাচাইকে এখানে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সবার জন্য শিক্ষা, সর্বত্র

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্টেম ফিডের মতো ডিজিটাল লার্নিং উদ্যোগগুলো বাংলাদেশের ডিজিটাল প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিচ্ছে। কারণ প্রযুক্তির মাধ্যমেই দেশের প্রতিটি প্রান্তে শেখার সুযোগ বিস্তৃত করা সম্ভব। ঢাকা, রংপুর বা খুলনা, যেখানেই হোক না কেন, উন্নতমানের শিক্ষাব্যবস্থা তরুণদের শেখার আগ্রহ বাড়াবে। ডিজিটাল লার্নিং শিক্ষামূলক কনটেন্টের প্রসারের মাধ্যমে সেই মানসম্মত শিক্ষা তরুণদের হাতের নাগালে নিয়ে আসছে।

শর্ট-ফর্ম ভিডিও এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়; বরং নতুন কিছু শেখার এক উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম। তরুণদের জন্য এটি হয়ে উঠছে এক নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্র। আজকের দিনে শিক্ষা আর শ্রেণিকক্ষের চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ নয়, ডিজিটাল জগতে উঠে আসছে নতুন আইডিয়া, শেখার নতুন ধরন ও সৃজনশীল গল্প।

টিকটকের মূল লক্ষ্য হলো সৃজনশীলতাকে অনুপ্রাণিত করা ও আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া। স্টেম ফিডের মাধ্যমে এই লক্ষ্য শিক্ষাক্ষেত্রেও বিস্তৃত হচ্ছে, যা হবে ইন্টার‍্যাকটিভ, সামাজিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।

  • ক্যানভাস অনলাইন
    ছবি: ইন্টারনেট এবং টিকটক-এর সৌজন্যে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top