skip to Main Content

হরাইজন

বিপর্যয়ে কেলভিন ক্লেইন

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কেলভিন ক্লেইনের বিজনেস কালেকশন ‘টু জিরো ফাইভ ডব্লিউ থার্টি নাইন এন ওয়াই সি’। এটি মূলত কেলভিন ক্লেইন কালেকশনের পরিবর্তিত নাম। এতে রয়েছে ব্র্যান্ডটির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সব ব্যবসাসফল ও ভিনটেজ ডিজাইন। এর মূল উদ্যোক্তা কেলভিন ক্লেইনের সাবেক ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর রাফ সিমন্স। তিনিই ২০১৭ সালে নাম পরিবর্তন করে টু জিরো ফাইভ ডব্লিউ থার্টি নাইন এন ওয়াই সি করেন। কিছু ডিজাইনেও আনেন ফিউশন ও নতুনত্ব। কিন্তু ২০১৮ তে তার প্রস্থানের পর ব্র্যান্ডটির স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান পিভিএইচ করপোরেশন কালেকশনটি নিয়ে নতুন করে ভাবা শুরু করে। পরিণতিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঘোষণা দেয় কালেকশনটির নতুন নামকরণের। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মার্চ মাসে ব্র্যান্ডটি জানিয়ে দেয়, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টু জিরো ফাইভ ডব্লিউ থার্টি নাইন এন ওয়াই সি।
কেলভিন ক্লেইনের এই ভিনটেজ ডিজাইন কালেকশন বন্ধ হওয়ায় চাকরি হারাচ্ছেন ব্র্যান্ডটির নিউইয়র্ক ও মিলান অফিসের মোট ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ব্র্যান্ডটির মিলান অফিসের সব কার্যক্রম এবং জুন নাগাদ নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন টু জিরো ফাইভ ডব্লিউ থার্টি নাইন এন ওয়াই সির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিশেল কেসলার স্যান্ডার্স।
হুট করে এই ব্যাপক পরিবর্তনের ব্যাপারে কেলভিন ক্লেইনের মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানান, মূলত সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে, নতুন ভাবনার উপস্থাপনের প্রয়াসেই ব্র্যান্ডটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও জানা যায়, রাফ সিমন্সের প্রস্থানের পর বিখ্যাত এই জায়ান্ট ফ্যাশন ব্র্যান্ডের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে তারা খোঁজ করছেন একজন দক্ষ ও বিখ্যাত ফ্যাশন ক্রিয়েটিভ হেড। তবে, কে হতে পারেন কেলভিন ক্লেইনের এই নতুন কর্তা, সে ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি।

কার্ল লেগারফেল্ড এক্সক্লুসিভ

লাক্সারি ব্র্যান্ড শ্যানেল সম্প্রতি আনুষ্ঠানিক সম্মান জানালো প্রয়াত ফ্যাশন ডিজাইনার ও শ্যানেলের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর কার্ল লেগারফেল্ডকে। ১৯৮৩ সাল থেকে প্রয়াণের আগ পর্যন্ত শ্যানেলের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবেই কাজ করেছেন এই জার্মান ফ্যাশন ডিজাইনার। বলা যায় তার কল্যাণেই শ্যানেল সাধারণ মানের একটি ফ্যাশন হাউজ থেকে জায়ান্ট ফ্যাশন ব্র্যান্ডে রূপ নিয়েছে। তাই তার অবদানের প্রতি শেষ ও বিশেষ সম্মান প্রদর্শনস্বরূপ অনুষ্ঠিত হয় শ্যানেলের ফল ২০১৯ শো। যার মূল থিম ছিল কার্ল লেগারফেল্ড’স ফাইনাল শ্যানেল কালেকশন।
লেগারফেল্ডের প্রয়াণের পর এটাই শ্যানেলের প্রথম শো। তাই পুরো অনুষ্ঠানটিই উৎসর্গ করা হয় কার্ল লেগারফেল্ডকে। যেখানে প্রদর্শিত হয় তার সব এক্সক্লুসিভ শ্যানেল কালেকশন। অনুষ্ঠানের প্রথমেই এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর গ্যালারির অডিও সিস্টেমে ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় বেজে ওঠে লেগারফেল্ডের একটি সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ। যেখানে ফ্যাশন ও ডিজাইনিং নিয়ে নিজের ভাবনা ও অনুভূতি ব্যক্ত করছিলেন। সম্মান জ্ঞাপনের পরপর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। উপস্থাপনায় ছিলেন জনপ্রিয় ইংলিশ মডেল ও অভিনেত্রী কারা দেলেভিন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন লেগারফেল্ডের খুব কাছের মানুষ। প্রথমেই র‌্যাম্পে আসেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন লেগারফেল্ডের কাছের বন্ধু কেট ম্যাকনিল, মারিয়াকার্লা বস্কোনো, আনা উইন্টোরসহ অনেকে। চমক হিসেবে ছিলেন পেনেলোপে ক্রুজও। সবার পরনেই ছিল কার্ল লেগারফেল্ডের ডিজাইন করা ক্ল্যাসিক শ্যানেল আউটফিট। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে সবাইকে নিয়েই মঞ্চে হাজির হন দেলেভিন। সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন শ্যানেলের নতুন ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ভার্জিনি ভিয়ার্ডকে। নিজের উত্তরসূরি হিসেবে তাকেই ঠিক করে গিয়েছিলেন লেগারফেল্ড।

মাইকেল জ্যাকসন ইন্সপায়ার্ড কালেকশন

লুই ভিতোঁর ফল ২০১৯ কালেকশন নিয়ে হাজির হলেন ভার্জিল আবোলোহ। কালেকশনটি মার্কিন পপতারকা মাইকেল জ্যাকসনের ফ্যাশন থেকে অনুপ্রাণিত। যেখানে মূলত দেখা যায় গ্রাফিক ক্রুনেক টি-শার্ট, ডায়মন্ড-সংবলিত হাতমোজা, হ্যান্ডব্যাগ ইত্যাদি। কালেকশনটি ব্যাপক সাড়াও ফেলে। কিন্তু বিপত্তি বাধে টিভি চ্যানেল এইচবিওর ডকুমেন্টারি ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’মুক্তির পর। এখানে অভিযোগ আনা হয়, প্রয়াত এই পপতারকা যৌন নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং তার শিকার হয়েছিল দুই কিশোর। এরপর লুই ভিতোঁ সরিয়ে ফেলে কিং অব পপ থেকে অনুপ্রাণিত এই কালেকশন। এ সম্পর্কে ভার্জিল আবোলোহ একটি সংবাদ সংস্থাকে জানান, মূলত মাইকেল জ্যাকসনকে আধুনিক ফ্যাশনের প্রতীক বিবেচনা করেই কালেকশনটি তৈরি হয়েছিল। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্কে নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top