রাম্বুটান। লিচুর মতো দেখতে এ ফলের আদি নিবাস ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া। রাম্বুটান নামটির উৎপত্তি হয়েছে ইন্দোনেশিয়া থেকে। রাম্বুটান অর্থ রোম বা আঁশ। এ ফলের বাইরের দিকে লম্বা চুলের মতো আঁশ দিয়ে আবৃত বিধায় ফলটির এমন নামকরণ।
রাম্বুটানগাছ ১২ থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এ ফলের খোসার রং লাল। ফলের ভেতরের খাদ্য উপযোগী অংশের রং সাদা। প্রতিটি ফলের ওজন গড়ে প্রায় ২৭ গ্রাম। এ ফল নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। চলুন, জেনে নিই এর গুণের ফিরিস্তি।
রোগ প্রতিরোধ করে: উচ্চ পুষ্টিমানসমৃদ্ধ ফল রাম্বুটানে শর্করার পরিমাণ থাকে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এতে হজমযোগ্য আঁশ থাকে ১ শতাংশ। এ ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বিদ্যমান, যা রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে সহায়তা করে।
ওষুধ হিসেবে: শরীরের কাটাছেঁড়া সারাইয়ের কাজে এ ফল ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া জ্বর কমানো, আমাশয় রোগ প্রতিরোধে রাম্বুটান ফল দারুণ কার্যকর। এ ফল ডায়রিয়া প্রতিরোধক ও কৃমিনাশক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ সব ছাড়াও কাশি, পেটব্যথা, টিউমার এবং গ্লান্ডের বৃদ্ধি দমনের ক্ষেত্রেও রাম্বুটান কার্যকর।
অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট: ঔষধি গুণসম্পন্ন রাম্বুটান। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বিদ্যমান, যা শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয়। এতে প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার ও খনিজ রয়েছে। এসব ছাড়াও এতে আছে গ্যালিক অ্যাসিড, যা শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলস বা রোগ সৃষ্টিকারী র্যাডিকেলস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী: রাম্বুটান ফলে ফসফরাস বিদ্যমান। এটি হাড় ও দাঁতের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে: এ ফল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান শরীরকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কাজ করে।
বাংলাদেশে বর্তমানে এ ফলের চাষ হচ্ছে। যেকোনো সুপারশপেই এ ফল পাওয়া যায়।