skip to Main Content

ফিচার I বিউটি হাইলাইট ২০২১

করোনাভাইরাস বাস্তবতায় বছরজুড়েই স্কিনিমালিজমের দাপট ছিল সৌন্দর্যবিশ্বে। প্রকৃতপ্রাণিত হয়ে ওঠার ঝোঁকও বেড়েছে সচেতনদের মাঝে। পাল্টে গেছে বছরপুরানো সব সৌন্দর্যরীতি। শামিল হয়েছে নতুন সব ট্রেন্ড। তারই সালতামামি ফাহমিদা শিকদারের লেখায়

প্যান্ডেমিকের সময়ে বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে বড় রদবদল এসেছে। কারণ, ওই সময় অনেকের চিন্তাভাবনায় এসেছে বড় পরিবর্তন। এখন মেকআপ ছেড়ে মানুষ স্কিনকেয়ারের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বছরজুড়ে বিউটি ট্রেন্ডে গুরুত্ব পেয়েছে নানা রকমের স্কিনকেয়ার। তাই বলে মেকআপ কিন্তু স্পটলাইট থেকে হারিয়ে যায়নি।
স্কিনিমালিজম
নিঃসন্দেহে এ বছরের সবচেয়ে বড় বিউটি ট্রেন্ড স্কিনিমালিজম। এর ধারণাটি একদম সহজ: খুব অল্প কিন্তু কার্যকর স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টের সাহায্যে ত্বকের যত্ন নেওয়া এবং অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার না করে নিজ ত্বকের স্বাভাবিক টোন ও টেক্সচারে তৃপ্ত থাকা। কারণ, ‘পারফেক্ট স্কিন’ একটি মিথ ছাড়া কিছুই নয়। কোরিয়ান স্কিনকেয়ারের জনপ্রিয়তার সুবাদে কয়েক বছর দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছে টেন টু টুয়েলভ স্টেপ বিউটি রুটিন। বেশির ভাগ সৌন্দর্যমোদীর ধারণা ছিল, যত বেশি প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হবে, ত্বক হয়ে উঠবে তত সুন্দর ও নিখুঁত। তাই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে, স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টে ড্রেসিং টেবিল বা বাথরুম ক্যাবিনেট ভরিয়ে ফেলা স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছিল। সত্যি বলতে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য এমন লাক্সারিয়াস, ম্যাক্সিমালিস্ট বিউটি রুটিনের প্রয়োজন নেই। ডার্মাটোলজিস্ট ও বিউটি এক্সপার্টরাই এই কথা বলছেন।
ত্বকের যত্নে কেবল ক্লিনজার, ময়শ্চারাইজার ও সানস্ক্রিনই যথেষ্ট। অতিরিক্ত শুষ্কতা বা তৈলাক্ত ভাব, একনে, রিংকেলের মতো সমস্যা থাকলে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট সমৃদ্ধ সেরাম লাগানো যেতে পারে। ত্বক অনুযায়ী মাসে দু-চারবার এক্সফোলিয়েটর ও ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এ দুটো স্কিনকেয়ার এসেনশিয়াল ঘরোয়াভাবে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বানানো যায়। এসবের পাশাপাশি দীপ্তিময়, বলিরেখামুক্ত ত্বকের জন্য কিছু স্কিনকেয়ার প্র্যাকটিসও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। যেমন ফেস ইয়োগা, স্কিন ফাস্টিং, ফেস ম্যাসাজ ইত্যাদি। হেয়ারকেয়ার রুটিনও হয়েছে মিনিমাল। সপ্তাহে চার দিন শ্যাম্পু ও দুই দিন তেল দিলেই চলে। বাড়তি পুষ্টির জন্য সপ্তাহে একবার প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি নারিশিং হেয়ার মাস্ক লাগাতে হবে। ড্যামেজ হেয়ার রিপেয়ারে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার বা সেরাম মাস্ট!
এই বছর অনেকেই নিজেদের রূপ রুটিন থেকে অপ্রয়োজনীয় স্কিন, হেয়ার ও মেকআপ প্রোডাক্ট বাদ দিয়েছেন। কারণ, অতিমারি সবাইকে চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করেছে। অনেক বিউটি ব্র্যান্ড স্কিনিমালিজম ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নানা রকমের মাল্টিটাস্কিং প্রোডাক্ট বাজারে আনছে। যেমন, টু-ইন-ওয়ান ক্লিনজার, টিন্টেড সানস্ক্রিন, অল-পারপাস ক্রিম (ময়শ্চারাইজার, লিপ বাম, আই ক্রিম ও হেয়ার মাস্ক), টু-ইন-ওয়ান ফাউন্ডেশন অ্যান্ড কনসিলার, ময়শ্চারাইজার উইথ এসপিএফ, শ্যাম্পু প্লাস কন্ডিশনার, লিপ অ্যান্ড চিক টিন্ট, ব্লাশন/আইশ্যাডো ইত্যাদি। এ ধরনের মাল্টিপারপাস প্রোডাক্টের চাহিদা বেড়েই চলেছে। বিউটি এক্সপার্টদের মতে, চলতি বছর ছিল কেবল স্কিনিমালিজমের শুরু। দিন যত যাবে, তত বেশি মানুষ রূপচর্চার এই ধারা আপন করে নেবে।
স্লো বিউটি
শুধু এই বছর নয়, আসছে বছরগুলোরও অন্যতম সেরা বিউটি ট্রেন্ড হতে চলেছে এটি। কারণ, মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন। সৌন্দর্যচর্চার এই টেকসই পন্থা ত্বকের পাশাপাশি পরিবেশের জন্যও আশীর্বাদস্বরূপ। স্লো বিউটিতে প্রোডাক্ট বানানো ও প্যাকেজিংয়ের উপাদানগুলো এমনভাবে সংগ্রহ করা হয়, যাতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না হয়। সাসটেইনেবল পদ্ধতিতে যত্নের সঙ্গে বানানো এসব প্রোডাক্ট ত্বকও ভালো রাখে। এ ছাড়া অনেক ব্র্যান্ড এখন প্যাকেজিংয়ের জন্য পরিবেশবান্ধব পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করছে; যেমন কাচ, ইকো-রেসিন, বাঁশ, ওশেন প্ল্যাস্টিক প্রভৃতি। কিছু ব্র্যান্ড প্রোডাক্ট রিফিলের ব্যবস্থা রেখেছে। আর তাতে বর্জ্যও কম হচ্ছে। এভাবে সাসটেইনবল স্কিনকেয়ার ও মেকআপ প্রোডাক্ট পরিবেশে ভালো প্রভাব ফেলছে।
ডি-স্ট্রেসিং স্কিনকেয়ার
মানসিক চাপ বা উদ্বেগ—কোনোটাই ত্বকের জন্য ভালো নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলে তার শরীর কর্টিসল নামের এক ধরনের হরমোন তৈরি করে, যা কর্টিকোট্রফিন বা সিআরএইচ নির্গত করে। অতিরিক্ত মানসিক চাপে সিআরএইচ ওভারড্রাইভে চলে যায়। এর ফলে ত্বকের সেবেশিয়াস গ্রন্থি অতিরিক্ত তেল নির্গত করে। অত্যধিক তেল রোমকূপ বন্ধ করে, ব্রণের প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া ত্বকের ছোপ ছোপ দাগ, রুক্ষতা, ইনফ্ল্যামেশন, ডার্ক সার্কেল, প্রিম্যাচিউর রিংকেল ইত্যাদির মতো সমস্যা সৃষ্টিতে মানসিক চাপ ও উদ্বেগের দায় রয়েছে। প্যান্ডেমিকের সময়টা সবার জন্য খুব বেশি স্ট্রেসফুল ছিল। তাই সে সময় ঘরে থেকেও অনেকে ত্বকের নানা সমস্যায় ভুগেছেন। মহামারির সময়কার সেই মানসিক চাপ এখনো আছে। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত, চাপমুক্ত রাখতে স্কিনকেয়ার রুটিন ভালো ভূমিকা রাখে। স্কিনকেয়ার রুটিনের এই স্ট্রেস রিলিফের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে, স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ডগুলো প্রাকৃতিক ডি-স্ট্রেসিং আর রিলাক্সেশন উপাদান যেমন ল্যাভেন্ডার, হলি বেসিল, ক্যামোমাইল, রোজ অব জেরিকো, টি ট্রি অয়েল, আরনিকা ইত্যাদি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছে। যত দিন যাচ্ছে, এ ধরনের পণ্যের কাটতি বাড়ছেই।
নেক্সট-জেন সাপ্লিমেন্ট
সুস্থ, সুন্দর ত্বকের জন্য কেবল টপিক্যাল স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টের ওপর ভরসা করার দিন শেষ। এখন সবাই জানে, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক পেতে হলে ভেতর থেকে পুষ্টি জরুরি। এই পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য স্কিন ডায়েটের সঙ্গে যোগ হচ্ছে স্কিন সাপ্লিমেন্ট। সম্প্রতি কিছু পশ্চিমা বিউটি ব্র্যান্ড ভিটামিন বি, সি, ডি, ই, প্রোবায়োটিক ও কোলাজেনে ভরপুর সাপ্লিমেন্ট বাজারে এনেছে। এসব পুষ্টি উপাদান ত্বক উজ্জ্বল ও টান টান রাখতে সাহায্য করে। বিউটি ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য স্কিন সাপ্লিমেন্টগুলো বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ক্যাপসুলের জায়গা দখল করেছে হাই-পাওয়ারড গামিস ও পাউডার। এগুলোকে এখন বলা হচ্ছে স্কিন কেয়ার সাপ্লিমেন্টের নেক্সট জেনারেশন। বিউটি এক্সপার্ট ও ডার্মাটোলজিস্টদের মতে, ভবিষ্যতে স্কিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ রূপচর্চার একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠবে।
পারসোনালাইজড স্কিনকেয়ার
এটি এ বছরের অন্যতম আলোচিত বিউটি ট্রেন্ড। ত্বকের ধরন, সমস্যা বা চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজড স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট বানিয়ে নেওয়ার ধারণাটি অবশ্য একেবারেই নতুন নয়। বেশ কয়েক বছর আগে বিউটি ওয়ার্ল্ডে এর আগমন ঘটেছে। খুব ধীরে হলেও এমন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশেষায়িত এসব প্রোডাক্টের জন্য ব্র্যান্ড অনুযায়ী মাসে গড়ে ২৫ থেকে ১৪৫ ডলার পর্যন্ত সাবস্ক্রিপশন ফি দিতে হয়। খরচটা শুনে অনেক বেশি মনে হলেও আদতে এটি বেশ সাশ্রয়ী। কারণ, আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন, যারা জানেন না নিজের ত্বকের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী কোন ধরনের পণ্য ব্যবহার করা উচিত। ফলে একের পর এক নানা রকমের স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট কিনে ট্রায়াল দিয়ে ত্বক ও পকেট—দুয়েরই অবস্থা বারোটা! অন্যদিকে বেসপোক স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টগুলো কাস্টমারভেদে আলাদাভাবে সায়েন্টিফিক ল্যাবে ফরমুলেট করা হয়। এর আগে ব্র্যান্ডগুলো অনলাইন কুইজের মাধ্যমে কাস্টমারদের ত্বকের ধরন, সমস্যা, স্কিন গোল, ডায়েট, লাইফস্টাইল ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে নেয়। এভাবে তারা পারসোনাল প্রোডাক্টগুলো বানায়, যা নির্দিষ্ট ত্বকের জন্য একদম পারফেক্ট। এতে ত্বকের সুরক্ষা তো হয়ই, বাঁচে সময় আর খরচ। বর্তমানে শীর্ষস্থানীয় বিসপোক স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ক্লিনিক আইডি, কিউরোলজি, রোরি, ফাংশন অব বিউটি, স্কিনসিউটিক্যাল, স্কিনসেই।
মাইক্রোবায়োম-ফ্রেন্ডলি স্কিনকেয়ার
ত্বকের উপরিপৃষ্ঠে হাজার রকমের মাইক্রোবায়োম থাকে, যা ‘স্কিন ফ্লোরা’ নামে পরিচিত। এগুলোকে নিয়ে গত কয়েক বছরে অনেক গবেষণা হয়েছে। ত্বকের জন্য এসব বেশ উপকারী। মাইক্রোবায়োমের রয়েছে নিজস্ব ইকোসিস্টেম। এটি ত্বককে পরিবেশের খারাপ প্রভাব, বিভিন্ন রকমের ইনফ্ল্যামেশন, সংক্রমণের হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। এদের এই গুণাগুণকে কাজে লাগাতে এখন স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ডগুলো মাইক্রোবায়োমবান্ধব প্রোডাক্ট তৈরির দিকে ঝুঁকেছে। বায়োটেকনোলজির সাহায্য প্রোবায়োটিক, প্রিবায়োটিক ও পোস্টবায়োটিক ব্যবহার করে বানানো হচ্ছে ময়শ্চারাইজার, ক্লিনজার, সানস্ক্রিন, সেরামসহ অনেক কিছু। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এ বছর মাইক্রোবায়োম ফ্রেন্ডলি স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টের বিক্রি অনেক বেড়েছে। কারণ, এখন সবাই জানে, স্কিনের মাইক্রোবায়োম ঠিক থাকলে জটিল কোনো সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি নেই।
সেলিব্রিটি স্কিনকেয়ার
ট্রেন্ডটা খুব নতুন নয়। প্রতিবছরই দেখা যায়, কোনো না কোনো বিখ্যাত সেলিব্রিটি স্কিনকেয়ার ও মেকআপ ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০২১ সালেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এ বছর এই খাতায় নাম লেখানো সেলিব্রিটিদের তালিকা বেশ দীর্ঘ। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জেনিফার লোপেজ (জে লো বিউটি), হালসে (অ্যাবাউট-ফেস), প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোন্স (অ্যানোমালি), বেকি জি (ত্রেসলুসে), জেনিফার অ্যানিস্টন (লোলাভিয়ে), এলেন ডিজেনেরাস (কায়েন্ড সায়েন্স) প্রমুখ।
মেকআপ ট্রেন্ড
স্কিনিমালিজমের জন্য মোটামুটি সবাই ভারী মেকআপ থেকে সরে এসে, সিম্পল ন্যাচারাল গ্লোয়িং স্কিনের দিকে ঝুঁকেছেন। তাই মেকআপ ট্রেন্ডের শীর্ষে আছে ন্যাচারাল স্কিন লুক। এখন আর কেউ ফুল কভারেজ ফাউন্ডেশন, অতিরিক্ত কনসিলার দিয়ে স্কিন টেক্সচার, ফ্রেকলস এমনকি চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল ঢাকার ধারেকাছেও যাচ্ছেন না। মেকআপ করতে লাইট কনসিলার, বিবি বা সিসি ক্রিম, হাইলাইটার অথবা টিন্টেড ময়শ্চারাইজার বা সানস্ক্রিনের মতো শিয়ার ফর্মুলা ব্যবহৃত হচ্ছে বেশি। পাশাপাশি ট্রেন্ডে আবার ফিরে এসেছে ‘নো-মেকআপ মেকআপ’ লুক।
গত বছরের মতো এবারও সবাই চোখের সাজকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ, কোভিড থেকে সুরক্ষার জন্য মাস্ক পরা এখনো বাধ্যতামূলক। চোখ সাজাতে রঙের ব্যবহার বেড়েছে। তাই গ্রাফিক আইলাইনার কালারফুল মাসকারা, কালারফুল আইলাইনার, বিশেষ করে ইলেকট্রিক ব্লু লাইনার, ব্রাইট আইশ্যাডো, মাল্টিকালারড আইশ্যাডো খুব চলছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্ল্যাসিক ক্যাট-লাইনার লুক।
তাই বলে এ বছর ঠোঁটের সাজকে একেবারেই হেলাফেলা করা হয়নি। ট্রেন্ড মাতাচ্ছে রেড-অরেঞ্জ, বারগেন্ডি ও পিচ—এই তিন রঙের ঠোঁট। যারা মাস্কের নিচে ফুল কভারেজ লিপ কালার বা গ্লস লাগাতে চান না, তাদের জন্য আছে স্টেইনড লিপ। ঠোঁটে লিপস্টিক টিস্যু পেপার দিয়ে ব্লট করে রিঅ্যাপ্লাই করতে হবে। এরপর আবার ব্লোট করলেই রেডি পারফেক্ট স্টেইনড লিপ।

মেকওভার: পারসোনা
ছবি: ক্যানভাস আর্কাইভ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top