অ্যাডভার্টোরিয়াল I লেকসিটি কনকর্ড: রুচি ও নিরাপত্তায় আপোসহীন আবাসন
‘ব্যস্ততা আমাকে দেয় না অবসর…’—ব্যান্ডের জনপ্রিয় রোমান্টিক এ গানের শুরুর পঙ্ক্তিটুকু আধুনিক নাগরিক জীবনের অন্তস্তলের বার্তা যেন ফুটিয়ে তোলে। তবু ঘড়ির কাঁটায় মুখ গুঁজে দৌড়ে চলা মানুষের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য থাকা চাই নিজের একটা জায়গা। তার সেই দম ফেলার সেরা জায়গা হলো নিজের আবাস। ফলে এই স্থানকে হতে হয় আরামদায়ক ও নিরাপদ। তা ছাড়া বাসস্থান মানুষের রুচি এবং ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন ঘটায়। এ কারণে নিজের বসবাসের জায়গা তৈরির ক্ষেত্রে সামান্যতম ছাড় দিতেও কেউ নারাজ, এমনটাই স্বাভাবিক।
রুচি, বিলাস ও নিরাপত্তার শতভাগ নিশ্চিত করতে পারবে—মানুষ এমন প্রতিষ্ঠানকেই খোঁজে গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে। এ বিষয়ে আস্থার অপর নাম হয়ে উঠেছে কনকর্ড। দীর্ঘ ৪৭ বছর ধরে সুনাম ও দায়িত্ববোধ অক্ষুণ্ন রেখে পথ চলছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রায় পাঁচ দশকের এই বিশ্বস্ত পথচলায় ১২ হাজারের বেশি প্রকল্প গ্রাহকদের হাতে যথাসময়ে শতভাগ নিখুঁতভাবে হস্তান্তর করতে হয়েছে সক্ষম। গ্রাহকদের সন্তুষ্টিই তাদের মূল পাথেয়। সেই উৎসাহকেই সঙ্গী করে প্রতিষ্ঠানটি শুরু করে ‘লেকসিটি কনকর্ড’ প্রকল্প। মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান আবাসন চাহিদা বিবেচনায় রেখে এর সূত্রপাত। কংক্রিটের জঙ্গল নয়, সুনিপুণ যত্ন ও মমতায় রাজধানীর খিলক্ষেতে বিশাল এলাকার ওপর গড়ে ওঠা এই নয়নাভিরাম প্রকল্পই দেশের প্রথম স্যাটেলাইট টাউন। এটি নির্মাণে পরিবেশ রক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেছে কনকর্ড। পরিবেশবান্ধব কংক্রিট ব্লকে তৈরি এ টাউনে অ্যাপার্টমেন্ট ছাড়াও রয়েছে শপিং মল, স্কুল, মসজিদ, খেলার মাঠ, শিশু পার্ক, জিমনেসিয়াম, রেস্তোরাঁ, কমিউনিটি সেন্টার এবং আরও অনেক কিছু। ক্লান্তিকর কোলাহল পেরিয়ে, খোলামেলা ও নিরিবিলি পরিবেশে গড়ে ওঠা এই প্রকল্পে ভবন রয়েছে ১৫টি। ২০০৪ সাল থেকে এখানে নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে বসবাস করছেন বাসিন্দারা। এ ছাড়া ‘শাপলা’ নামে আরেকটি নতুন ও আধুনিক ভবন নির্মিত হচ্ছে এই টাউনে, যেখানে রয়েছে ১২০০ থেকে ১৪০০ বর্গফুটের আধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ অ্যাপার্টমেন্ট। যারা এখানে নিজের আবাস গড়তে চান, তাদের জন্য সুখবর! দৃষ্টিনন্দন সব বিল্ডিংয়ে বিক্রির জন্য খালি রয়েছে অল্প কিছু অ্যাপার্টমেন্ট।
‘কনকর্ড লেকসিটি’তে মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে মাত্র ৬ লাখ টাকায় গ্রাহকদের কাছে ফ্ল্যাট হস্তান্তর শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। এখানে বর্তমানে ফ্ল্যাটের সংখ্যা চার হাজারের বেশি। ইতোমধ্যে আড়াই হাজারের বেশি ফ্ল্যাট হস্তান্তর হয়ে গেছে, যেখানে সব নাগরিক সুবিধা গ্রহণ করে বসবাস করছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। পুরো টাউনে অ্যাকুয়া বায়োপ্ল্যান্টের মাধ্যমে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা করেছে কনকর্ড। রয়েছে প্রশস্ত ও তিনতলা মসজিদ। এই স্যাটেলাইট টাউনে বসবাসরতদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য হাতের নাগালে এনে দিতে লেকসিটি শপিং মলে রয়েছে ৩৯৯টি দোকান। পুরো টাউনকে প্রশাসনিক ও প্রযুক্তিগত সুবিধা দেওয়ার জন্য রয়েছে লেকসিটি অফিস।
সমকালীন মানুষ স্বাস্থ্যসচেতন। সুস্থ থাকতে ডায়েট ও জিম তাদের নিত্যসঙ্গী—বিষয়টি মাথায় রেখেই নির্মাণ করা হয়েছে লেকসিটি জিমনেসিয়াম। এখানে রয়েছে স্টিম বাথ, জ্যাকুজি, এসপিএ, জুস কর্নার, ইউটিলিটি ইত্যাদি সুবিধা; আরও রয়েছে নারী ও পুরুষের জন্য শরীরচর্চার আলাদা ব্যবস্থা। আছে রেস্তোরাঁ। তাই পরিবার নিয়ে বাইরে খেতে চাইলে এই স্যাটেলাইট সিটির বাইরে যেতে হবে না। চায়নিজ কুজিনের পাশাপাশি বাংলা খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে এই রেস্তোরাঁয়। লেকসিটি কনকর্ডে আরও আছে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী পরিচালিত মানসম্মত স্কুল, যেখানে সন্তানকে পড়ানো যাবে প্লে গ্রুপ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত। আধুনিক নাগরিক জীবনে স্বভাবতই স্কুলের ক্ষেত্রে সন্তানের নিরাপত্তার বিষয়ে অভিভাবকেরা বেশি খেয়াল রাখেন। স্যাটেলাইট টাউন হওয়ায় লেকসিটিতে রয়েছে শতভাগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই টাউনে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘণ্টা করে নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয় বাসিন্দাদের। পুরো প্রকল্পটি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন। শিশুদের মনন বিকাশে খেলাধুলার জন্য এখানে রয়েছে বেশ কিছু খেলার মাঠ ও শিশু পার্ক। তা ছাড়া রয়েছে প্রশস্ত হাঁটার পথ।
লেকসিটির প্রতিটি বিল্ডিংয়ে রয়েছে সার্বক্ষণিক অভ্যর্থনা পরিষেবা। লিফট, জেনারেটর ও ইন্টারকম সার্ভিসও প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা সচল। বিল্ডিং চত্বরের জন্য নিজস্ব আবর্জনা পরিষ্কারের সেবাও রয়েছে এখানে। এককথায়, একটি আধুনিক সোসাইটিতে বাসিন্দাদের প্রয়োজন মেটাতে যা যা প্রয়োজন, সবকিছুর ব্যবস্থাই রয়েছে কনকর্ডের এই লেকসিটিতে।
এই সিটির প্রতিষ্ঠাতা প্রতিষ্ঠান কনকর্ডের পথচলার ইতিহাস বেশ ঋদ্ধ। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়কালে, ১৯৭৫ সালে যাত্রা শুরু প্রতিষ্ঠানটির। সর্বপ্রথম প্রকল্প ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ধ্বংসপ্রাপ্ত ছয়টি ব্রিজ মেরামত। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ স্থাপত্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ মাত্র ৮৯ দিনে নির্মাণ করে কনকর্ড। এর পাশাপাশি জীবন বীমা ভবন, জনতা ব্যাংক ভবন, শিল্প ব্যাংক ভবন, বাংলাদেশের প্রথম টপ-ডাউন টেকনোলজিতে নির্মিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, ইনডোর স্টেডিয়াম, হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মেইন প্যাসেঞ্জার বিল্ডিং এবং ভিভিআইপি টার্মিনাল ছাড়াও বাংলাদেশের প্রথম হাই-রাইজ, বেজমেন্টসহ ভবন নির্মাণ করে এ দেশের আধুনিক নির্মাণশিল্পে অনন্য ভূমিকা রেখেছে কনকর্ড। শুধু তা-ই নয়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সিঙ্গাপুরে ৭২০ ফুট উচ্চতার সিংটেল টেলিকম বিল্ডিংও কনকর্ডেরই নির্মাণ।
বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশে কনকর্ডই সর্বপ্রথম গ্রিন ব্রিক উৎপাদন শুরু করে। পরিবেশ দূষণ রোধে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার এই প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২০-এ ভূষিত করেছে। যাত্রা শুরুর পর থেকে কনকর্ডের লক্ষ্য ছিল দেশের অর্থনীতিতে যথাযোগ্য ভূমিকা রাখা। সেই ধারাবাহিকতা দারুণভাবে ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। ভবিষ্যতেও রাখবে।
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছবি: কনকর্ডের সৌজন্যে