অ্যাডভার্টোরিয়াল I শূন্য থেকে সৃষ্টির স্বপ্ন
কথিত আছে, ‘অভিজ্ঞতাই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক’। প্রাচীন এই প্রবাদ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যারা ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে রয়েছেন; বিশেষত এখনো শিক্ষানবিশ এবং প্রশিক্ষণের ভেতর দিয়ে যাওয়া রিয়েল এস্টেট সেক্টরের নেতৃত্বে কাজ করছেন; তাদের অগ্রগতি, শক্তিমত্তা ও কল্পনাশক্তি বাড়ানোর নেপথ্যে অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তরুণদের নিজস্ব ভবিষ্যৎ ভাবনার ক্ষেত্রে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে যোগদান তাদের পেশাগত বৈশিষ্ট্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিজাইন, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং, প্রকিউরমেন্টসহ রিয়েল এস্টেটে তাদের আগ্রহের ক্ষেত্রগুলোতে প্রতিষ্ঠালাভের ইচ্ছাও একই রকম ভূমিকা রাখে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই শিক্ষালাভের রয়েছে একটি অতুলনীয় দায়িত্ববোধ। বর্তমান সময়ে রিয়েল এস্টেট বিজনেসকে একটি সম্ভাবনাময় ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে গণ্য করে বিশ্বব্যাপী অনেক তরুণই এই সেক্টরে আগ্রহী হচ্ছেন এবং নিজেদের বিকাশ ঘটাতে চাচ্ছেন।
বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এ দেশে আবাসনশিল্পে রয়েছেন বেশ কয়েকজন তরুণ পথিকৃৎ। রূপায়ণ গ্রুপের এজিএম (হেড অব অপারেশনস, মার্কেটিং অ্যান্ড মিডিয়া) শরিফুল ইসলাম তারেক তাদের একজন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শরিফুল ইসলাম তারেক দেশের রিয়েল এস্টেটের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। আসুন, রূপায়ণ গ্রুপ এবং সামগ্রিক উন্নয়নে তার অবদান সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
শরিফুল ইসলাম তারেক জানান, দেশের আবাসনশিল্পে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নাম। একটি সমৃদ্ধশীল ভবিষ্যতের জন্য প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে। জনবহুল শহরের নাগরিকদের জন্য উন্নত আবাসন সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। দেশের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে পালন করছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা।
‘রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড ক্রেতাদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। মানুষের জন্য উন্নত জীবনযাপনের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে সব সময় কাজ করে যাচ্ছি আমরা। একই ছাদের নিচে ক্রেতাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এই প্রতিষ্ঠান। রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে নিজেদের প্রতিটি প্রজেক্টেই সব ধরনের প্রয়োজনীয় ও উন্নত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করছে,’ বলেন শরিফুল ইসলাম তারেক।
করোনাভাইরাস বাস্তবতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ভাইরাসের প্রভাব প্রতিটি সেক্টরেই পড়েছে। এ কারণে বহুদিন কাজকর্ম স্থবির ছিল। রূপায়ণ থেমে যাওয়ায় বিশ্বাসী নয়। তাই সামনে পা বাড়িয়েছে রূপায়ণ।’ জনাব তারেক জানান, প্যানডেমিকের কারণে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছে। এমন প্রতিকূল সময়ে ইনস্টলমেন্ট পরিশোধ করা অনেক ক্রেতার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তাই রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড তাদের কিস্তি পরিশোধ সহজ করার লক্ষ্যে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, তাদের জন্য ব্যাংক সহায়তার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
রিয়েল এস্টেট সেক্টরে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, স্বনামধন্য ও প্রথম সারির একটি কোম্পানি হওয়ার কারণে অ্যাপার্টমেন্ট কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতারা তাদের কোম্পানিকে বেছে নেবেন বলে শরিফুল ইসলাম তারেক খুবই আশাবাদী। তার মতে, আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন একটি সবুজ ও প্রাকৃতিক পরিবেশে পরবর্তী প্রজন্ম যেন মানসিক ও সামাজিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে, এমন পরিবেশ তৈরির জন্য বিনিয়োগ ও চেষ্টা করে যাচ্ছে রূপায়ণ।
এই কোম্পানির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রজেক্ট প্রসঙ্গে শরিফুল ইসলাম তারেক জানান, রূপায়ণ সিটি উত্তরা হলো বর্তমানে বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র প্রিমিয়াম মেগা গেটেড কমিউনিটি। শূন্য থেকে কোনো কিছু তৈরি করা সহজ কাজ নয়—তা জানা সত্ত্বেও, শূন্য থেকেই কোনো কিছু সৃষ্টির স্বপ্ন রূপায়ণের সব সময় ছিল। প্রজেক্টটি এখন দৃশ্যমান। এ ছাড়া রূপায়ণের বড় প্রজেক্টগুলোর মধ্যে রূপায়ণ টাউন, রূপায়ণ লেক ক্যাসেল অন্যতম।
প্যানডেমিকের সময়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সুরক্ষা দিতে যথাযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে রূপায়ণ। ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা জানান, হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন নিশ্চিতকরণ ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ব্রিফিংয়ের মতো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে তার কোম্পানি।
জনাব তারেক বলেন, রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড সব সময়ই কর্মীদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। তাদের পেশাগত মানোন্নয়নের জন্য রূপায়ণ বিভিন্ন সেমিনার, টাইম-টু-টাইম ব্রিফ এবং মোটিভেশনের ব্যবস্থা রাখে। তা ছাড়া তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ট্রেনিং সেশনেরও আয়োজন করা হয়।
শরিফুল ইসলাম তারেক বলেন, প্যানডেমিকের এই সময়ে আমাদের সবারই স্বাস্থ্যসচেতনতা জরুরি। সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি পরিবারকে সময় দেওয়া প্রয়োজন। আর অ্যাপার্টমেন্ট কেনার কথা যারা ভাবছেন, তাদের সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের প্রকল্পগুলোতে ঘুরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ