টেকসহি I জলাভূমি জ্যামিতি
২ ফেব্রুয়ারি। বিশ্ব জলাভূমি দিবস। জলাভূমির কেমন চিত্র এই ধরিত্রীর বুকে? এই ভূখণ্ডের কোলে? কেমন হওয়া বাঞ্ছনীয়? লিখেছেন সুস্মিতা চক্রবর্তী মিশু
২০২৩ সাল ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম বছর। সম্ভবত এক লাখ বছরের মধ্যে এই গ্রহ সবচেয়ে উষ্ণতার রেকর্ড গড়েছে গেল বছর, বলছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস। শুধু কি বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি? স্মরণকালের ভয়াবহ দুটি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে সদ্য অতীত হওয়া বছরটিতে। প্রচণ্ড দাবদাহ তো ছিলই; ঝড়, বন্যা, ভূমিধসও বেড়েছে ২০২৩ সালে। কিন্তু এক বছরের মধ্যে একসঙ্গে এত দুর্যোগ হওয়ার কী কারণ? জলাভূমি কমে যাওয়াই কি মূলে?
জলবায়ুর এমন পরিবর্তনের কারণ খুঁজতে গেলে কিন্তু জলাভূমির নামই উঠে আসে বারবার। মনে করা হয়, জলাভূমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় ছন্দপতন ঘটেছে প্রকৃতির তালে। তাতে সংকটও বাড়ছে লাগামহীনভাবে।
কেতাবি ভাষায় জলাভূমি বলতে জলে ডোবা নিচু ভূমিকে বোঝায়। সেই জল প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম—যেকোনো উৎস থেকেই আসতে পারে। সহজ কথায়, ছোট-বড় নানা আয়তনের পুকুর, বিল, ডোবা ও অন্যান্য জলে ঢাকা নিচু জমি, সমুদ্রের কাছাকাছি উপকূল অঞ্চলে অবস্থিত হ্রদ ও নিচু এলাকাকে জলাভূমির আওতায় রাখা হয়। অল্প স্রোতের অগভীর সামুদ্রিক এলাকাকেও (ছয় মিটারের কম গভীর) জলাভূমি হিসেবে গণ্য করা হয়। বৈশিষ্ট্যের বিচারে এর পানি স্থির হতে পারে, আবার গতিশীলও; এলাকা বা অবস্থানভেদে পানির স্বাদে থাকতে পারে তারতম্য। মিষ্টি বা স্বাদুপানি, আধা লবণাক্ত বা লবণাক্ত হতে পারে।
২ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক জলাভূমি দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে ইরানের রামসা শহরে পরিবেশবাদী সম্মেলনে জলাভূমির টেকসই ব্যবহার ও সংরক্ষণের জন্য ‘কনভেনশন অন ওয়েটল্যান্ডস’ নামে আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেটি রামসার কনভেনশন চুক্তি হিসেবেও পরিচিত। ১৯৭৫ সাল থেকে কার্যকর হয় চুক্তিটি। বাংলাদেশ এর সঙ্গে যুক্ত হয় ১৯৯২ সালে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৭১টি দেশ এই চুক্তিতে সই করেছে।
পৃথিবীর ১৬৯ মিলিয়ন হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ১ হাজার ৮২৮টি স্থানকে আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সুন্দরবন ১৯৯২ সালের ২১ মে রামসার স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। টাঙ্গুয়ার হাওরও ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি রামসার অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে রামসা অঞ্চলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দৌড়ে এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি হাকালুকি হাওর রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে জলাভূমি মানে ‘জলাভূমি আশ্রিত জীবনপ্রবাহ’। যার সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য জলজ জীব, পাখি, কীটপতঙ্গ ও মানুষ। জলাশয় কিংবা জলাভূমির কথা রাষ্ট্রের বিভিন্ন নথিতে উল্লেখ আছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম জাতীয় পানি নীতি। এই নীতির (১৯৯৯) ৪.১৩ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘হাওর, বাঁওড় ও বিলজাতীয় জলাভূমিগুলো বাংলাদেশের আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যের ধারক এবং এক অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দিক থেকে এগুলোর গুরুত্ব অসীম। হাওর ও বাঁওড়গুলোতে শুষ্ক মৌসুমেও যথেষ্ট গভীরতায় পানি থাকে; তবে ছোট বিলগুলো সাধারণত চূড়ান্ত পর্যায়ে আর্দ্র ভূমিতে পরিণত হয়। এই বিলগুলো প্লাবনভূমির নিম্নতম অংশ। এই জলাশয়গুলো আমাদের প্রাকৃতিক মৎস্যসম্পদের সিংহভাগের উৎস এবং নানা ধরনের জলজ সবজি ও পাখির আবাসস্থল। তা ছাড়া শীত মৌসুমে উত্তর গোলার্ধ থেকে আগত অতিথি পাখিদের নির্ভরযোগ্য আশ্রয়। হাওর ও বিলগুলো খালের মাধ্যমে নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। অতীতে প্রকৌশলগত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে অনেক বিলকে তাৎক্ষণিক ফসল লাভের জন্য নিষ্কাশিত আবাদি জমিতে পরিণত করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন পরেই এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকট আকার ধারণ করে। প্রথমেই মাছ এবং গ্রামীণ জনগণের খাদ্যের উৎস কচু, শাপলা, কলমিজাতীয় জলজ সবজির বিলুপ্তি ঘটে। বর্ষা মৌসুমে প্লাবনভূমির বর্জ্য প্রবহমান খালের মাধ্যমে বাহিত ও শোধিত হয়ে নিষ্কাশিত হতো। কিন্তু নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় সেই প্রাকৃতিক শোধনক্রিয়া ব্যাহত হয়ে পরিবেশের মারাত্মক সংকট সৃষ্টি করেছে।’
মেরু অঞ্চলের পাখিকে কাবু করা শীত থেকে রক্ষা করে উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের জলাভূমি। ঠান্ডা থেকে বাঁচানোর সঙ্গে সঙ্গে এ সময় অতিথি পাখির খাবারের প্রধান উৎস হয়ে ওঠে নানা বর্ণ ও আকারের জলাভূমি। অথচ পাখিশুমারির বিভিন্ন তথ্যানুযায়ী, প্রতিবছরই পরিযায়ী পাখির বিচরণ কমছে। এর পেছনেও জলাভূমি কমে যাওয়া অনেকাংশে দায়ী।
সমন্বিত পরিকল্পনার অভাবে শহরের প্রায় সিংহভাগ জলাভূমি হারাতে বসেছে। জাদুর শহর খ্যাত ঢাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে ২৫ ভাগের বেশি জলাশয় থাকা প্রয়োজন। অথচ ২৬ খালের এই শহরে পরিচ্ছন্ন জলাশয়ের দেখা মেলাই এখন দুষ্কর।
ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) একটি সমীক্ষা থেকে জানা যায়, গত কয়েক দশকে হারিয়ে গেছে ঢাকার ১০ হাজার হেক্টরের বেশি জলাভূমি, খাল ও নিম্নাঞ্চল। জলাশয় ভরাটের এমন প্রবণতা বজায় থাকলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০৩১ সাল নাগাদ ঢাকায় জলাশয় ও নিম্নভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের ১০ শতাংশের নিচে নেমে যাবে।
সমীক্ষাটিতে আরও বলা হয়, ১৯৭৮ সালে ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় জলাভূমির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৫২ হেক্টর; নিম্নভূমি ১৩ হাজার ৫২৮ হেক্টর। একই সময়ে খাল ও নদী ছিল ২ হাজার ৯০০ হেক্টর। ২০১৪ সালে ঢাকা ও আশপাশে জলাভূমি কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩৫ হেক্টর, নিম্নভূমি ৬ হাজার ১৯৮ হেক্টর এবং নদী-খাল ১ হাজার ২ হেক্টর। অর্থাৎ সাড়ে তিন দশকে জলাশয় কমেছে ৩৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। একই সময়ের ব্যবধানে নিম্নভূমি কমেছে ৫৪ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং নদী-খাল ৬৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৮ সালে ঢাকার মোট আয়তনের প্রায় ৬০ শতাংশ ছিল বিভিন্ন ধরনের জলাশয় ও নিম্নভূমি। এখন তা কমে ২১ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। আইডব্লিউএমের তথ্যমতে, ১৯৮৮ সালের পর দুই দশকে বেশির ভাগ জলাশয় ভরাট করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ঢাকার প্রায় অর্ধেক নিম্নভূমি হয়ে গেছে বিলীন।
জলাভূমি যে শুধু ঢাকাতেই কমেছে, তা নয়। এর প্রভাব পড়েছে পুরো দেশেই। ২০২২ সালে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) ‘হাওর এলাকার ভূমি ব্যবহারের কয়েক দশকের পরিবর্তন ও এবারের বন্যার ব্যাপকতা’ শীর্ষক গবেষণায় বলা হয়, গত ৩২ বছরে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত জেলার হাওর অঞ্চলের শুষ্ক মৌসুমের জলাভূমির পরিমাণ কমেছে ৮০ শতাংশের বেশি। ফলে হাওর এলাকায় মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট পানি ধারণের প্রাকৃতিক সক্ষমতা মারাত্মকভাবে কমেছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, হাওর এলাকার জলাভূমি ১৯৮৮ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ৪০ ভাগ কমে গেছে এবং ২০০৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আরও ৩৭ ভাগ কমে গিয়ে এখন প্রায় ২৩ ভাগ এলাকা অবশিষ্ট রয়েছে। হাওর অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মধ্যে ১৯৮৮ সালের তুলনায় ২০২০ সালে শুষ্ক মৌসুমের জলাভূমির পরিমাণ সিলেটে ৭৫ ভাগ, সুনামগঞ্জে প্রায় ৮০, নেত্রকোনায় প্রায় ৯০, কিশোরগঞ্জে প্রায় ৮৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ৭০, হবিগঞ্জে প্রায় ৯০ এবং মৌলভীবাজারে প্রায় ৭০ ভাগ কমে গেছে।
গত এক শতাব্দীতে পুরো পৃথিবীতে জলাভূমি গ্রাসের গতি গড়ে প্রায় চার গুণ বেড়েছে। ঊনবিংশ শতাব্দীর পর থেকে এ পর্যন্ত এই গ্রহ হারিয়েছে ৬৪ থেকে ৭১ শতাংশ জলাভূমি। বিশ্বজুড়ে জলাভূমি ধ্বংসের সবচেয়ে বড় উদাহরণ ইরাকের মার্শ আরব জলাধারের ধ্বংসযজ্ঞ। স্রেফ রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থের জন্য ইরাকের তৎকালীন শাসক সাদ্দাম হোসেন বলি দেন পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো ‘শাত-ইল-আরবের কিডনি’ খ্যাত মার্শ আরব বা আরবের জলাভূমিকে। বিশ্বের প্রথম ও সবচেয়ে প্রাচীন সুমেরীয় সভ্যতার স্থান ছিল বর্তমান ইরাকের দক্ষিণাঞ্চল, যেখানে বর্তমান ‘মার্শ আরব’ অবস্থিত। সুমেরীয় সভ্যতার পতনের পর এই অঞ্চল আরব জাতির আয়ত্তে আসে। পরবর্তী সময়ে মার্শ আরবের ধারেই মা’দান নামক আরব জনগোষ্ঠী বসবাস শুরু করে।
মরুভূমির মাঝে বিশাল জলাধার এবং সঙ্গে মা’দান জনগোষ্ঠীর নলখাগড়া দিয়ে সৃষ্ট অপূর্ব স্থাপত্যশৈলী—সৌন্দর্যের বিচারে অনন্য ছিল মার্শ আরব। এই অঞ্চলের অধিবাসীরা ছিলেন শিয়া সম্প্রদায়ের। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু এ কারণেই তারা চক্ষুশূল হয়ে পড়েন সাদ্দাম হোসেনের। ইরানের সীমান্তঘেঁষা এই জলাভূমি যেন শিয়া বিদ্রোহীদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত না হয়, সে জন্য পুরো জলাভূমি শুকিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেন তিনি। ১৯৯৩ সাল নাগাদ পুরো জলাভূমির দুই-তৃতীয়াংশ শুকিয়ে ফেলা হয়। ২০০০ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ জলাভূমি শুকিয়ে একে পরিণত করা হয় মরুভূমিতে। ফলে জলাধার এবং একে ঘিরে গড়ে ওঠা জনপদ এক নিমেষে ধ্বংস হয়ে যায়। আশার কথা, বর্তমানে জলাধারটি পুনরুদ্ধারের কাজ করছে রামসা।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্য প্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।’ অথচ অতিরিক্ত সম্পদ আহরণ, পরিবেশদূষণ, অপরিকল্পিত উন্নয়ন, জলাভূমির গুরুত্ব অনুধাবনে ব্যর্থতাসহ নানা কারণে এ দেশের জলাভূমিগুলোর প্রায় প্রতিটিই কমবেশি বিপদের সম্মুখীন। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের দায়িত্ব জলাভূমি রক্ষা করা। তাই যেসব জলাভূমি এখনো টিকে আছে, সেগুলো বাঁচিয়ে রাখার জন্য কাজ করা রাষ্ট্রের অবশ্যকর্তব্য বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশের সরকার জলাভূমি সংরক্ষণের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য আইন ও বিধি প্রণয়ন করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি অ্যাক্ট, ২০১৭; প্রোটেক্টেড এরিয়া ম্যানেজমেন্ট রুলস, ২০১৭; ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া ম্যানেজমেন্ট রুলস, ২০১৬; ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০ (সংশোধিত ২০১৪) এবং ওয়াইল্ডলাইফ (কনজারভেশন অ্যান্ড সিকিউরিটি) অ্যাক্ট, ২০১২। তাই জলাভূমি বাঁচাতে আইনের যেন যথাযথ প্রয়োগ হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। জলাভূমি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা গেলে জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন সমস্যা কমে আসবে। এতে বেঁচে থাকবে জীববৈচিত্র্য, রক্ষা পাবে জলাভূমি। জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে, সেটিও মোকাবিলা করা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে।
২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক জলভূমি দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘ওয়েটল্যান্ড অ্যান্ড হিউম্যান ওয়েলবিয়িং’ বা ‘জলাভূমি ও মানবকল্যাণ’। তাই মানবকল্যাণের স্বার্থে জলাভূমি তথা প্রকৃতিকে বাঁচাতে একযোগে কাজ করা সবার কর্তব্য।
ছবি: ইন্টারনেট