skip to Main Content
দেশে হিরো এক্সট্রিম ১২৫আর-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা

গ্রাহকদের সন্তুষ্টি, সহনীয় দাম, অত্যাধুনিক ফিচার, কোয়ালিটি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে বিশ্বের বৃহত্তম মোটরসাইকেলও স্কুটার প্রস্তুতকারক হিরো মটোকর্প বিভিন্ন মডেলের বাইক বাজারজাত করে চলেছে। বিশ্বমানের পণ্য সরবরাহ করার নিশ্চয়তা থেকে বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য হিরো এবার নিয়ে আসছে স্পোর্টি ও গতিশীল এক্সট্রিম ১২৫আর। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এক্সট্রিম ১২৫আর জেনারেশন-নেক্সট গ্রাহকদের উচ্চাকাঙ্ক্ষী গতিশীলতার চাহিদাকে মাথায় রেখে নিখুঁতভাবে তৈরি করা। ‘চ্যালেঞ্জ দ্য এক্সট্রিম’ মটো নিয়ে মডেলটি পারফরম্যান্স, স্টাইলিং, রাইডিং ডাইনামিকস এবং নিরাপত্তার দিক থেকে অনন্য।

মোটরসাইকেলটিতে রয়েছে প্রথম শ্রেণির এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম, সম্পূর্ণ এলইডি প্যাকেজ চওড়া টায়ার এবং ১৮০ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স। যা বাইকের উন্নত স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে। দাম ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।

হিরো বাংলাদেশের জয়েন্ট ভেঞ্চার পার্টনার এবং নিটল নিলয় গ্রুপের এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুসাব্বির আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে এক্সট্রিম ১২৫আর লঞ্চ করায় আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। এটি আমাদের জন্য একটি নতুন সেগমেন্ট হবে। আমরা নিশ্চিত, সারা দেশের তরুণরা এই স্টাইলিশ এবং প্রযুক্তি-চালিত পণ্যটির প্রশংসা করবে। এক্সট্রিম ১২৫আর তার সেগমেন্টে বেঞ্চমার্ক সেট করবে। আমরা শিগগিরই এটি সারা দেশে বাজারজাত করব।’

এই সেগমেন্টে এক্সট্রিম ১২৫আর স্পোর্টস লুকের স্টাইলিশ বাইক। মোটরসাইকেলটিতে অল এলইডি সেট-আপ রয়েছে যাতে রয়েছে ফার্স্ট-ইন-সেগমেন্ট প্রজেক্টর এলইডি হেডল্যাম্প, এলইডি উইঙ্কার্স এবং সিগনেচার এলইডি টেল ল্যাম্প।

মোটরসাইকেলটিতে একটি স্পোর্টি কমপ্যাক্ট মাফলার রয়েছে যা হিরো সিগনেচারকে নির্দেশ করে। ফার্স্ট-ইন-সেগমেন্ট হুইল কভার সামগ্রিকভাবে স্পোর্টস বাইকের অনুভূতি দেবে। এতে গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর-সহ এলসিডি ক্লাস্টার রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে স্মাট কানেকটিভি।

এক্সট্রিম ১২৫আর বাইকে একটি লাইটওয়েট, হেভি ডিউটি ডায়মন্ড টাইপ ফ্রেম ব্যবহার করা হয়েছে। যা উন্নত হ্যান্ডলিং পারফরম্যান্সের জন্য প্রস্তুত করা। এক্সট্রিম ১২৫আর এর সঙ্গে রয়েছে প্রশস্ত ১২০/৮০ সেকশনের পেছনের টায়ার। ৩৭ মিলিমিটার ডায়া ফ্রন্ট সাসপেনশন। রয়েছে সেভেন স্টেপ এডজাস্টএবল মনোশক, যা সব অবস্থায় আরামদায়ক অনুভূতি নিশ্চিত করে।

এ ছাড়া এই মোটরসাইকেলের সামনের এবং পেছনের সাসপেনশনগুলো বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। চওড়া এবং ফ্ল্যাট হ্যান্ডেলবারের সাথে রাইডিং স্ট্যান্স প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য স্পোর্টস বাইকের মতো আরামদায়ক রাইডিং অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।

অত্যাধুনিক সকল বৈশিষ্ট্য ছাড়াও, এক্সট্রিম ১২৫আর ২৭৬ মিলিমিটার ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক-সহ এতে রয়েছে ফার্স্ট-ইন-সেগমেন্ট সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সিস্টেম। মোটরসাইকেলটিতে একটি হ্যাজার্ড ল্যাম্পও রয়েছে। যা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আরোহী এবং মোটরসাইকেলের নিরাপত্তা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।

নতুন এক্সট্রিম ১২৫আর লাল, নীল ও কালো– এই তিন ধরনের প্রাণবন্ত রঙে পাওয়া যাচ্ছে।

২০১৪ সাল থেকে হিরো মটোকর্প লিঃ এবং নিটল নিলয় গ্রুপের যৌথ উদ্যেগে বাংলাদেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত একটি ম্যানুফ্যেকচারিং ফ্যাক্টরী স্থাপন করে যশোরে, যার নাম ‘এইচএমসিএল নিলয় বাংলাদেশ লিমিটেড’ (এইচএনবিএল)। ক্রেতা সাধারনের মধ্যে হিরো মটোকর্প তার ব্র্যান্ডের প্রতি বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে দৃষ্টিনন্দন প্রোডাক্ট রেঞ্জের মাধ্যমে। এছাড়াও সারা দেশে ৫০০টিরও বেশি নেটওয়ার্ক রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে, হিরো বাংলাদেশের মোটরসাইকেল বাজারে শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশে হিরোই একমাত্র কোম্পানি যারা প্রত্যেক মডেলে নিশ্চিত করছে ৫ বছরের ওয়ারেন্টি।

হিরো মোটরসাইকেলের সুপ্রশস্ত প্রোডাক্ট রেঞ্জকে সমৃদ্ধ করতে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ এক্সট্রিম ১২৫আর।

  • ক্যানভাস অনলাইন
    ছবি: সংশ্লিষ্টদের সৌজন্যে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top