ইভেন্ট I অঞ্জন’স-এর সাড়ম্বর আয়োজন
‘উৎসবে ও প্রতিদিনে ভিন্নমাত্রা’ স্লোগানে প্রায় দুই যুগ দেশীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিনিধিত্ব করছে অঞ্জন’স। পোশাকের মধ্য দিয়ে দেশীয় ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে সময়ের দাবি মেনে এই ফ্যাশন ব্র্যান্ড চেষ্টা করছে পোশাকে ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেল ঘটাতে। অনুসরণ করছে সমসাময়িক ট্রেন্ড।
সম্প্রতি অঞ্জন’স ঈদ কালেকশন সম্পর্কে ক্রেতাদের অবহিত করতে একটি প্রেস শোর আয়োজন করে। অঞ্জন’স-এর কালেকশনে দেখা যায় ট্র্যাডিশনাল, এথনিক আর ওয়েস্টার্ন লাইন। পাশাপাশি তাদের তিনটি সাব-ব্র্যান্ড মারজিন, আর্ট ব্লু এবং কনক, দ্য জুয়েলারি প্যালেসকে উপস্থাপন করা হয়। এই ঘোষণা দেন অঞ্জন’স-এর শীর্ষ নির্বাহী শাহীন আহম্মেদ ও চিফ ডিজাইনার লায়লা খায়ের কনক। শাহীন আহম্মেদ বলেন, দেশীয় ফ্যাশন, ট্র্যাডিশন ও তাঁতকে জনপ্রিয় করতে অঞ্জন’স কাজ করছে দীর্ঘদিন। ডিজাইন নিয়েও প্রতিনিয়ত করা হয়েছে নানা নিরীক্ষাধর্মী কাজ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাশন-সচেতন ক্রেতাদের পরিবর্তিত চাহিদাই প্রাধান্য পেয়েছে। তাই এথনিক ও ট্র্যাডিশনাল ফিউশন নিয়ে নীল রঙের বিশেষায়িত পোশাক লেবেল ‘আর্ট অব ব্লু’ লঞ্চ করা হচ্ছে। এ ছাড়া তরুণদের চাহিদা ও পছন্দ বিবেচনায় নিয়ে আসা হয়েছে নতুন লেবেল ‘মারজিন’। নান্দনিক রুচি এবং সর্বশেষ ট্রেন্ড নিয়ে কাজ করবে নতুন উভয় ব্র্যান্ড।
অঞ্জন’স-এর ঈদ কালেকশন দিয়ে শুরু হয় ক্যাটওয়ার্ক। শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপস তুলে ধরা হয় তিনটি পৃথক কিউতে। ঈদ কালেকশনে লক্ষণীয় ছিল জামদানি, ইসলামিক, জিওমেট্রিক ও ফ্লোরাল মোটিফ। গলা, হাতা ও প্যাটার্নে দেখা গেছে নিরীক্ষাধর্মী নানা কাজ।
এরপরের দুটি কিউতে অঞ্জন’স-এর নতুন কো-ব্র্যান্ড মারজিনের পোশাক উপস্থাপন করা হয়। তারুণ্যনির্ভর এই ব্র্যান্ডে স্পষ্ট ছিল আন্তর্জাতিক ট্রেন্ড। দুটি পৃথক কিউর প্রথমটিতে প্রদর্শিত হয় মেয়েদের সিঙ্গেল কুর্তা ও কামিজ, ছেলেদের ক্যাজুয়াল শার্ট ও কটন প্যান্ট। পাশ্চাত্য কাটের সঙ্গে দেশীয় ফিউশন। পরের কিউতে মেয়েদের টপস, পালাজো, জিনস ও ছেলেদের শার্ট টি-শার্ট ও জিনস। এই কালেকশন যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে কাটে, প্যাটার্নে ও বেসিক ম্যাটেরিয়ালের ব্যবহারে। আলাদা ব্র্যান্ড হিসেবে স্বকীয়তার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে মারজিন।
অঞ্জন’স ও মারজিনের পর বদলে যায় র্যাম্পের আবহ। সব রঙ ছাপিয়ে পুরো পরিবেশ দখল করে নেয় নীল। একই রঙও তারা নানা শেডের ব্যবহারে, প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের ট্রেন্ড অনুসৃত পোশাক উপস্থাপিত হয়। এসব পোশাকে নীল বেদনার নয়; উদ্যাপনের রঙ হয়েই ফুটে ওঠে। ইন্ডিগো ডায়েড কাপড়ে, ব্লক প্রিন্টে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জিওমেট্রিক মোটিফ। শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ ও শার্ট উপস্থাপিত হয় দুটি কিউতে। নীল থিমে উৎসবের এসব পোশাক দেখা যায় অঞ্জন’স-এর নতুন কো-ব্র্যান্ড ‘আর্ট অব ব্লু’র লেবেলে।
ফ্যাশন শোর সবশেষ উপস্থাপনা ছিল ফাইন ও ফ্যাশন জুয়েলারি। কার্ভিংসহ নানা নকশায় তৈরি গয়না উপস্থাপন করা হয়। রুপা, কপারসহ বিভিন্ন মেটালের সঙ্গে ডিজাইনকে নান্দনিক করার জন্য সহাবস্থান ঘটানো জয় স্টোন ও পার্লের। এসব গয়নার ডিজাইনার লায়লা খায়ের কনক। যিনি একাধারে অঞ্জন’স-এর চিফ ডিজাইনার এবং কনক, দ্য জুয়েলারি প্যালেসের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করছেন। গর্জাস লুকে এবং ঐতিহ্যময় উপস্থাপনা এই দুটি কিউ ছিল ওই সন্ধ্যার সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ। সিলভার এবং গোল্ড প্লেটেট জুয়েলারির ট্র্যাডিশনাল ডিজাইন; যা পার্টি কিংবা বিয়ের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত। ফ্যাশন শো কোরিওগ্রাফ করেন আজরা মাহমুদ। মেকওভার পার্টনার ছিল পারসোনা।
স্টাফ রিপোর্টার
ছবি: ক্যানভাস