প্রাত্যহিক জীবনে মেকআপ ও সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রয়োজন নানাভাবেই পড়ে। তা তোলার ঝক্কিও কম নয়। এ ক্ষেত্রে মেকআপ ওয়াইপ ব্যবহারের কথা ভাবলেই অনেকের মনে হয় ঝামেলা ! চোখ জ্বালা করা, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া তো আছেই; সঙ্গে পরের সকালে বালিশে ফাউন্ডেশন লেগে থাকার ভয়। এমন সমস্যার সমাধানে এলো বোতলবন্দী মাইসেলার ওয়াটার। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, ১৯৯১ সালে ফ্রান্স থেকে বায়োডার্মার বিশেষ দল একটি সমাধান নিয়ে এসেছিল ত্বকের যত্নে। রুক্ষতা আর ক্ষারীয় ট্যাপের পানি ব্যবহার করে ক্লান্ত হয়ে পড়া মানুষের জন্য । তখনই সৃষ্টি মাইসেলার ওয়াটারের। দেখতে সাধারণ পানির মতো হলেও এর একটি গোপন শক্তি হলো মাইসেলাস নামক ছোটো অণু যা ময়লা, তেল এবং মেকআপ ত্বক থেকে টেনে বের করে আনে, ধীরে তবে কার্যকরীভাবে। কোনো ধোয়া বা স্ক্র্যাবিংয়ের ঝামেলা ছাড়ায় পরিষ্কার, কোমল ও সুন্দর ত্বকের দেয় নিশ্চয়তা।
উদ্ভাবনের পর দ্রুতই সারা বিশ্বে মাইসেলার ওয়াটার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ওয়াইপস, যা অনেক সময় আমাদের ত্বকে জ্বালা এবং পরিবেশের ক্ষতি– দুইই করে থাকে; সেই তুলনায় মাইসেলার ওয়াটার ব্যবহারকারীর মুখ এবং পৃথিবী– উভয়ের জন্যই উপকারী। এটি ত্বককে রুক্ষ না করে পরিষ্কার করে; সব ধরনের ত্বকেই ভালো কাজে দেয় এবং ব্যবহারের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ত্বক হয়ে ওঠে সতেজ।

বাংলাদেশেও মাইসেলার ওয়াটারের চাহিদা দীর্ঘদিনের; তবে সে জন্য গার্নিয়ার বা বায়োডার্মার মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের দিকে ঝুঁকতে হতো, যা বেশ ব্যয়বহুল। এবার দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে ত্বকযত্নের এই বিশেষ পণ্য। বাংলাদেশি ব্র্যান্ড স্কিন ক্যাফে প্রথম তাদের নিজস্ব তৈরি মাইসেলার ওয়াটার বাজারে এনেছে। এটি একটি দেশি পণ্য। সাশ্রয়ী মূল্যের এই পণ্য আমাদের দেশের মানুষের ত্বক, জলবায়ু ও চাহিদা বুঝে তৈরি।
সবচেয়ে ভালো দিক হলো, স্কিন ক্যাফে এখানেই থেমে থাকেনি; প্রাকৃতিক তেল এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোডাক্ট দিয়ে যাত্রা শুরু করে এখন একটি দেশীয় স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে, যার প্রোডাক্ট লিস্টে রয়েছে ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন, সিরাম এবং মেকআপ।
skincafe.co অনলাইনে এবং দেশজুড়ে ১৫ সহস্রাধিক দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এ প্রোডাক্ট।
- ক্যানভাস অনলাইন
ছবি: স্কিন ক্যাফে’র সৌজন্যে

