বিশেষ ফিচার I আরবের খোলা হাওয়ায়
সৌদি আরবে বদলে যাচ্ছে জীবনধারা। খোলা হাওয়া গায়ে লাগিয়ে এগোচ্ছে তারা। যাপনের এই পরিবর্তন রক্ষণশীলতার খোলস থেকে বেরিয়ে উদার হওয়ার প্রক্রিয়া। মিশন টোয়েন্টিথার্টিকে বিবেচনায় রেখে তরুণ যুবরাজ পরিবর্তন আনছেন ব্যক্তি ও সমাজজীবনে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে চাইছেন। সৌদি আরবকে সংস্কারের অবগুণ্ঠন থেকে বের করে এনে হাজির করতে চাইছেন বিশ্বের বিগ লিগে। মাঝ-এপ্রিলে রিয়াদে প্রথম অনুষ্ঠিত আরব ফ্যাশন উইক দিকসূচক পদক্ষেপ বৈকি। এই বৈপ্লবিক আয়োজন থেকে শুরু হয়েছে নতুন অধ্যায় (আরব রেনেসাঁ নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজনে আরও থাকছে বিউটি ও লাইফস্টাইল সেগমেন্টে দুটি বিশেষ লেখা)। এর এক মাস পর আরব ফ্যাশন উইকের দুবাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই পোশাক রেনেসাঁয় আলোকপাত করেছেন শেখ সাইফুর রহমান ও আবদুল্লাহ আল কেমি
রিয়াদ ফ্যাশন উইক
এখন বসন্ত নয়। তবে সৌদি আরব গা ভাসিয়েছে খোলা হাওয়ায়। রুশ ভাষায় বললে গ্লাসনস্ত চলছে সেখানে। মেয়েরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়েছেন। খেলা দেখতে পারছেন স্টেডিয়ামে গিয়ে। চিৎকার করে সমর্থন দিতে পারছেন প্রিয় দলকে। এ জন্য সঙ্গে পুরুষসঙ্গী থাকা বাধ্যতামূলক নয় আর। এমনকি যেকোনো কাজে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বেরোতে পারছেন বাইরে। উপরন্তু এমবিএসের (মোহাম্মদ বিন সালমান) নয়া ফরমান অনুযায়ী আবায়া পরাও এখন আর বাধ্যতামূলক নয় সেখানে। সিনেমা, থিয়েটার দেখাও অনুমোদিত। সামাজিক পরিবর্তনের এই জোয়ার দেশজুড়ে। মুক্তির মহানন্দে ভাসছে সৌদি ললনারা।
রক্ষণশীল থেকে উদার হয়ে ওঠার পথে তাদের নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ রিয়াদে গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত আরব ফ্যাশন উইক। সে প্রসঙ্গে আলো ফেলার আগে একটু জানিয়ে রাখলে মন্দ হয় না, সৌদি আরবের ফ্যাশন খাত বিপুল অঙ্কের শিল্প। কয়েক শ কোটি ডলারের টার্নওভার। প্রতিবছর এই ইন্ডাস্ট্রির প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ। বিলাসী সামগ্রী, প্রসাধন, সৌরভ আর ওত্ কতুর ২০১৫ সালেই মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় বিক্রি হয়েছে ২৮.২ বিলিয়ন ডলার। এই টার্নওভারের অন্তত ১৩.৬ শতাংশ আবার কেবল মেয়েদের পোশাক। সেটাও ৪ বিলিয়নের মতো।
এই বাস্তবতায় সৌদি আরবে ফ্যাশন উইকের আয়োজন ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। রিয়াদে আরব ফ্যাশন উইক আয়োজনের নেপথ্যে রয়েছেন প্রিন্সেস নুরা বিনতে ফয়সল। তিনিই আরব ফ্যাশন কাউন্সিলের সম্মানিত একজিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট। তোড়জোড় শুরু হয় ফেব্রুয়ারিতে। অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মার্চে। কিন্তু প্রস্তুতি যথাযথ না হওয়ায় পিছিয়ে নিয়ে গেল ১১-১৪ এপ্রিল। রিয়াদে বসে ফ্যাশন সপ্তাহ। সৌদি আরবে এটাই প্রথম কোনো ফ্যাশন আসর। তবে পুরোটাই ছিল নারীদের অংশগ্রহণ। তবে ঐতিহাসিক এই দর্শকসারিতে পুরুষের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। আধুনিক আরব সংস্কৃতির উপস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়ে আয়োজিত এই আসরে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ডিজাইনারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। এমনকি এতে জাঁ পল গতিয়ের আর রবার্তো ক্যাভেলির মতো ডিজাইনারদের কালেকশন উপস্থাপিত হয়েছে। অবশ্য উইমেন অনলি আসর হওয়ায় গতিয়ের দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন না।
কাজাখস্তানের আলতিনবেকোভার ব্র্যান্ড বিবিসারা। আরওয়া আল বানাউই। তিনি বড় হয়েছেন অবশ্য জেদ্দায়; বর্তমানে কাজ করেন দুবাইতে। মিসরভিত্তিক ডিজাইনার রানা ইউসারি; তাঁর প্রতিষ্ঠান আসোরি হাউজ। লেবাননের নাজিয়া সাদি। গতিয়ের না থাকলেও উপস্থাপিত হয় তাঁর ফল কালেকশন। এ ছাড়া আলো প্রদর্শিত হয়েছে আলরাজির সংগ্রহ। চমৎকার কাজের পথপোশাক আর অভিজাত পোশাকের মেলবন্ধনে তৈরি। সেখানে প্রতীয়মান ছিল ঐতিহ্যবাহী সৌদি সিলুয়েট। তবে কোনো আবায়া তিনি দেখাননি। তাঁর পুরো সংগ্রহেই ছিল দিনের পোশাক। একইভাবে আল বানাউইয়েরও।
যদিও সৌদি মেয়েদের বেশি পছন্দ সান্ধ্যপোশাক। বিশেষত এই সময়ে। কারণ, ইফতার পার্টি, ডিনার ঈদ শপিং, ঈদ ইত্যাদি মিলিয়ে এই উৎসব সময়ে তাদের কাক্সিক্ষত ছিল সান্ধ্যপোশাক। অবশ্য বেইরুতের বাসিল সোদা সে আক্ষেপ মিটিয়েছেন তাঁর অনবদ্য এম্ব্রয়ডারির ঢিলেঢালা গাউনে। আলিসা রামাদান ও আলিয়া আলসাওয়াফও সান্ধ্যপোশাক উপস্থাপন করেন। তবে সোদার কাজ ছিল তাদের থেকে উঁচু মার্গের। মেইসন আলেকজান্দ্রাইন, বিসিসারা ও গতিয়েরের সংগ্রহ ছিল রাতের জন্য। সেখানে আবায়াকে অভিনব সৌকর্যে, একটু মাত্রা যোগ করে উপস্থাপন করা হয়েছে। অবশ্য সৌদি আরবের মেয়ে আল বানাউই ট্র্যাডিশনকে বর্তমানের আলোয়, আধুনিকতার মাত্রায় উপস্থাপন করেছেন। আবায়া তার কাছে ঐতিহ্য। ঠিক যেমন জাপানের কিমোনো। তবে আবায়া মানে কালো নয়। অন্য যেকোনো রঙেই তা হতে পারে। সেখানে আসতে পারে ছাঁট আর কাটের অভিনবত্ব। সেটাই তিনি দেখানোর চেষ্টা করেছেন।
অবশ্য বর্তমানে সারা বিশ্বই দীর্ঘ পোশাকের দিকে ঝুঁকছে। এটাকে পুব-পশ্চিমের বন্ধুতা বলতে মন্দ হয় না। সৌদি আরবে ফ্যাশন উইক। এটা বিস্ময়েরই বটে। কিছুদিন আগে হলেও কল্পনা করা দুঃসাহসিকতার শামিল হতো। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। খুলেছে আগল। আর এসবই সম্ভব হচ্ছে তরুণ, দূরদর্শী, উদার আর আধুনিক যুবরাজের জন্য। বয়স তাঁর মাত্র ৩২। স্বপ্ন তাঁর বেসুমার। সৌদি আরবকে নিয়ে ভাবছেন অনেক দূর পর্যন্ত। আপাতত লক্ষ্য স্থির করেছেন ২০৩০ পর্যন্ত। এই ফ্যাশন উইক তারই অনুঘটক। এ বছরেই আরও একবার রিয়াদ সরগরম হবে ডিজাইনারদের উপস্থিতিতে। কারণ, রিয়াদের উইক শেষে মে মাসেই দুবাইতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আরব ফ্যাশন উইকের আরেক পর্ব।
মধ্যপ্রাচ্যের নতুন সংস্করণ
মধ্যপ্রাচ্য বা আরব দেশগুলো বলতেই আমরা ইসলামিক সমাজব্যবস্থা বুঝি। যেখানে ধর্ম নিয়ে দেখা যায় সর্বোচ্চ সংবেদনশীলতা। ব্যক্তিগত স্বাধীনতার থেকেও বড় করে দেখা হয় পারিবারিক ও ধর্মীয় নিয়মনীতিকে। আর বিশেষ করে মেয়েদের জন্য রয়েছে সাজপোশাকের বিশেষ সীমাবদ্ধতা। এমন পরিবেশেও এবার পিছিয়ে থাকেনি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক সংযোজন বলা চলে ‘আরব ফ্যাশন উইক’। এতে করে মুসলিম বিশ্বে তৈরি হয়েছে নতুন দৃষ্টান্ত। আরব ফ্যাশন কাউন্সিলের তত্ত্বাবধায়নে ৯-১১ মে দুবাইয়ে কুইন এলিজাবেথ-২ জাহাজে অনুষ্ঠিত হয়েছে আরব ফ্যাশন উইকের ষষ্ঠ আসর।
রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থা ও আরব ফ্যাশন উইক
সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, মিসর, ইয়েমেন, ওমান, সিরিয়ার মতো ২২টি দেশকে ধরা হয় আরব দেশ হিসেবে। যেখানে জোরালো রয়েছে ইসলামিক সমাজব্যবস্থা। বিখ্যাত লেখিকা মার্গারেট নাইডেল তার ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং অ্যারাবস: আ গাইড ফর মডার্ন টাইমস’ বইতে লিখেছেন, আরবের সমাজব্যবস্থায় ব্যক্তিগত স্বাধীনতা গুরুত্বহীন। পরিবার ও ধর্মের স্বার্থে সবাইকে দলীয়ভাবে চিন্তা করতে হয়। ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় গুরুত্ব দিলে তাকে পরিবার, আত্মীয়স্বজনের কাছে নিন্দিত হতে হয়, সমালোচনার শিকার হতে হয়। তাই এখানে মেয়েদের জীবন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিবার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। তারা বাইরের মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে পারলেও পুরুষের সঙ্গে কথা বলার নিয়ম নেই। পরিবারের বাইরে কোনো মেয়েকে ও ছেলেকে একসঙ্গে পাওয়া গেলে তাদের বিবাহ সনদ চাওয়া হয়। অন্যদিকে, রক্ষণশীল ধর্মীয় চর্চায় মনোযোগী এমন দেশে রেড কার্পেটে জমকালো ফ্যাশন শো! একটু অবাক হওয়ার মতো বিষয় বৈকি। কিন্তু দিন শেষে সত্য হচ্ছে, আরব ফ্যাশন উইক বিশ্বের অন্যতম সফল ফ্যাশন শো করে দেখিয়েছে। ১৫০০০ অতিথির সামনে রেড কার্পেটে উঠেছে ২১টি ভিন্ন ভিন্ন ফ্যাশন সংগ্রহ। এই শোর মূল বিষয় ছিল রিসোর্ট ও রেডি কতুর সংগ্রহ। প্রদর্শিত হয় পশ্চিমাসহ বিশ্ব ফ্যাশনের প্রধান অনেক অংশ। মহিলা পোশাকের বেলায় দেখা যায়নি কোনো বাধ্যবাধকতা।
যা উঠেছে রেড কার্পেটে
রিয়াদে প্রথম সংস্করণের পর দুবাইয়ের এই আয়োজনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে অংশ নেন স্বনামধন্য ফ্যাশন ব্র্যান্ড ও ডিজাইনাররা। সেই তালিকায় রয়েছে অ্যামেটো কতুর (আরব আমিরাত), টনি মিরান্ডা (পর্তুগাল), তাতিয়ানা ভি লায়ালিনা (রাশিয়া), আইশা রামাদান (আরব আমিরাত), জে বায় জর্ডি (যুক্তরাজ্য), ইলজ জারা (প্যারাগুয়ে), হিউম্যারিফ (রাশিয়া), মেইসন লেসলে (লেবানন), ফ্লুমেই (আমেরিকা), অ্যারাম বায় আরওয়া আল আমারি (সৌদি আরব), রেন্যাটো বেইলেস্ত্রা (ইতালি), সোফিয়া ন্যুবস (সুইজারল্যান্ড), ভিয়াফেইন (আর্জেন্টিনা), নিকোল-ফেলিসিয়া (তাইওয়ান), হাউজ অব মুয়ামুয়া (ইতালি), আজমারয়াই (রাশিয়া), হারমনি (আর্মেনিয়া), সিমন রেসিওপো (ইতালি), অ্যাজরি হাউজ (মিসর)।
এই শোতে ফ্যাশনের আপাদমস্তক প্রদর্শিত না হলেও পাওয়া যায় কিছু উল্লেখযোগ্য দিক। ফুলেল ধারার নতুন দিকনির্দেশনা দেখা যায় তাতিয়ানা ভি লায়ালিনার ডিজাইনে। হাউজ অব মুয়ামুয়া তাদের রিসোর্ট ২০১৯ সংগ্রহে দেখায় হাই ফ্যাশনের ক্যাজুয়াল ইমেজ। তাই নিজেদের সংগ্রহের নাম দেয় ‘ফ্যাশন ইজ বেস্ট ডান উইথ লটস অব ফান’। ব্যতিক্রমী সংগ্রহ নিয়ে আসেন ইলজ জারা। তার ডিজাইনে প্রাকৃতিক উপায়ে পোশাক ও প্রযুক্তির সম্ভাব্য সংমিশ্রতা দেখান। সিমন রেসিওপো ডিজাইনে তুলে ধরেন জাঁকজমক। এই কালেকশনে শোভা পায় লাল ও সাদা রঙ। অ্যারামের সংগ্রহে চোখে পড়ে প্যাটার্নের অগ্রিমতম কাজ। আধুনিক ফ্যাশনের সংক্ষিপ্তসার পরিচয় করিয়ে দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইশা রামাদান। আইশার সংগ্রহে শোভা পায় মেয়েদের আবেদনময়ী জমকালো পোশাক। সাবলীল মেয়েদের নিজে বাঁচতে চাওয়ার অনুপ্রেরণা নিয়ে মনোহর সংগ্রহ রেড কার্পেটে ওঠান সোফিয়া ন্যুবস। আর্কিটেকচার মোটিফে সমগ্র ডিজাইন কালেকশন শো করেন জর্দি। যাতে দেখা যায় সব অন্য রকম প্যাটার্ন। বাইরের সৌন্দর্যের সঙ্গে একই গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের সংগ্রহ প্রস্তুত করে হারমনি।
আরবে পোশাকে বিবর্তন
যুগ যুগ ধরে অন্যান্য দেশের মতো আরবের পোশাকি ব্যবস্থাও পরিবর্তনশীল। মধ্যপ্রাচ্যের পোশাকের কথা শুনলেই মানুষ লম্বা জোব্বা আর হিজাবের কথা ভাবে। কিন্তু সেদিনের অবসান হয়েছে অনেক আগেই। এখনো আরব দেশগুলোর প্রধান পোশাক লম্বা ঢোলা প্যাটার্নে বিদ্যমান থাকলেও পশ্চিমাদের অনুসরণ তারাও করে। অর্থ ও ধনদৌলতে সর্বদা সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েতের মতো দেশ। দেশ-বিদেশে তাদের ব্যবসায়িক বিচরণও অনেক যুগ আগে থেকে। সব মিলিয়ে আমাদের মতো দেশ থেকে সামনে চলাও তাদের জন্য অনেক সহজ। আর যত সহজ চলার পথ, তত ছোঁয়া পাওয়া যায় আধুনিকতার। সে আধুনিকতা শোভা পায় পোশাকেও। আর অন্য অনেক বিষয়ের মতো পোশাকেও সবচেয়ে আধুনিক পশ্চিমারা। এর কারণ, প্রথমত, তারা প্রথম সহজে সুন্দর পোশাক পরার রীতি আবিষ্কার করেছে। যার উদাহরণ হিসেবে বলা যায় জিনস টি-শার্টের নাম। একইভাবে পোশাকের মার্জিত থাকা, ব্যক্তিত্ব সৃষ্টির বিষয়াদিও তারা প্রথম খেয়ালে এনেছে। তাই অন্যান্য দেশের মতো আরও কয়েক যুগ থেকে আরবে দেখা যায় পশ্চিমা পোশাক রীতি। বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে। তবে এত সহজ হয়নি মেয়েদের বেলায়। এখনো অধিকাংশ ক্ষেত্রে বোরকা পরতে দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্যের মহিলাদের। বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করা হয় হিজাব। চারদিক দিয়ে চেপে বসে আছে পোশাকি সীমাবদ্ধতা। এর ব্যতিক্রম ঘটলে পারিবারিক বিতাড়না ও সামাজিক নিন্দার শিকার হতে হয় এখনো তাদের।
আরব ফ্যাশন উইক তাই পরিবেশগতভাবে আরববাসীর কাছে বিশাল দিকনির্দেশনা এনে দিয়েছে। সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়ে উন্মোচন করেছে এক নতুন দিগন্ত। তবে তা সামাজিকভাবে সাধারণ্যে পৌঁছাতে কতটা সময় লাগবে, তা বলা কঠিন। আরও বলা কঠিন, আরব ফ্যাশন উইকের নিয়মিত আয়োজন কত দিন চললে আরবের ঘরে ঘরে ব্যক্তিস্বাধীনতার দেখা মিলবে। তবু খোলা রইলো আরবের নতুন দিগন্ত। সেই তাগিদে এ বছরের অক্টোবরে রিয়াদে এবং নভেম্বরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পরবর্তী আরব ফ্যাশন উইক।
ছবি: সংগ্রহ