মনোযতন I বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার
আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বে চোখ আটকে গেছে এমন এক ‘খুঁত’-এ, যা অন্য কারও চোখে পড়ে না। অথচ আপনার পুরো দিন, মেজাজ, এমনকি আত্মবিশ্বাসও এখন সেই খুঁতের দখলে। নিখুঁত হওয়ার এই অদৃশ্য চাপ, যা কেবল চেহারা নয়, মনকেও গ্রাস করে—এরই নাম ‘শরীর বিকৃত ধারণাজনিত ব্যাধি’
সকালের সূর্যের প্রথম আলো ঘরে ঢুকছে। তবু মনের ভেতর একধরনের অন্ধকার জমে আছে বর্ণার। প্রতিদিনের মতো আজও তিনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে। চোখে ধরা দিচ্ছে না পুরো প্রতিচ্ছবি; বরং নজর আটকে আছে নাকের আকারে, চোখের নিচের হালকা দাগে, ঠোঁটের রেখায়। পরিবার বলে, ‘তুমি তো একদম ঠিক আছ।’ বন্ধুরা অবাক হয়ে হাসে, ‘তুমি আবার কিসে অসন্তুষ্ট?’ কিন্তু বর্ণার চোখে তার চেহারায় এমন কিছু আছে, যা ‘খারাপ’ এবং ‘সংশোধনযোগ্য’। এই অনুভূতি দিনের পর দিন, মাসের পর মাস তার ভেতরকে ক্ষয়ে খাচ্ছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা এই অবস্থার নাম দিয়েছেন বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার (শরীর বিকৃত ধারণাজনিত ব্যাধি)। এ নিছক আত্মবিশ্বাসের অভাব নয়; বরং নিজের চেহারার বিকৃত ধারণায় আটকে পড়া; যা মানুষের জীবনযাপন, সম্পর্ক ও মানসিক সুস্থতাকে ভেঙে দেয়।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার এমন এক মানসিক স্বাস্থ্য অবস্থা, যেখানে ব্যক্তি নিজ শরীরের কোনো একটি অংশ নিয়ে অতিরিক্ত নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। এই ধারণা এতই তীব্র যে অন্যরা হয়তো কথিত ‘ত্রুটি’ দেখতে পান না; কিন্তু আক্রান্ত ব্যক্তি দিন-রাত সেটার কথা ভেবে মরেন। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান লাইফস্প্রিংয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ তৌহিদা ফেরদৌসী বলেন, ‘ডিএসএম-৫ (ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্যাল ম্যানুয়েল অব মেন্টাল ডিসঅর্ডারস, ফিফথ এডিশন) অনুযায়ী, বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার হচ্ছে অবসেসিভ-কমপালসিভ অ্যান্ড রিলেটেড ডিসঅর্ডারস শ্রেণির অন্তর্গত। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের শারীরিক ত্রুটি নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন। সেই চিন্তার কারণে দৈনন্দিন জীবনে অসুবিধার সম্মুখীন হন। ত্রুটি নিয়ে পুনরাবৃত্তি আচরণ করেন, যেমন বারবার আয়না দেখা, অন্যের কাছ থেকে আশ্বাস চাওয়া, কসমেটিক সার্জারির পরিকল্পনা করা ইত্যাদি।’
আয়নার ওপারে
কম-বেশি আমরা সবাই আয়নায় নিজেকে দেখি। কারও মনে হয় চোখে ঘুম জমে আছে, কারও চুলটা আজ বেখাপ্পা। কিন্তু এই সাধারণ অস্বস্তি আর বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার—দুটো এক নয়। বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার এমন এক মানসিক অবস্থা, যেখানে মানুষ নিজের চেহারা বা শরীরের কোনো একটি দিক নিয়ে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েন, সেটিই তার দিনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যায়।
এখানে বিষয়টা শুধু ‘আমি মোটা হয়ে গেছি’ বা ‘আমার ব্রণ হয়েছে’—এমন সাধারণ ভাবনা নয়; বরং আক্রান্ত ব্যক্তি মনে করেন, তার চেহারার কোনো অংশে এমন এক ত্রুটি আছে, যা অন্যদের চোখে খুবই স্পষ্ট এবং ভয়াবহ; যদিও বাস্তবে তা নিতান্তই ক্ষুদ্র বা একেবারেই দৃশ্যমান নয়। ডা. তৌহিদা ফেরদৌসীর মতে, এটি আসলে দৃষ্টি ও বাস্তবতার মধ্যে বিভ্রান্তি। আয়নার সামনে দাঁড়ানো মানুষটি নিজেকে যেমন, ঠিক তেমন দেখেন না; তিনি দেখেন নিজের কল্পিত ত্রুটির এক অতিরঞ্জিত রূপ। এই বিকৃত প্রতিচ্ছবি ধীরে ধীরে তার মানসিক স্বাস্থ্যকে গ্রাস করে নেয়।
ঘটনা গুরুতর
চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, গড়পড়তা একজন মানুষ দিনে নিজের চেহারা নিয়ে কয়েক মিনিট ভাবেন। কিন্তু বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার আক্রান্তরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই চিন্তায় কাটিয়ে দিতে পারেন। এই চিন্তা শুধু সময় নষ্ট করে না; অনেক সময় কর্মক্ষেত্র, সম্পর্ক এবং নিজের প্রতি আস্থাকেও ধ্বংস করে দেয়।
বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে একটি বিশেষ ধরনের প্রসেসিং সমস্যার কথা বিশেষজ্ঞরা তুলে ধরেন। গবেষণা বলছে, আক্রান্তদের মস্তিষ্ক ভিজ্যুয়াল তথ্য প্রক্রিয়াকরণের সময় ছোটখাটো ডিটেইলগুলোকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয় এবং সামগ্রিক চেহারাকে সঠিকভাবে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। এর সঙ্গে সেরোটোনিন নামের নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতা যুক্ত হলে এই বিকৃত ধারণা আরও তীব্র হয়।
আমরা প্রায় সবাই কোনো না কোনো সময় নিজের চেহারা নিয়ে অসন্তুষ্ট হই। পার্থক্য হলো, সাধারণ অসন্তুষ্টি আসে-যায়, দৈনন্দিন কাজে প্রভাব ফেলে না। কিন্তু বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার স্থায়ী, গভীর এবং জীবনযাত্রার প্রায় সব দিককে প্রভাবিত করে।
মনের অদৃশ্য ক্ষত
এর উপসর্গ ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে পারে; আবার হঠাৎও দেখা দিতে পারে। তবে রয়েছে কিছু প্রধান লক্ষণ:
বারবার নিজের চেহারা পরীক্ষা করা তথা অতিরিক্ত আয়না ব্যবহার; কিংবা উল্টো, আয়না পুরোপুরি এড়িয়ে চলা।
অতিরিক্ত সাজগোজ; ত্রুটি ঢাকার জন্য বাড়তি মেকআপ বা পোশাক ব্যবহার।
ছবি তোলা বা দেখা এড়িয়ে চলা অথবা ছবিতে নিজের মুখ ক্রপ করে ফেলা।
শরীরের নির্দিষ্ট অংশের প্রতি মনোযোগ; যেমন নাক, ত্বক, দাঁত, চুল, ওজন বা উচ্চতা।
বন্ধু, সহকর্মী বা সোশ্যাল মিডিয়ার ছবির সঙ্গে নিজের অতিরিক্ত তুলনা।
অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা বা সার্জারি করানো এবং তাতেও সন্তুষ্ট না হওয়া।
দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়া; পড়াশোনা, কাজ বা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে না পারা।
কারণ সন্ধান
এই মনোব্যাধির শিকড় গভীর। এতে মিশে থাকে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, পারিবারিক প্রভাব, সামাজিক সংস্কৃতি এবং জৈবিক প্রক্রিয়া। মানসিক কারণের মধ্যে রয়েছে শৈশব বা কৈশোরে নিজের চেহারা নিয়ে উপহাস কিংবা সমালোচনার শিকার হওয়া। অতিরিক্ত পারফেকশনিজম এবং নিম্ন আত্মসম্মানবোধ। কখনো কখনো সামাজিক কারণও এর জন্য দায়ী। যেমন সৌন্দর্যকেন্দ্রিক পারিবারিক পরিবেশ, মিডিয়ায় আদর্শ চেহারা প্রচারের চাপ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ফিল্টার সংস্কৃতি। জৈবিক কারণের মধ্যে মস্তিষ্কের সেরোটোনিন ভারসাম্যহীনতা, জেনেটিক প্রভাব তথা পরিবারে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ইতিহাস থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
সোশ্যাল মিডিয়া: আয়না না বিকৃত লেন্স
একসময় নিজ চেহারা বিচার করা হতো আয়নায় দেখে, নয়তো খুব কাছের মানুষদের মন্তব্য বিবেচনায়। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সেই আয়না বদলে গেছে। এখন আপনার চেহারা দেখা হয় লাখো চোখে—কখনো লাইক, কখনো হার্ট, কখনো আবার নীরব স্ক্রল করে চলে যাওয়া। ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, ফেসবুক বা ইউটিউব—সব প্ল্যাটফর্মেই পারফেক্ট চেহারার এক অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলছে। ফিল্টার, ফটোশপ, অ্যাঙ্গেল—সব মিলিয়ে এক নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, যেখানে বাস্তব না হলেও বাস্তব মনে হয়। বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডারের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার অদৃশ্য জোটের এখানেই সূত্রপাত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা যা দেখি, বেশির ভাগই কিউরেটেড রিয়েলিটি—বাস্তবতার চেয়ে সাজানো-গোছানো, ত্রুটিমুক্ত ছবি। যখন একজন তরুণী প্রতিদিন নিজের চেহারা মাপছেন অন্যের ফিল্টার-আশ্রিত ছবির সঙ্গে, তখন নিজের নাক বা ত্বকের দাগ অযথা বড় হয়ে উঠতে শুরু করে তার কাছে। তার হয়তো মনে হয়, ‘আমি যথেষ্ট ভালো নই’।
ডা. তৌহিদা ফেরদৌসী বলেন, ‘আমাদের সমাজে এখন চেহারার নিখুঁততা একটি অদৃশ্য শর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে; বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পারফেক্ট ফিল্টারড ফেস দেখে অনেকে মনে করেন, নিজের চেহারাটাই হয়তো ত্রুটিযুক্ত। কিন্তু সমস্যা তখনই গুরুতর হয়, যখন এই ধারণা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং প্রতিদিনের জীবনযাপনে প্রভাব ফেলতে শুরু করে।’
পরিণতি পর্যালোচনা
ডা. তৌহিদা ফেরদৌসীর মতে, বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার শুধু মানসিক স্বাস্থ্য নয়, শারীরিক ও সামাজিক জীবনকেও বিপর্যস্ত করে। যার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা ও উদ্বেগ, সম্পর্কে টানাপোড়েন, চাকরি বা পড়াশোনায় মনোযোগের ঘাটতি, অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা বা সার্জারির ফলে শারীরিক ক্ষতি এবং আত্মহত্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি। গবেষণায় দেখা গেছে, এ মনোব্যাধিতে আক্রান্তদের প্রায় ২৪ শতাংশ কখনো না কখনো আত্মহত্যার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়।
ফিরে আসার পথ
বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার এক দিনে তৈরি হয় না; এটি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে আমাদের চেহারাবিষয়ক ধারণা, সামাজিক তুলনা এবং পারিপার্শ্বিক চাপের মাধ্যমে। তাই এর প্রতিরোধও হওয়া চাই ধীরে, সচেতনভাবে এবং অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তনের মাধ্যমে। ‘আমরা অনেকে ছোটবেলা থেকে সৌন্দর্যের একটি সীমিত সংজ্ঞা শিখি—ফর্সা ও কোমল ত্বক, নির্মেদ দেহ, খাড়া নাক ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সৌন্দর্যের কোনো একক মান নেই। আমাদের সমাজে প্রচলিত ভ্রান্তধারণাগুলো বদলানো না গেলে বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার প্রতিরোধ মুশকিল হয়ে পড়বে,’ অভিমত ডা. তৌহিদা ফেরদৌসীর।
তিনি প্রস্তাব দেন স্কুল, কলেজ এবং সামাজিক প্ল্যাটফর্মে বডি পজিটিভিটি ও সেলফ-অ্যাকসেপট্যান্স নিয়ে নিয়মিত কর্মশালা ও প্রচারণার আয়োজন করা যেতে পারে। এ ছাড়া দেশে মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা এখনো পর্যাপ্ত গুরুত্ব পায় না। স্কুল-কলেজে বেসিক সাইকোলজি, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট আর ‘নিজেকে গ্রহণ করার কৌশল’ শেখানো হলে অনেক সমস্যা শুরুর আগেই প্রতিরোধ সম্ভব।
বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার প্রতিরোধে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না। ফিল্টার, এডিটেড ছবি এবং পারফেক্ট কনটেন্ট বাস্তবতার সঙ্গে আমাদের একটি দূরত্ব তৈরি করে। তাই এই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কমানো, ফলো করা মানুষদের বেছে নেওয়া, আর নিজের ছবি পোস্ট করার সময় এডিটেড ভার্সনের বদলে রিয়েল ছবি শেয়ার—এগুলো ছোট ছোট পরিবর্তন হলেও চমৎকার প্রভাব ফেলতে সক্ষম।’ এ ছাড়া বারবার আয়নায় দেখা, চেহারা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা, সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলা—বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডারের এমন প্রাথমিক লক্ষণ পরিবার বা বন্ধুরা দ্রুত ধরতে পারলে সমস্যা বড় হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা যেতে পারে। ডা. তৌহিদা পরামর্শ দেন, ‘এমন কারও সঙ্গে কথা বলার সময় সরাসরি “তোমার কোনো খুঁত নেই” বলার চেয়ে “তুমি যেমন, ঠিক তেমনই সুন্দর” বা “তোমার চেহারা নয়, তুমি মানুষ হিসেবে মূল্যবান”—এই ধরনের ইতিবাচক বার্তা বেশি কার্যকরী।’
অন্যদিকে, পেশাদার সহায়তার প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা চাই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া এখনো অনেকের কাছে লজ্জার ব্যাপার। অথচ, শরীরের মতো মনও অসুস্থ হতে পারে; মন সুস্থ করতে চিকিৎসা প্রয়োজন। এই বিষয় মানুষ যত দ্রুত বুঝবে, তত দ্রুত সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
ডা. তৌহিদা ফেরদৌসীর মতে, বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার সারাইয়ে কগনিটিভ বিহেভিওয়ার থেরাপি (সিবিটি) সবচেয়ে কার্যকর মনোচিকিৎসা। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট ব্যবহার করা হয়, যার মাধ্যমে রোগী ধীরে ধীরে নিজের শরীর সম্পর্কে বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি ফিরে পান। এ ছাড়া গ্রুপ থেরাপি বেশ কাজের, যেখানে একই অভিজ্ঞতার মানুষেরা একে অপরকে সহায়তা করেন।
আয়নায় যা দেখা যায়, তা সব সময় সত্যি নয়। কখনো কখনো আয়নার ফাঁদে আটকে যায় আমাদের মন, যেখানে প্রতিফলিত হয় ভেতরের ভয় আর অনিশ্চয়তা। তাই নিজে যেমন, তেমনভাবেই নিজেকে ভালোবাসতে শেখা চাই। কথিত বা আরোপিত নিখুঁত হওয়ার চাপ যত কমবে, মানসিক সুস্থতার সুযোগ তত বাড়বে। কারণ, সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক অবয়বের ওপর নির্ভর করে না; বরং আত্মবিশ্বাস, আচরণ আর নিজেকে শান্তিতে রাখার ক্ষমতায় নিহিত আসল সৌন্দর্য।
সুবর্ণা মেহজাবীন
ছবি: ইন্টারনেট
