ইভেন্ট I স্টার ফেয়ার ফ্যাশন ফ্রিকোয়েন্সি
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছে স্টার ফেয়ার ফ্রিকোয়েন্সি। এই আয়োজন এবার পা রেখেছে তৃতীয় বছরে; যা উদযাপনে আয়োজিত হয়েছিল জমকালো উৎসব। ভেন্যু র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ। আয়োজক ছিল জিএম আইটি এবং পাওয়ারড বাই পার্টনার নিমবা। সেপ্টেম্বরের প্রথম সন্ধ্যায় তারকাদের উপস্থিতি আর আলোকোজ্জ্বল সাজে বদলে গিয়েছিল এই অভিজাত হোটেল প্রাঙ্গণ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চিত্রশিল্পী আহমেদ নেওয়াজ। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ বক্তব্যে তিনি এই উদ্যোগকে চট্টগ্রামের ফ্যাশন ও সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্য এক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে অভিহিত করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জিএমআইটির চেয়ারম্যান কামরুল কায়েস চৌধুরী এবং দ্য ডেইলি পিপলস টাইমসের এডিটর ওসমান গনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আজিজুর রহমান এবং নিমবা আয়ুর্বেদিক গ্রুপের চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার। আরও উপস্থিত ছিলেন স্টার ফেয়ারের উপদেষ্টামণ্ডলি হাসানুজ্জামান, সাজ্জাদ বিন খালেদ, তাসলিম হাসান হৃদয়, সুমন, বিপ্লব পাল, স্টার ফেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলমগীর হোসেন আলো। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন স্টার ফেয়ার ফ্যাশন ফ্রিকোয়েন্সির আয়োজক কমিটির শর্মী সেনগুপ্তা, শওকত হোসেন, তুষার হোসেন, অমি খান, আরিয়ান আহমেদ প্রমুখ।
এই ঝলমলে সন্ধ্যার আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিল বর্ণিল ফ্যাশন কিউ। পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ও চিটাগাং বিজিএমইএ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের ডিজাইন করা পোশাকে র্যাম্পে হেঁটেছেন চট্টগ্রামের মডেলরা। পাশাপাশি বাংলাদেশ হস্তশিল্প অ্যাসোসিয়েশন, স্বদেশী পণ্য ই-কমার্স, হৃদস এডন, টঙ্গী, নকশা কাব্য, বাহ শপ, লাক্সি কটোরসহ স্থানীয় ফ্যাশন ডিজাইনার ও ব্র্যান্ডগুলো তাদের সর্বশেষ সংগ্রহ উপস্থাপন করে। নতুন প্রজন্মের সৃজনশীলতা আর অভিজ্ঞ ডিজাইনারদের নান্দনিকতার এই মেলবন্ধনে ফ্যাশনসচেতন দর্শকেরা পান অনন্য অভিজ্ঞতা। শুধু ফ্যাশন নয়, সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়েও আলোকিত হয় সন্ধ্যা। আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেত্রী দিলারা জামান এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন র্যাম্প মডেল ও ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেলকে। এ ছাড়া নারী উদ্যোক্তা শাহতাজ পারভীন মুনমুন, ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার সালেহ রবি জন, নৃত্যশিল্পী ও মডেল সাদিয়া ইসলাম মৌ, মিস বাংলাদেশ তোরসা, মিস্টার বাংলাদেশ ফাহিম এবং ফেইস অব বাংলাদেশ জারিফকে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা। সেই সঙ্গে ফ্যাশন এডুকেশন এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত এস এম নাসিরুল কাদের, আশরাফুল ইসলাম টিটু, সাদিয়া আলম, ভয়েস অব দ্য পোর্ট সিটি সাবের সাহ, কনটেন্ট ক্রিয়েটর আসিফ আহমেদ শোভন, হিপ হপ ডান্স গ্রুপ ওটুর ক্রুসহ বেশ কয়েকজন তরুণ নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সম্মাননা পান।
প্রোগ্রামটির লাইটিং ও এলইডি পার্টনার ছিল দ্য লাইটিং স্টার এবং ইভেন্ট প্ল্যানিংয়ে অ্যাকটিভ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। সাউন্ড প্রোগ্রাম প্ল্যানার ছিল এম টি এম প্রোগ্রাম প্ল্যানার। মেকআপে বাতি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় ছিলেন স্টার ফেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর হোসেন আলো, হাসানুজ্জামান, শর্মি সেন গুপ্ত, সাখাওয়াত হোসেন ও তুষার আলম। পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা ও কোরিওগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন ফ্যাশন ডিরেক্টর সালেহ রবি জন, অমি খান ও আরিয়ান। হিপ হপ ডান্স কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন শংকর দাশ আর ক্ল্যাসিক্যাল পরিবেশনায় অমিত দাশ। সঞ্চালনার দায়িত্বে আরাফাত ইসলাম রূপক ও সেঁজুতি বড়ুয়া।
পুরস্কৃত অতিথিদের অভিমতে জানা যায়, এ ধরনের আয়োজন নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং স্থানীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মিডিয়া পার্টনার ছিল ক্যানভাস।
ফ্যাশন ডেস্ক
ছবি: স্টার ফেয়ারের সৌজন্যে
