ইভেন্ট I ডেনিম এক্সপো
গুণগত মান ও নতুনত্বের কারণে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে আস্থা পেয়েছে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প। এর মধ্যে ডেনিম বেশ এগিয়ে। এই শিল্পকে বিদেশিদের কাছে তুলে ধরতে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজন করা হয় ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো-২০১৯’। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, চীনসহ ১১টি দেশের ৯৯টি প্রতিষ্ঠান ডেনিম পণ্য নিয়ে হাজির হয়।
১১তম এই প্রদর্শনীতে অংশ নেয় ডেনিম-সংশ্লিষ্ট দেশ-বিদেশের শতাধিক প্রতিষ্ঠানের সাত হাজারের বেশি মানুষ; যা এই এক্সপোর মূল আকর্ষণ। এবারের আসরের প্রতিপাদ্য ‘রেসপনসিবিলিটি’। ডেনিম এক্সপোর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববাজারে ডেনিম সম্প্রদায়ের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি দেশের ডেনিম পণ্য সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে জানানো। ডেনিম-সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারের দায়িত্ব হলো পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কারখানায় সঠিক কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। তাই এবারের প্রতিপাদ্য রেসপনসিবিলিটি।’ দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা সব ডেনিম উৎপাদক, গবেষক, ফ্যাশন ডিজাইনার, আন্তর্জাতিক ক্রেতা এক্সপোর সেমিনারে অংশ নিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশি ডেনিমের ছবি। নিত্যনতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে ডেনিমে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্প নিয়ে সাজানো হয় দুই দিনের এই আয়োজন। বিশেষভাবে তুলে ধরা হয় দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সফলতা। এ বছর বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অংশ নেয় যমুনা ডেনিম, হা-মীম ডেনিম, শাশা ডেনিম, স্কয়ার ডেনিম, ডেনিম এক্সপার্ট, ডেনিম সলিউশন ও প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল। প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে একদিকে যেমন বাড়িয়েছে উৎপাদন, অন্যদিকে পানির ব্যবহার কমিয়েছে ৮৪ শতাংশ। টেক্কা দিচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডেনিম কোম্পানিগুলোর সঙ্গে। কয়েক বছর ধরে গবেষণা আর নতুন প্রযুক্তির ওপর ভর করে ইউরোপ-আমেরিকায় ক্রমাগতভাবে বেড়েছে বাংলাদেশের ডেনিম রপ্তানি। তবে এ বছর একটু অন্য ছবি। আমেরিকায় রপ্তানি বাড়লেও কমেছে ইউরোজোনে। ব্রেক্সিট নিয়ে শঙ্কা আর ইউরোপের অর্থনীতির শ্লথগতিতে বছরের প্রথম ৮ মাসে গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি ১১ শতাংশ কমে হয়েছে প্রায় ৯৮ কোটি ডলার। তবু বাংলাদেশের ডেনিমকে সম্ভাবনাময় বলছেন এক্সপোতে আসা বিশেষজ্ঞরা।
জাহিদুল হক পাভেল
ছবি: রাশেদ মুন্না