বুলেটিন
হিট ইট
পলিয়েস্টার আর প্লাস্টিকে তৈরি ডিসপোজেবল রেজার থেকে অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক রেজার— সবই এর সামনে বড্ড সেকেলে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, ঘরে বসেই হাইএন্ড স্যালনের শেভিং এক্সপেরিয়েন্স দিতে সক্ষম এ যন্ত্র। এ তথ্যে আস্থা রাখাই যায়; কারণ, যেনতেন ব্র্যান্ড নয়, রেজারটি তৈরি করেছেন জিলেট এর ‘জিলেটল্যাব’ ক্রিয়েশন ট্যাঙ্কের দক্ষ কারিগরেরা। বহু বছরের পরীক্ষিত নিপুণতায়। রেজারে তো ব্লেড থাকবেই, জিলেটের হিটেড রেজারেও আছে। পর পর পাঁচটি। কিন্তু এতে নতুন সংযোজন ওয়ার্মিং বার; যা ত্বকের সংস্পর্শে এলেই তাপ উৎপাদনে সক্ষম। রেজারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ত্বকেও। ফলে শেভিংয়ের জন্য প্রস্তুত হয় ত্বক, দেয় আরামদায়ক শেভিংয়ের নিশ্চয়তা। হাইএন্ড স্যালনগুলোর মতো হট টাওয়েল শেভিংয়ের আরাম। প্রতিদিন। নিজস্ব আয়নার সামনেই। দুই ধরনের টেম্পারেচার সেটিংয়ের এ রেজার রিচার্জেবল ব্যাটারি সংবলিত। ফ্ল্যাক্সডিস্ক টেকনোলজিতে তৈরি হওয়ায় সহজেই পৌঁছাতে পারে চেহারার আনাচে-কানাচে। দামটা একটু বেশি, ২০০ ডলারের কাছাকাছি; কিন্তু পুরোটাই উসুল।
মিনি মেইজ
‘শুষ্ক এবং ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন’— ত্বকযত্নের পণ্যের গায়ে এমন লেবেল চোখে পড়ে অহরহই। ফলাফল সৌন্দর্যসচেতনদের বাসার সাধারণ ফ্রিজগুলোর মধ্যেই শাকসবজি আর ডিম-দুধের সঙ্গেই দেখা মেলে সেরামের বোতল আর ক্রিমের কৌটার। কিন্তু এটা স্বাস্থ্যসম্মত কি না, সে প্রশ্ন বেশ পুরোনো। জবাব মিলছে এখন। বিউটি ফ্রিজের বদৌলতে। শুধু সৌন্দর্যপণ্য সংরক্ষণের জন্য তৈরি এ জাদুকরি অ্যাপ্লায়েন্স ইতিমধ্যে জনপ্রিয় সৌন্দর্যবিশ্বে। প্রমাণ, গেল বছরের ইনস্টাগ্রাম ফিড। ‘হ্যাশট্যাগ টপশেল্ফি’ নামে হাজারখানেক পোস্ট। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এ বিউটি ফ্রিজগুলো দেখতে সাধারণ ফ্রিজের মতোই। কিন্তু মিনিয়েচার ভার্সনের আদলে তৈরি। বিশেষজ্ঞদের মতে দীর্ঘ সময় ধরে পণ্যের কার্যকারিতা টিকিয়ে রাখতে দারুণ এ ফ্রিজগুলো। বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, রেনিটলে তৈরি সেরাম, ফেস মাস্ক আর ময়শ্চারাইজার সংরক্ষণের দারুণ পরিসর। রাখা যাবে জেড রোলারের মতো বিউটি টুলগুলোও। পরবর্তীকালে ব্যবহারে যা ত্বকে দেবে বাড়তি প্রশান্তি।
বেন্ড ইট লাইক বেকহাম
ফ্যাশনবিশ্ব মাতানো শেষ। পরবর্তী লক্ষ্য সৌন্দর্যবিশ্ব। তাতেও প্রবেশের সব প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন স্পাইস গার্ল খ্যাত ভিক্টোরিয়া বেকহাম। প্রথমবারের মতো বাজারে নিয়ে আসছেন নিউ সেল রিজুভিনেটিং প্রাইমিং ময়শ্চারাইজার। ৯২ ডলার দামের এই পণ্য ত্বকে জোগাবে আর্দ্রতা। দেবে ব্রাইটেনিং প্রাইমারের ফিনিশ আর ইলিউমিনেটিং ইফেক্ট। তবে জাদুকরি এ ময়শ্চারাইজার তৈরিতে একা নন তিনি, জোড় বেঁধেছেন বিশ্বখ্যাত স্টেম সেল রিসার্চ বিশেষজ্ঞ অগাস্টিনাস ব্যাডারের সঙ্গে। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে দীর্ঘ ত্রিশ বছরের গবেষণার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তৈরি করেছেন ‘দ্য ক্রিম’ নামের একটি আইকনিক পণ্য, যা বেলা হাদিদ, হেইলি বিবারসহ খোদ ভিক্টোরিয়ারও দারুণ পছন্দ। এবার তারা দুজনে মিলেই তৈরি করেছেন নতুন এ ময়শ্চারাইজার। শুধু এরই ব্যবহারে ত্বক পাবে প্রাণোজ্জ্বল আভা। প্রয়োগ করা যাবে মেকআপের আগেও। দীর্ঘস্থায়ী, সুন্দর, অভিজাত লুকের জন্য।