skip to Main Content

অ্যাডভার্টোরিয়াল I আধুনিক জীবনযাত্রার শিখরে

ঢাকা শহরে আধুনিক জীবনযাত্রার মান সময়ের সঙ্গে বেড়েই চলছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মিস আয়শা সিদ্দিকা ও মিস্টার তানিম হাসানের আকর্ষণীয় স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট যেন তারই উদাহরণ। “দাউদ’স ডেন” নামে পরিচিত এই আলিশান ফ্ল্যাটে ৪ জন মানুষ ছাড়াও আছে একটি জার্মান শেফার্ড এবং একটি পাগ- ঠিক যেন নিখুঁত পরিবারের গল্প। চমৎকার এই বাড়ির অনন্য ডিজাইন, থিম সম্পর্কে জানব এক তরুণ দম্পতির গল্পে

ফ্যাশনেবল লিভিং রুম
অ্যাপার্টমেন্টে পা রাখলেই প্রথমে চোখে পড়বে ধূসর, সাদা এবং নীল রঙের লিভিং রুম। স্পেসটা অন্যান্য লিভিং রুম থেকে একটু আলাদা। তার উল্লেখযোগ্য কারণ এর চারপাশে কোনো দেয়াল নেই এবং খুব সহজেই মিশে আছে পাশের কক্ষগুলোর সঙ্গে। মি. তানিম জানিয়েছেন, বাচ্চারা খেলার জন্য যেন যথেষ্ট খালি জায়গা পায়, তাই সীমিত আসবাবপত্র দিয়ে ঘরটি সাজানো হয়েছে। লিভিং রুমের ফ্লোর সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি এবং ছাদ থেকে নিচে নেমে আসা নরম আলো এর সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ভেলভেটের নীল ও ধূসর সোফাকে জড়িয়ে আছে মানানসই বিলাসবহুল সাদা পশমের চাদর। যেহেতু ভেলভেট এনে দেয় রাজকীয় ভাব, তাই এটা এই ফ্ল্যাটের কমন বিষয়। জানালার পাশে পার্ল হোল্ডার দিয়ে মোড়ানো ফ্লোর টাচ ভেলভেটের পর্দাগুলোও নজর কাড়ে। সাধারণ পর্দা থেকে এগুলোর উচ্চতা একটু বেশি। হাই-রাইজ ফ্লোরিং এবং তার মাঝে কফি টেবিল, দুটোই সাদা, যেন একে অপরের পরিপূরক।
মাস্টার স্যুইট
দাউদ’স ডেন-এর মাস্টার বেডরুমটা সব দিক থেকে আলাদা। ৬০০ স্কয়ারফিটের এই রুমটিই সবচেয়ে বড়। পুরোটাজুড়ে আছে ধূসর ও সাদা কার্পেট। বড় গ্লাসের দরজা দিয়ে ঘরটি মিশে আছে পুরো ফ্ল্যাটের সঙ্গে। এখানে পা দিলেই মনে হবে এটা যেন কোনো পাঁচতারা হোটেল। তরুণ দম্পতি আধুনিক ও আভিজাত্যের কথা মাথায় রেখেই সাজিয়েছেন ঘরটি। সাদা ওয়াল বোর্ডের সামনে বড় বিছানা, পেছনে স্নিগ্ধ সোনালি আলো। আসবাবপত্র এবং অন্যান্য জিনিস দিয়ে না সাজিয়ে তানিম-আয়শা দম্পতি এখানে রেখেছেন যথেষ্ট খালি জায়গা। এক পাশে স্পা কর্নার। সাধারণ বারান্দার পরিবর্তে এই ঘরের সঙ্গেই আছে বাগান। ব্যালকনিতে বসে প্রকৃতির মনোরম পরিবেশ উপভোগ করার জন্য আছে কুশন। কাঠের বেড়ায় ঘিরে থাকা ফুলের বাগান যে কারও কাছেই ভালো লাগবে।
বাচ্চাদের ঘর
দানিয়াল এবং দানিশের ঘরে ঢুকলেই বোঝা যায়, সেটি বাচ্চাদের। পুরোটাই সাজানো হয়েছে কার্টুন ক্যারেক্টার এবং কালারফুল থিমে। রুমে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে এর পজিটিভিটি যে কাউকে মুগ্ধ করবে। ঘরটির আকর্ষণীয় দিক হলো এর বাঙ্ক বেড এবং বাচ্চাদের উপযোগী সিঁড়ি। সিঁড়ির ড্রয়ারগুলোতে আছে খেলনা সাজিয়ে রাখার যথেষ্ট জায়গা। তানিম-আয়শা দম্পতির মতে বাচ্চাদের মধ্যে শেয়ারিং এবং বন্ডিং গড়ে তোলার জন্য বাঙ্ক বেড উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। পরিবারিক বন্ধন কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ফ্ল্যাট দেখলেই বোঝা যায়।
ওপেন কিচেন এবং ডাইনিং
ফ্যামিলি বন্ডিংয়ের আরেকটি নিদর্শন হলো ওপেন কিচেন। তারই সঙ্গে আছে ডাইনিং টেবিল, যেখানে হাসান পরিবার মিল টাইমে কাটান কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত। চমৎকার মার্বেল টেবিলের সঙ্গে আছে চারটি ভেলভেটের চেয়ার। কিচেনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর স্টোরেজ সুবিধা। রান্নার সব তৈজস সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখা যায় স্লাইডিং র‌্যাকে, বাইরে থেকেও সেসব বোঝার উপায় থাকে না। রান্নাঘরের বড় জানালা দিয়ে বসুন্ধরার নিরিবিলি পরিবেশ পুরোটাই দৃশ্যমান, ফলে এর সৌন্দর্য বেড়েছে দ্বিগুণ।
প্রকৃতি অনুপ্রাণিত ব্যালকনি
সবুজের ছোঁয়া ছাড়া যেকোনো বাসা অসম্পূর্ণ। দাউদ’স ডেন-এর চারপাশও গাছপালায় ঘেরা। এ ছাড়া ব্যালকনিতে রয়েছে প্রকৃতির ছোঁয়া। কৃত্রিম ঘাসে মোড়া তিনটি ব্যালকনির একটিতে আছে বাচ্চাদের জন্য আর্ট কর্নার। ইজেল, স্ট্যান্ড এবং রংতুলি ব্যালকনির সৃজনশীলতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ব্যালকনির এক পাশে রাখা বিন ব্যাগ এবং ল্যাপ টেবিল। যেখানে বসে যে কেউ প্রকৃতির প্রশান্তি উপভোগ করতে পারবে। লিভিং রুমের দুটি ব্যালকনিই বেশ প্রশস্ত এবং নৈসর্গিক আমেজে ভরপুর।
বাগানঘেরা ছাদ
দাউদ’স ডেন-এর আকর্ষণীয় জায়গা হলো এর ছাদ। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে এবং আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত কাটাতে এখানে প্রথমেই চোখে পড়ে টেবিল টেনিস এবং তার পাশের ছোট্ট জুস কর্নার। ছাদটি তিনটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম অংশে ঘাসের কার্পেট এবং আকর্ষণীয় কফি টেবিল। দ্বিতীয় ভাগে সুইমিংপুল, যেটি গ্রীষ্ম ও শীত- দুই সময়ের জন্যই উপযোগী। তৃতীয় অংশে তাজা ফলের বাগান, যেখানে ঘাসের কার্পেটে বসে তানিম-আয়শা দম্পতি সূর্যাস্ত উপভোগ করেন। বারবিকিউর জন্য পারফেক্ট এই ছাদটিতে পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই বন্ধুদের সঙ্গে মেতে ওঠেন পার্টিতে। শুধু নিজেরা নয়, তাদের জার্মান শেফার্ড র‌্যাম্বোও এই ছাদে খেলতে ভালোবাসে।
আধুনিক ডিজাইনে তৈরি এই আবাসস্থল নিঃসন্দেহে আপনার পরবর্তী ফ্ল্যাটটি কীভাবে সাজাবেন, তার জন্য দারুণ একটি উদাহরণ হতে পারে। লাইটিং, কালার- সবকিছুই পুরোপুরি সমসাময়িক থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। দৃষ্টিনন্দন, প্রশস্ত এবং প্রকৃতির দ্বারা অনুপ্রাণিত জীবনযাপন- এককথায় অনন্য!
সৌজন্যে
bergerhomediaries.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top