ফিচার I রাতপোশাকের গল্প
বিয়ের রাত উপভোগ্য করে তুলতে পারে গর্জাস ও অ্যাপিলিং আউটফিট। তবে কনের স্বাচ্ছন্দ্যটাই আসল
বিয়ের আউটফিট থেকে শুরু করে গয়না, মেকআপ, স্টাইলিং— সবকিছু হওয়া চাই ‘পিকচার পারফেক্ট’। তবে এত আয়োজনের মধ্যে এটা ভুললে চলবে না, যে আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্বামীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে হয়, তখন থেকেই। আর ঠিক সেই সময়টাকে উপভোগ্য ও সুন্দর করে তুলতে করতে ভূমিকা রাখতে পারে একটি মানানসই আউটফিট।
বিয়ের রাতের পোশাক নির্বাচন করার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে—
কমফোর্ট
তবে প্রিয় কোনো ব্র্যান্ডের ওপর অনেকখানি নির্ভর করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সঙ্গীর পছন্দ গুরুত্বপূর্ণ। তবে নিজের স্বস্তি ও আরামকে প্রাধান্য দেওয়াই ভালো। লঞ্জারি কেনার আগেও এটা মাথায় রাখতে হবে।
ট্র্যাডিশনাল অর নট
বিয়ের রাতে ট্র্যাডিশনাল পোশাক নাকি নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ড্রেস পরা হবে, সে বিষয়ে বর-কনের পারস্পরিক বোঝাপড়া দরকার।
বাজেট
বিয়ের রাতপোশাকে রয়েছে বিপুল বৈচিত্র্য। দামেও আছে তারতম্য। তাই বাজেট অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করতে হবে।
প্ল্যান
এমন দোকান খুঁজে বের করতে হবে যেখানে ট্রায়ালের ব্যবস্থা আছে, না হয় সাইজে ওলটপালট হলে ওই সময়ে সেগুলো নিয়ে দৌড়ঝাঁপের সময় পাওয়া যাবে না একদমই। যমুনা ফিউচার পার্কে পাওয়া যাবে এমন কিছু লঞ্জারি কিংবা নাইট আউটফিটের দোকান। সব ধরনের চিন্তাভাবনা এবং বাজেটিং শেষে খুঁজে নিতে হবে নিজের পছন্দের স্টাইলের নাইট ওয়্যার। শারীরিক গঠন, সঙ্গীর পছন্দ এবং কমফোর্ট বিবেচনায় বেছে নেওয়া যায় বর্ণিত আউটফিটগুলোর মধ্য থেকে।
নাইটস্যুট
পারিবারিক পরিচয়ে বিয়ে হয়ে থাকলে এর চেয়ে আরামপ্রদ পোশাক বিয়ের রাতের জন্য হতেই পারে না। সবচেয়ে বড় কথা, দেখতেও মনে হবে যে বেশ আরামদায়ক। বিয়ের রাতে যদি কোনো নববধূকে বিচলিত বা অস্বস্তিতে দেখা যায়, তবে সেটা তার সঙ্গীর জন্যও স্বাচ্ছন্দ্যের হবে না। তাই সাধারণ শর্টস দিয়ে স্পেগেটি স্ট্র্যাপড ক্যামিসল পরা যেতে পারে। এটি কমফোর্টের পাশাপাশি একটা সেক্সি ভাইব দেবে।
নাইটি
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ছেলেরা তাদের সঙ্গীদের বিয়ের রাতে যেসব পোশাকে দেখতে বেশি পছন্দ করে, সেগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে নাইটি। এ ধরনের পোশাক নরম এবং সিল্কি হওয়ায় বিয়ের প্রথম রাতের জন্য এটি আদর্শ নাইটওয়্যার। বেছে নেওয়া যায় হাঁটুর ওপর পর্যন্ত লম্বা একটি হাতাকাটা নাইটি। এর রং নির্ভর করবে কী ধরনের আবেশ তৈরি করা যায় তার ওপর। একটু বোল্ড লুকের জন্য বেছে নেওয়া যায় কালো, গাঢ় নীল কিংবা গাঢ় বেগুনির মতো রং। এ ছাড়া হালকা গোলাপি, সাদা কিংবা আকাশির মতো রংও নির্বাচন করা যেতে পারে। ফ্যাব্রিক হতে পারে স্যাটিন কিংবা সিল্ক।
বডিস্যুট টেডি
এটি খুব সহজেই সাম্প্রতিক ফ্যাশন ট্রেন্ডকে টেনে নিয়ে আসবে বেডরুমে। পোশাকটি বডিস্যুটের গঠনে তৈরি করা হয়। যেভাবে সুইমস্যুট পরা হয়, ঠিক সেভাবেই এটা পরতে হয়। এটি সাধারণত শরীরের সঙ্গে খুব আঁটসাঁট হয়ে লেগে থাকবে। তাই যদি শরীরের গঠন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হওয়া যায়, তবেই এই ধরনের নাইটওয়্যার বেছে নিতে হবে। পোশাকের ক্ষেত্রেও কাপড়, লেস, রং এবং ডিজাইনের অনেক ভিন্নতা পাওয়া যায়।
বেবিডল
বিয়ের রাতের পোশাক হিসেবে এটি খুব জনপ্রিয়। এই পোশাক সঙ্গীকে নিজের পা জোড়া দেখানোর জন্য। এ ছাড়া এই ধরনের ব্রাইডাল অন্তর্বাস সাধারণত সিল্ক এবং লেইস দিয়ে তৈরি হয়, যার স্পর্শে করলে খুব আরামদায়ক অনুভূতির সৃষ্টি হয়।
ব্রা সেট
রোমান্টিক এই রাতের জন্য ব্রা সেটের মতো অন্তর্বাসও বেছে নেওয়া যেতে পারে। সঙ্গীকে আকৃষ্ট করতে এর জুড়ি নেই। আর বাজারে ব্রা সেটের রং, ধরন আর স্টাইলের বৈচিত্র্য রয়েছে প্রচুর। আনলাইন্ড, কাপলেস, স্ট্র্যাপলেস, প্লাঞ্জ, কনভার্টেবল— আরও কত কী! মানানসই কোনটা, তা বুঝে বেছে নেওয়া যায়।
ড্রেসিং গাউন
গর্জাস এই পোশাক বিয়ের রাতের জন্য রোমান্টিকও বটে। ছোট দৈর্ঘ্যরে এই গাউন চাইলে কাস্টমাইজ করে নেওয়া যায়। ফ্যাব্রিক হতে পারে স্যাটিন কিংবা সিল্ক। এই ধরনের নাইটওয়্যার একেবারে স্লিম শরীরে যেমন মানিয়ে যায়, তেমনি প্লাস সাইজেও জুতসই। এটি স্টাইলিশ এবং আরামদায়ক।
লং নাইটগাউন
পরিশীলিত এবং মার্জিত এই পোশাক বিয়ের রাতের জন্য অনেকেরই পছন্দ। এটি পরলে কোনো প্রকার অস্বস্তি বোধ হওয়ার কারণই নেই। এ ধরনের গাউন স্বাভাবিকের চেয়ে আরেকটু লম্বা দেখাবে। তবে খুব সাধারণ সব সময় পরার মতো নাইটগাউন বিয়ের রাতের জন্য বেছে না নেওয়াই শ্রেয়। এ রাতে এমন কিছুই পরতে হবে, যা শুধু দেখতে না, ভেতর থেকেও রানির মতো অনুভূতি দেবে।
স্যাটিন পিজে সেট
নিজের হাইস্কুল সুইটহার্টকে বিয়ে করে থাকলে এর চেয়ে ফাঙ্কি কিছু আর হতেই পারে না। এ ধরনের নাইটওয়্যার আরামদায়ক অনুভূতি দেওয়ার পাশাপাশি এর স্যাটিন ফ্যাব্রিক আর লেইস দেওয়া ডিজাইন কনেকে করে তুলতে পারে আরও আকর্ষণীয়।
শিরীন অন্যা
মডেল: শর্মি
মেকওভার: পারসোনা
ওয়্যারড্রোব: শেপ
ছবি: তানভীর খান