ছুটিরঘণ্টা I মেঘ পাহাড়ের পথে পথে
নাগাল্যান্ডের আদিবাসীদের নিয়ে শোনা যায় ভয়ানক সব উপকথা, পুরাণ। সবুজ, সতেজ, গভীর, দুর্গম অরণ্যের ভেতর তাদের জীবনযাপন কেমন আসলে?
এঁকেবেঁকে চলা পাহাড়ের সারি। সবুজ মখমলের শরীর পাহাড়ের। তার শরীর বেয়ে পড়ছে টুপটাপ বৃষ্টি। কান পাতলে সেই শিরশির শিরোনামহীন শব্দ যায় শোনা। খানিক দূর এগোলে হঠাৎ পাওয়া বৃষ্টি উধাও! তখন ঝলমলে রোদ আর গাঢ় নীল আকাশের গায়ে ছোপ ছোপ মেঘের লুটোপুটি। পাহাড়ি এলাকার এ দৃশ্য তো চিরচেনা, তবু প্রতিবারের নতুন রূপ যেন।
এবার আমি বেরিয়েছি ভারতের একেবারে পুবের সাতটি রাজ্য সড়কপথে ঘুরে দেখার জন্য। এই সাত রাজ্যকে একসঙ্গে বলে সেভেন সিস্টারস। সাত বোনের রূপ আসলেই সাত রকমের। যত দেখি, নতুন ঠেকে। মনে হয় আগের জায়গার চেয়েও আনকোরা। এই সাত বোনই পাহাড়ি কন্যা। পাহাড়ের গায়ে জন্ম এদের।
যাত্রা শুরু করেছিলাম আসাম থেকে। এরপর অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় হয়ে এলাম নাগাল্যান্ডে। নাগাল্যান্ড নামটা শুনলেই কেন যেন এক সবুজ, সতেজ, গভীর, দুর্গম অরণ্যের কথা মনে হয়। ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে অনেক দিন বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে এ সাত বোনকে দেখতে তেমন কোনো পর্যটক আসেন না। সাধারণ পর্যটকের দেখা পাওয়া এখানে তাই ভার।
নাগাল্যান্ডের মানুষের আদি বাস ছিল চীনে। এরা দেখতে অনেকটা চীনাদের মতোই। স্বল্প জনসংখ্যার এই রাজ্যের মূল শহর কোহিমা আর দিমাপুরে কিছু বসতির দেখা মেলে। আমি দিমাপুরে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে সবে এলাম কোহিমা। পাহাড়ি পথে সময় লেগেছে চার ঘণ্টা। রমরমা শহর বলতে যা বোঝায়, এ তার কিয়দংশও নয়। আমাদের চেনাজানা মফস্বল শহরের ক্ষুদ্র রূপ কোহিমা। জনজীবন দেখব বলে এখানকার হাতে গোনা দুই-তিনটা হোটেলের একটায় উঠেছি। বাকি দু-একটি রিসোর্ট আছে, তবে কোহিমার বাইরে। দিমাপুর থেকে আসার সময় পাহাড়, প্রকৃতি, নিবিড় সবুজ গাছপালা ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়েনি। একেবারে জনমানবহীন জঙ্গল।
নাগাল্যান্ডে আসার আগে ধারণা ছিল, এ রাজ্যের সবাই আদিবাসী। তারা জঙ্গলে বাস করেন। জুম চাষ করেন আর পরেন নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। কিছু সিনেমা দেখার সূত্রে ধরে নিয়েছিলাম, বাইরের লোক দেখলেই এরা ধরে নিয়ে বেঁধে রাখবেন, সাংকেতিক ভাষায় কথা বলবেন আর এরপর তীর মারবেন! কিন্তু দিমাপুর এসে দেখি, এরা আমাদের মতোই সাধারণ পোশাক পরে আছেন। খুবই হাসিখুশি আর বন্ধুবৎসল।
দিমাপুর থেকে ট্যাক্সি ভাড়া করে এসেছি আমি। কোহিমা পৌঁছে ট্যাক্সিচালককে ছেড়ে দিলাম। শহরটি যেহেতু ছোট, তাই ঠিক করলাম হেঁটেই দেখব এর খানিকটা। কাছেই একটা কাঁচাবাজার দেখে ঢুকে পড়লাম অন্দরে। অবশ্য না গিয়ে উপায় ছিল না, বাইরে ততক্ষণে নেমে পড়েছে বৃষ্টি। বাজারটি আমাদের সিটি করপোরেশনের বাজারের মতো পাকা। সেখানে নতুন নতুন অনেক জিনিস দেখলাম, যেগুলো আমাদের বাজারে কখনোই বিক্রি হতে দেখিনি। এত টাটকা সবুজ শাকসবজি, ফল আর এর পাশে বড় গামলায় রাখা অনেকগুলো ব্যাঙ, আরেক গামলায় শামুক, ঝিনুক…। স্থানীয়রা এগুলো খুব আনন্দের সঙ্গে রান্না করে খান। ব্যাঙগুলো দেখি মাঝেমধ্যে লাফিয়ে এদিক-সেদিক চলে যাচ্ছে, আবার বিক্রেতা তুলে এনে গামলায় রাখছেন ওদের। অনেক জাতের তাজা মাশরুমেরও দেখা মিলল।
বাজারের সব বিক্রেতাই নারী। পথে এখানকার একমাত্র ট্রাফিক সিগন্যালেও দেখলাম দুজন নারী পুলিশ ডিউটি করছেন। এই বাজারে এসে মনে হলো, মনের মতো জায়গায় এসে পড়েছি। ভাষা জানি না তো কী হয়েছে, এদের মনের ভাষায় আমিও কথা বলতে জানি! এদের মুখের চওড়া হাসির জবাব দেওয়া মোটেও কঠিন কিছু নয়। আরও একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম, মেয়েগুলোর মধ্যে কোনো জড়তা নেই। হাসি বিনিময় করছেন। ছবি তুলতে চাইলে খুশি মনে পোজ দিচ্ছেন। কী সাবলীল এরা! একজন দেখি চারটা বড় টুকরি নিয়ে বসে আছেন। দূর থেকে মনে হলো হলুদ, সাদা, গোলাপি, কালচে নীল রঙের ফুল রাখা একেক ঝুড়িতে। কাছে গিয়ে দেখি, সেগুলো আসলে ছোট ছোট পোকা; কিলবিল করে নড়ছে! আমাকে বিক্রেতা বললেন, ‘বাড়ি নিয়ে যাও, খেতে খুব সুস্বাদু।’ জানতে চাইলাম, কীভাবে রান্না করব? ‘রান্না করতে হয় না; কাঁচাও খাওয়া যায়। এই দেখো…,’ বলেই তিনি একটা পোকার খোসা ছাড়িয়ে বাদামের মতো মুখে পুরে দিলেন। আমি হাসিমুখে সেখান থেকে সরে গিয়ে ফলের দোকানে কিছু ফল কিনলাম।
এদিকে সন্ধ্যা হয়ে আসছে; বাজার বন্ধ হয়ে যাবে। জেঁকে পড়েছে শীত। বাইরে রেস্তোরাঁ খুঁজে না পেয়ে আমি হোটেলের রেস্তোরাঁয় বসলাম স্থানীয় খাবারের আশায়; কিন্তু এরা স্থানীয় খাবার তৈরি করেন না। অগত্যা সাধারণ খাবার দিয়ে চালিয়ে নিতে হলো। এখানে সূর্য ডুবে গেলে পুরো শহর নীরব হয়ে যায়। গাড়ি-ঘোড়া তেমন নেই। আর এমন ঠান্ডায় মানুষও বের হয় না খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া।
পরদিন ট্যাক্সি করে কয়েকটা জায়গায় যাব বলে ঠিক করলাম। ইচ্ছা ছিল একটা গাড়ি ভাড়া করে নিজেই চালিয়ে পাহাড়ে, জঙ্গলে ঘুরে বেড়াব। কিন্তু এখানে গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায় না; চালকসহ ট্যাক্সি ভাড়া নিতে হয়। ট্যাক্সিচালকের নাম নারো। এখানকার ছেলে। বয়স ২২-২৩। পাহাড়ি ছেলেমেয়েরা খুব প্রাণবন্ত আর সাবলীল হয়। এদের সঙ্গে মিশে যেতে আমার তেমন অসুবিধে হয় না। স্থানীয় খাবার খেতে পাইনি জেনে নারো বললেন, এখন থেকে প্রতি বেলা আমার খাবারের ব্যবস্থা করে দেবেন। এমনিতেই কোহিমায় দু-একটা ছাড়া তেমন কোনো রেস্তোরাঁ নেই।
প্রথমে আমরা চললাম ওয়ার সিমেট্রি দেখতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ইংরেজ সেনাবাহিনীর ইংরেজ ও ভারতীয়দের সমাধি প্রাঙ্গণ। আমার দেখা ভারতের সব ওয়ার সিমেট্রির মধ্যে এটি সবচেয়ে সুন্দর। পাহাড়ের ধাপে ধাপে কবরগুলো সাজানো রয়েছে সবুজ বিছানায়। কবরের মাথার কাছে নামফলক। ওয়ার সিমেট্রি বোধ করি একমাত্র সমাধি প্রাঙ্গণ, যেখানে সব ধর্মের মানুষ পাশাপাশি সমাহিত। প্রতিটি কবরের নামফলকের পাশে ছোট ছোট ফুল গাছ লাগানো। সারি সারি কবরের মাথায় ফুল ফুটে যেন মুকুট করে রেখেছে। ১৭ থেকে ৫০ বছর বয়সী সৈনিকের সমাধিগুলো এখনো যেন বলতে চায় তাদের যুদ্ধের না বলা সব কথা। পাহাড়ের দেয়ালে চারদিক আলো করে ফুটে রয়েছে বাগানবিলাস আর সমাধি প্রাঙ্গণকে উজ্জ্বল করে রেখেছে নাগাল্যান্ডের জাতীয় ফুল রডোডেনড্রন।
ওয়ার সিমেট্রি দেখে চললাম স্থানীয় গির্জা দেখতে। পথে জঙ্গলের মাঝে একটা জায়গার দিকে আঙুল তুলে নারো বললেন, ওই জায়গাতেই নাকি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। কিন্তু আমরা তো জানি তিনি তাইপেতে নিখোঁজ হয়েছিলেন। যাহোক, সেই রহস্য এখনো অজানা। এটা যদি ওদের বিশ্বাস হয়ে থাকে, কী ক্ষতি! ‘ক্যাথিড্রাল অব কোহিমা’র বয়স খুব বেশি নয়। ১৯৮৬ সালে নির্মিত। বড় বড় শহরের বিশাল গির্জার তুলনায় এটি খুব বড় নয়; তবে নাগাল্যান্ডের সবচেয়ে বড় গির্জা। সামনের দিকে ছোট একটা ছিমছাম বাগান। সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন গির্জার ফাদার। এই অঞ্চলের বেশির ভাগ অধিবাসী খ্রিস্টধর্মের। তাই রোববার গির্জার আসল চেহারা খোলে। গির্জাটি নাগা বাড়ির আদলে নির্মিত। সাদা দেয়াল আর লাল চৌকো ছাদের এপাশ থেকে নিচে কোহিমা শহর দেখা যায়।
গির্জা দেখে চললাম একটু দূরে, খোনোমা ভিলেজ নামের গ্রামে। সেখানে যেতে হলে জঙ্গল পাড়ি দিতে হয়। আর জঙ্গল তো সব সময়ই আমার কাছে অপার বিস্ময়ের নাম! একেক এলাকার জঙ্গলের একেক রূপ, একেকভাবে আমাকে কাছে টানে। এই জঙ্গলে বেশ কয়েকটা কাঞ্চন গাছে গোলাপি ফুলে ভরে উঠেছে। কাঞ্চন আমাদের দেশের ফুল; অবশ্য আমরাও তো এদের প্রতিবেশী।
খোনোমা ভিলেজ আসলে আংগামি নাগা আদিবাসীদের গ্রাম। এ ছাড়া আও, চাখেসাং, চাং, কাচারি, কুকি, কোনিয়াক, লোথা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য আদিবাসীদের কুড়িটির বেশি গোষ্ঠীর বসবাস নাগাল্যান্ডে। প্রতিটি আদিবাসী গোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি। খোনোমা ভিলেজ বিখ্যাত; কারণ এটিকে বলা হয় গ্রিন ভিলেজ অব ইন্ডিয়া, বা ভারতের প্রথম সবুজ গ্রাম। এর প্রবেশমুখেই একটি গির্জা। গ্রামে যেতে হলে পাহাড়ি পথের চড়াই-উতরাই পার হতে হয় অনেকখানি। পাথরখন্ড দিয়ে সরু পথ তৈরি করা আছে বলে পিছলে পড়ার ঝুঁকি নেই। এক পাশে পাহাড়, অন্য পাশে উপত্যকা। উপত্যকাজুড়ে সবুজ ধানখেত। ক্রমান্বয়ে ছোট ছোট একেকটা খেত সারিবদ্ধভাবে ওপর থেকে নিচে নেমে এসেছে। এসব টুকরো টুকরো খেতে রয়েছে আইল। চলতি পথে বাড়িঘর যে নেই, তা নয়। একেকটা বাড়ির দূরত্ব ৫০০ মিটারের মতো। আমি আগেও অনেক পরিচ্ছন্ন গ্রাম দেখেছি ভারতে; তবে খোনোমা এদের সবাইকে হারিয়ে দেওয়া মতো। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে একেকটা দোচালা টিনের ঘর। কোনোটার দেয়াল কাঠের, কোনোটার পাকা। সবচেয়ে মধুর ব্যাপার হলো, সব বাড়ির সামনে ফুলের বাগানে লাল, হলুদ, গোলাপি ফুল হাসছে। কোথাও আবার ফুলের চাষ না করেও পাথরের ফোকর গলে বেশ তরতর করে বড় হয়েছে গুল্ম। সেখানে ফুটেছে ফুল। চারদিকে ভেজা ভেজা সুবাস। ফুলের রাজ্যের একেবারে চূড়ায় কী আছে, তা তো একবার দেখে নেওয়াই যায়!
সিঁড়ির পর সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ের একেবারে মাথায় আছে এ গ্রামের দুর্গ। খন্ড খন্ড পাথর দিয়ে তৈরি এ দুর্গে ইচ্ছে করলে গ্রামের প্রায় সবাই লুকিয়ে থাকতে পারবেন। তেমনটিই করেছিলেন গ্রামবাসী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান যখন আক্রমণ করেছিল। দুর্গে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে তো বহুকাল আগের কথা। এখন এই দুর্গ থেকে দেখা যায় আশপাশের অনেকখানি জায়গা। সে রকম মনের মতো, সে রকম কাছে টানার মতো! আজ আকাশ আর মেঘ সদয় হয়েছে আমার ওপর। বৃষ্টি নেই।
এ গ্রামের শাসনকাজ চালায় গ্রাম পঞ্চায়েত। আগে যখন পড়াশোনা চালু হয়নি, তখন ছেলেমেয়েরা বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে দীক্ষা নিত। এখন একটা স্কুল রয়েছে। বেশির ভাগ মানুষই শিক্ষিত, মোটামুটি ইংরেজি বলতে জানেন। গ্রাম ঘুরে বেড়াতে দুপুর হয়ে এলো। নারো আমাকে কথা দিয়েছিলেন, স্থানীয় খাবার খাওয়াবেন; তাই খোনোমা গ্রামেরই একটি বাড়িতে অতিথি হিসেবে গেলাম। বাড়িটি আমোং ও হোতোলি নামক এক যুগলের। তাদের দুই ছেলে—পাঁচ ও তিন বছর বয়সী। এরা কেউই ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে নেই। হাতে নেই তীর-ধনুক বা রামদা। একেকজনের হাসি দেখলেই মন গলে যায়। আমাদের কল্পনায় দেখা কোনো ভয়ানক আদিবাসী এরা হতেই পারেন না; বরং এরা ভীষণ শান্ত ও শান্তিপ্রিয়।
নাগা খাবারের অন্যতম জনপ্রিয় উপাদান নাগা মরিচ। ঝালের কারণে এই মরিচকে ভূত মরিচও বলা হয়। স্থানীয় নাম জোলোকিয়া। আমাদের দেশে নাগা মরিচের আচার খুব নাম করেছে। নাগাল্যান্ডের প্রধান খাবার ভাত। এর সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরনের সবজি সেদ্ধ, সবজির বীজ সেদ্ধ, ফারমেন্টেড ব্যাম্বু শুটস, আখুনি বা ফারমেন্টেড সয়াবিনের সঙ্গে মাংস। অতিথি হিসেবে এসেছি বলে এদের প্রতিটি বিখ্যাত খাবার রান্না হয়েছে আজ। সবজি সেদ্ধতে স্বাদের কিছু বলবার নেই; তবে আখুনি রান্না হয় জঙ্গল থেকে তুলে আনা বিভিন্ন বনস্পতি মসলার সমাহারে। ভাতের সঙ্গে খেলে মনে হবে এ রকম খাবার আসলে একবার খেতে নেই; বারবার খেতে হয় বিভিন্ন ছুতোয়!
খাওয়া শেষ করে আজকের জন্য বাকি দিনটা ঘুরে বেড়াব ধানখেতে। ধানখেত সবে সবুজ থেকে সোনালি রঙা হতে শুরু করেছে। কী যে মোহ এই ধানখেতের বদলে যাওয়া রঙে! আমাদের দেশের অগ্রহায়ণ মাসের মতো লাগছে দেখতে। এরই মাঝে ফিক করে হেসে উঠল সূর্য। ধানখেতের সোনার বরণ, পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে একেক রং ছড়িয়ে ছবি এঁকে গেছে এই পাহাড়ি নীরব অঞ্চল। এরই মাঝে আমি দেখি একটি সম্পন্ন, সম্পূর্ণ, সুখী, প্রত্যন্ত জনপদ। চাওয়া-পাওয়ার হিসাব নেই; জীবন ও জীবিকায় নেই কোনো আড়ম্বর। তুরস্কের কবি নাজিম হিকমতের মতো বলতে ইচ্ছে করে, ‘জীবন বড় সুন্দর, ব্রাদার!’
ফাতিমা জাহান
ছবি: লেখক
আমি যেতে চাই। কি ভাবে যাব, কেমন সময় ও খরচ লাগে? জানাবেন, প্লীজ।