রাশি রসদ I মকর মিল
ডিসেম্বরের ২২ থেকে জানুয়ারির ২০ তারিখের মধ্যে যাদের জন্মদিন, তাদের রাশি মকর। এ রাশির জাতকদের চেয়ে জাতিকারা একটু বেশি ভোজনরসিক হলেও এ মাসে তা উল্টো হওয়ার সম্ভাবনা। তবে মকর রাশির স্থূলকায় ব্যক্তিদের জন্য দুঃসংবাদ। মেদ সহজে কমানো যাবে না এ মাসে। সে জন্য ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো। এ ঋতুতে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়াই ভালো হবে মকরদের। কেননা, যারা শারীরিক কসরত করেন, তাদের হাড়ে চোট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া মকর রাশির বডি সল্ট হচ্ছে ক্যালসিয়াম ফসফেট। তাই খেতে হবে ডুমুর, গরুর দুধ, মাংস, কমলা, ডিমের কুসুম, কাজুবাদাম ইত্যাদি।
মকর রাশির জাতিকাদের এ মাসে কিছুটা মনভুলো সমস্যায় পড়তে হতে পারে। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতেই ফোন খোঁজা কিংবা হাতে টাওয়েল নিয়েই টাওয়েল খোঁজার মতো ঘটতে পারে ঘটনা! তাই মকর রাশির নারীরা এ ঋতুতে বাদাম, তৈলাক্ত মাছ, মিল্ক শেক, ডালিমের রস, কোকোয়া, বিটরুট ও গ্রিন টি খেলে উপকার পাবেন। যাদের অনিদ্রা আছে, তাদের এ বছর সমস্যাটি কিছুটা কমে আসতে পারে। ফলে যারা নিয়মিত ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমান, তারা আরেকবার ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে পারেন—ওই ওষুধ সেবন চালিয়ে যাবেন কি না। যেসব খাবার ঘুম বাড়ায়, যেমন পাকা কলা, আলু ও মধু এড়িয়ে চলাই ভালো হবে।
মকর রাশির জাতকদের জন্য মাসটি খুবই কর্মব্যস্ত যাবে। তাই সময় বের করা খুবই কঠিন। ফলে নিয়ম মেনে খাবার খাওয়াও খুব একটা সহজ হবে না এ ঋতুতে। এতে গ্যাস্ট্রিকে ভোগার আশঙ্কা রয়েছে। তাই অতিমাত্রায় অম্লযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
মকর রাশির শিশুদের জন্য বছরটি আনন্দের হতে পারে। এ বছর পেটের পীড়ায় ভোগার আশঙ্কা বেশ কম। কিন্তু যেসব শিশুর দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা, যারা চশমা ব্যবহার করছে, তাদের চশমার পাওয়ার বদলাতে হতে পারে। যেসব শিশু এখনো চশমা নেয়নি, ওদের চশমা নিতে হতে পারে। আর তা এড়াতে চাইলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে—এমন কিছু খাবার প্রতি বেলায় রাখা চাই। যেমন গাজর, ভুট্টা, আপেল, টমেটো, পাকা আম, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া ও ক্যাপসিকাম। তা ছাড়া খেতে হবে সবুজ শাকসবজি, যেমন পালংশাক, শজনেপাতা, লেটুসপাতা, বাঁধাকপি ইত্যাদি।
মকর রাশির সবার জন্য এ মাসে যাত্রা শুভ। তবে ভ্রমণে বিপত্তি ঘটাতে পারে স্ট্রিট ফুড ও দূষিত পানি থেকে। তাই যাত্রাপথে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা চাই। মকর রাশির যাদের বয়স ত্রিশ পেরিয়েছে, তাদেরকে ক্লান্তি চেপে ধরতে পারে। একবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াই শ্রেয়। এ রাশির বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদের জন্য কিছুটা দুঃসংবাদ আছে। যারা প্রেশার ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন, ওষুধ তাদের শরীরে ঠিকঠাক কাজ না-ও করতে পারে। তবে উপযুক্ত খাবারগুলো পথ্য হিসেবে ভীষণ কাজে দেবে। এমনকি তা ওষুধের চেয়ে বেশি কাজে আসতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে কাঁচা লবণ, চিনি ও তেল যথাসম্ভব কমিয়ে খাওয়া খুবই জরুরি। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে।
ভাগ্যে বিশ্বাসী মকর রাশিদের ভাগ্যের চাবিকাঠি রয়েছে ঋতুভিত্তিক ফল ও সবজিতে। এ ঋতুর ফল ও সবজিগুলো যত বেশি খাওয়া যাবে, ভাগ্য ততই হয়ে উঠবে চনমনে। পুরো বছর মকরদেরকে মাদক থেকে সাবধান থাকতে হবে। তাতে মৃত্যুযোগ রয়েছে।
কুমারীল ভট্ট
ছবি: ইন্টারনেট