অ্যাডভার্টোরিয়াল I পোরসেলিনা: সিরামিকে শিল্পসম্ভার
বাংলাদেশের বাজারে একসময় যেসব টেবিলওয়্যার ছিল, সেগুলো এক রঙের মধ্যেই পাওয়া যেত। সিরামিকপ্রেমী রুচিশীল ক্রেতাদের জন্য যা ছিল বিশাল সীমাবদ্ধতা। বছরের পর বছর একই রকমের টেবিলওয়্যার দেখে ক্রেতারা যখন হাঁপিয়ে উঠেছিলেন, ঠিক তখনই নতুন দিকের সূচনা করে পোরসেলিনা। রুচিশীল ক্রেতাদের মনের খোরাক জোগাতে ভিন্ন ভিন্ন রঙের মডার্ন সব নকশায় খুব দ্রুত ক্রেতাদের ডাইনিংয়ে ঠাঁই করে নিয়েছে ব্র্যান্ডটি।
পোরসেলিনা বরাবরই চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশের মানুষের সামনে আন্তর্জাতিক মানের সিরামিক পণ্য হাজির করতে। সে উদ্দেশ্যে এর ডিরেক্টর সালমান মোরশেদ আকাশ ও আবির মোরশেদ তাদের টিমসহ নিরলস কাজ করে চলেছেন। পোরসেলিনা তাদের সিরামিক টেবিলওয়্যারের ক্ষেত্রে পপ কালচার, অ্যাবস্ট্রাক্ট ডিজাইন ও পোস্ট-মডার্নিজম আর্ট নিয়ে কাজ করছে শুরু থেকেই। গৎবাঁধা ডিজাইনের বাইরে গিয়ে প্রকৃতি, সিনেমা, কার্টুন, গেমস, গান, এমনকি অন্তর্জালের মিমগুলোকে থিম হিসেবে নিয়ে নকশা করা হয়েছে এ ব্র্যান্ডের পণ্যসম্ভার। এ কারণে কোমলমতি শিশু থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠদের পছন্দের সিরামিক ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে পোরসেলিনা। ট্রেন্ডের বিবেচনায় এ ধরনের থিম নিয়ে সবার আগে হাজির হয়েছে এটি।
পোরসেলিনা তাদের পণ্যকে সব সময় চেয়েছে ট্রেন্ডি রাখতে। এ কারণে তারা বাজারের বাকি সব সিরামিক টেবিলওয়্যার কোম্পানি থেকে নিজেকে আলাদা করতে পেরেছে। অন্য টেবিলওয়্যার কোম্পানিগুলো যখন শুধুই রঙিন পণ্য দিচ্ছে, সেখানে পোরসেলিনা নিজেকে নিজের কম্পিটিটর হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে নতুন সব আকর্ষণীয় ডিজাইন দিয়ে। পোরসেলিনা পণ্যগুলোর রং ও নকশা—সবকিছুতেই ক্রেতাদের তুষ্ট করতে সক্ষম। টপ, বটম কিংবা সাইড—সব অ্যাঙ্গেলে রয়েছে সৌন্দর্যের সুষম উপস্থিতি; যা ক্রেতাদের দৃষ্টি-ইন্দ্রিয়কে মুহূর্তেই এক বিশুদ্ধ শিল্পের আবহে মোহিত করে তোলে।
গতানুগতিক ধারার সিরামিক পণ্য থেকে বেরিয়ে বাসনকেও যে ‘আর্ট ক্যানভাস’ করে তোলা যায়, এই ভিন্নধারার চিন্তার অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’ সালমান মোরশেদ আকাশ। বর্তমানে তিনিই প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর। তরুণ ও উদ্যমী এই উদ্যোক্তা কোয়ালিটির ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ। চেনা চৌহদ্দির বাইরে চিন্তা করতে পেরেছেন বলেই আজ দেশের ঘরে ঘরে পোরসেলিনার উপস্থিতি ও কদর। তবে এই শিল্পমনের পরিচর্যা করতে হয়েছে মি. আকাশকে। প্রায় অর্ধেক পৃথিবী ঘুরে বেরিয়েছেন শিল্প-সমঝদার এই ব্যক্তি। দেশ-বিদেশের মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের উপলব্ধি, রুচি ও অভিজ্ঞতাকে নিজের ঝাঁপিতে বয়ে বেরিয়েছেন। সেই অভিজ্ঞতার সম্পূর্ণটাই ঢেলে দিয়েছেন পোরসেলিনায়। অবশ্যই সর্বোচ্চ মেধা ও পরিশ্রমের মিশেলে। সালমান মোরশেদ আকাশ ডাইনিং টেবিলে বিশুদ্ধ শিল্পের যে এক প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন, তা দেশের মানুষের ভালোবাসায় বেড়ে গেছে বহুগুণ।
নান্দনিকতার সঙ্গে তৈজসের শিল্পসম্মত মিশেলের সিরামিক পণ্য পোরসেলিনার হদিস মিলবে রাজধানীর গুলশান ২-এ। এখানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিশাল এক ডিসপ্লে সেন্টার। গ্রাহকদের সহজ যোগাযোগের কথা বিবেচনা করেই শোরুমের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে স্থানটি। স্থাপত্যশিল্পী মিস আনিকা তাবাসসুম অত্যন্ত কৌশলী নকশা করেছেন এই আউটলেটের। ফলে ক্রেতারা সেখানে সময় কাটাতে স্বস্তিবোধ করেন। পণ্যগুলো ডিসপ্লে করার ক্ষেত্রেও ক্রেতাদের আরামদায়ক কেনাকাটার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। পোরসেলিনা ফ্যাগশিপ ৮টি শোরুম নিয়ে রয়েছে ঢাকাসহ চট্টগ্রাম ও সিলেটে। ঢাকায় গুলশান ২, বনানী ১১, উত্তরা ১১ ও ৭, মিরপুর ১, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড, এলিফ্যান্ট রোডে প্রতিষ্ঠানটির শোরুম রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার মোহাম্মদপুর, ওয়ারী, ধানমন্ডি ও বেইলি রোড এবং নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও খুলনায় নতুন আরও কয়েকটি শোরুম খোলার কাজ চলছে।
পোরসেলিনার প্রতিটি শোরুম আধুনিক ডিজাইনের মিশেলে তৈরি। ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে নিজেদের শোরুমগুলোর ডেকোরেশন, লাইটিং, ইন্টেরিয়র—সবকিছুতে রেখেছে নান্দনিকতার ছোঁয়া। পোরসেলিনা পণ্য নয়, সব সময় চেয়েছে ক্রেতাদের কাছে টেবিলওয়্যারের এক নতুন শিল্প পৌঁছে দিতে।
পোরসেলিনা ক্রেতার কাছে শুধু পণ্য বিক্রি করে না; পণ্য ব্যবহার-পরবর্তী ভোক্তাদের সন্তুষ্টির দিকেও সূক্ষ্ম নজর রাখে। ফলে ব্র্যান্ডটি ক্রেতাদের আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছে। নিজেরা ব্যবহারের পাশাপাশি আজকাল অন্যদেরও পোরসেলিনার সিরামিক পণ্য ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন এর সম্মানিত গ্রাহকেরা।
পোরসেলিনার পণ্য তৈরির কাঁচামাল হলো সর্বোৎকৃষ্ট পোরসেলিন। পণ্য তৈরিতে পরিবেশের নিরাপত্তাকে শতভাগ গুরুত্ব দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ও রং এড়িয়ে চলে। পরিবেশে কার্বন নিঃসরণে একেবারেই নারাজ পোরসেলিনা। তা ছাড়া কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়েও সজাগ কর্তৃপক্ষ।
ছবি: পোরসেলিনা