রাশি I লাইফ ইজ বিউটিফুল
মেষ
মানুষকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দেওয়াটা খুব জরুরি। তাতে নিজেরও মর্যাদা হারাবার সুযোগ কম থাকে। সবচেয়ে বড় কথা, এতে জীবনটা অপার্থিব আনন্দে ভরে যায়। এই আনন্দ লাভের সুযোগ হারাবেন না প্রিয় মেষ। নেগেটিভ কিছু মনের ধারে-কাছেও ঘেঁষতে দেবেন না।
মিথুন
কর্মোদ্যম থাকার একটা গোপন ও সহজ মন্ত্র আপনাকে বলি। তা হলো পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর আনন্দ। যতই কাজের চাপ থাকুক না কেন, মন প্রসন্ন থাকলে নিমেষেই তা শেষ করে নেওয়া যায়। ফলে পর্যাপ্ত সময় হাতে পাওয়া যায় আর বেড়ানোর কাজে সময়টুকু নিশ্চিন্তে ব্যয় করা যায়।
সিংহ
নেতিবাচক কিছুই মনের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এমন কিছু তাই মনে এনে অশান্তি বাড়াবেন না। অযথা খরচ অনেক সময় বিপাকে ফেলে দেয় বটে, তাই বলে একেবারে হাত গুটিয়ে নিতে হবে, তা-ও নয়। পরিবারের জন্য সময়ের বরাদ্দটা এবার কিছুটা বাড়িয়ে দিন। আর সহকর্মীদের সঙ্গে সুন্দর একটি সম্পর্ক তৈরি করুন। প্রথমটায় সম্পর্ক ভালো থাকবে, পরেরটায় সাফল্যের পথ সুগম হবে।
তুলা
এগোনোর পথে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো সাহস। কথায় কথায় পিছিয়ে পড়া মানুষ আদতে ভীতু। এরা নিজের বা অন্যের ভালো করতে অক্ষম। মন খারাপ না করে মনোবল দৃঢ় রাখুন। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন, এতে ঝিমিয়ে পড়া মন চাঙা হয়ে উঠবে নিশ্চিত।
ধনু
সব ঝামেলা থেকে সহজে কি আর ফুসরত মেলে? তবে সহনীয় করে তোলার চেষ্টা তো করা যেতেই পারে। মনোযোগ রাখুন নিজের লক্ষ্যে। মনের আকাশে হঠাৎ মেঘ জমতে শুরু করলেও মনোযোগ কিন্তু কোনোভাবেই জায়গা থেকে নড়ানো যাবে না। তার ফল নিজেই পাবেন। সমস্যার জট ছাড়িয়ে নিজেকে তুলোর মতো হালকা মনে হবে।
কুম্ভ
হঠাৎ কিছু বিষয় জীবনে এসে যায়, যা গতিপথ কিছুটা হলেও পাল্টে দেয়। ভয় না পেয়ে ব্যাপারগুলো ইতিবাচকভাবে নেওয়ার চেষ্টা করাই শ্রেয়। পরিবর্তনটা যদি হয় কর্মক্ষেত্রে, তবে সেখানে শতভাগ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। নতুবা পিছলে পড়ার সুযোগ তৈরি হবে।
বৃশ্চিক
কেউ আপনাকে নিচু করে দেখানোর চেষ্টা করতেই পারে। কিন্তু জানা তো আছে যে আপনি কী। লোকে যা-ই বলুক, নিজের কাছে আপনার অবস্থান ক্লিয়ার থাকাটাই জরুরি। যে আত্মীয় সর্বদা ক্ষতি করতে ব্যস্ত, তাকে ছক্কা মেরে সোজা মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিন। জীবনটাকে যতটুকু পারা যায় ঝামেলামুক্ত রাখুন।
কর্কট
সীমাবদ্ধতা থাকবেই। তাই বলে চিন্তার জগৎ সুবিস্তৃত রাখতে তো দোষ নেই। এতে সব সীমাবদ্ধতা হয়তো টপকানো যায় না, তবে চলার পথ সহজ করে নেওয়া যায়। প্রিয় কর্কট, জীবনের বেড়াগুলো ভেঙে ফেলে মানুষের সঙ্গে মিশে যান। সমাজের ঠুনকো বিধিনিষেধকে যাপনের বাধা হতে দেবেন না। দেখুন না কেমন বিন্দাস একটা জীবন পেয়ে যাচ্ছেন।
কন্যা
সব বিষয়ে মানুষের জ্ঞান থাকতে হবে এমন মাথার দিব্যি কেউ কখনো কাউকে দিয়েছে? ক্ষুদ্র জীবনে মানুষের পক্ষে সব জেনে ফেলা সম্ভবও নয়। কন্যা, এসব ভেবে একদম মন ছোট করে রাখবেন না। কথায় বলে, ছোটবেলার বন্ধুরাই নাকি প্রকৃত বন্ধু। এদের সঙ্গে সময়টাও কাটে চমৎকার। সময়টা তাদের সঙ্গেই বেশি কাটান। মনটা আরও প্রসারিত হবে।
বৃষ
কেউ যখন সরাসরি খুব ভালো বলে, বুঝে নেবেন ব্যাপারটা সন্দেহজনক। খারাপ কথাটা সামনা-সামনি বলা যায় না বটে। তবে বললেও খারাপ লাগার কিছু নেই, বরং নিজেকে শুধরে নেওয়াটা সহজ হয়। আর ভালো বললেও গদগদ হওয়ার কিছু নেই। মনে রাখবেন, এতে নিজের ত্রুটিগুলো ঢাকা পড়ে যায়।
মকর
বিষণ্নতা ডেঞ্জারাস একটা শব্দ। একে নিজের আশপাশে ঘেঁষতে দেবেন না। যদি কোনোভাবে ঘরে ঢুকে পড়ে, অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদেয় করুন। ভালো থাকবেন। মনের সজীবতাকে টেকসই করার চেষ্টা করুন। অন্যকেও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করুন। লাইফ ইজ বিউটিফুল।
মীন
অর্থনৈতিক দৃঢ়তা একলা চলার শক্তি জোগায়। আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। তাই টাকাপয়সা কিছু নয় এমন কথায় কান দেবেন না। শুধু টাকাকে জীবনের একমাত্র অবলম্বন বা আনন্দের উৎস না ভাবলেই হলো। সমতা জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে, মাথায় রাখবেন।