লোগো লিগ্যাসি I প্রাদা
দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাদা, মনে আছে মুভিটার কথা? এবারের গল্প প্রাদাকে নিয়ে। ইতালিয়ান ডিজাইন হাউস এটি। ছোট লাগেজ তৈরির বুটিক থেকে হাই ফ্যাশন ব্র্যান্ড, যাত্রাটা এমনই। মিলানে ১৯১৩ সালে শুরুয়াত। ফাউন্ডার মারিও প্রাদা এবং তার ভাই মার্টিনো। তাদের লাক্সারি লেদার লাগেজের জনপ্রিয়তা পৌঁছে গিয়েছিল ইতালির রাজপরিবারে। ১৯১৯ সালে সম্পন্ন হয় চুক্তি। প্রাদা পরিণত হয় অফিশিয়াল সাপ্লায়ারে। এই রাজাধিরাজের সঙ্গ প্রভাবিত করে ব্র্যান্ডটির লোগোকে। দেখা যায় রয়্যাল ফ্যামিলির অস্ত্র ও মুকুট। তখনকার লোগোতে উপস্থিত ছিল আরও একটি লাইন। যেখানে লেখা ছিল ‘মিলানো ডাল ১৯১৩’। অর্থাৎ জন্মস্থান আর জন্মসাল। এই লোগো কখনোই সম্পূর্ণভাবে বদলে ফেলা হয়নি। তবে চাহিদা মোতাবেক আনা হয়েছে পরিবর্তন। বেস্ট লাক্সারি লোগো হিসেবে স্বীকৃতিও পেয়েছে।
ফন্ট
টাইপফেস আনকোরা। আপারকেইস লেটারে লেখা। ফন্টে দেখা যায় দুই স্ট্রোকে তৈরি বর্ণ। মোটা দড়ি দিয়ে বানানো একটি উপবৃত্তের মাঝে প্রাদা লেখাটি ছিল। পরে সেই উপবৃত্ত বদলে হয়েছে ত্রিভুজ। এটি প্রথম ব্যবহার করেন মারিও প্রাদা। ত্রিভুজের তিনটি কোণ তিনটি বিষয়কে প্রকাশ করে—মান, নৈপুণ্য ও আভিজাত্য।
রং
কালার প্যালেটের শক্তিশালী দুই রং নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রাদার লোগো। সাদা আর কালো। কিন্তু বিশেষ উপলক্ষকে কেন্দ্র করে পরিবর্তন হয় এই লোগো। সোনালিতে রাঙানো হয়। আভিজাত্যের চূড়ান্ত প্রদর্শনে। আবার, কখনো কখনো সাদা রংও ব্যবহার করা হয়।
প্লেসমেন্ট
প্রাদার লোগো মিনিমাল। আর লোগো ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই লেবেল ছোট ফন্ট ব্যবহার করে। প্রোডাক্টের ট্যাগে, বাকেলে দেখা যায়। খুব বেশি দৃশ্যমান হয় না।
ফ্যাশন ডেস্ক
ছবি: ইন্টারনেট