ফ্যাশন ফ্যাক্ট I হিলের হকিকত
সে শুনে তো চক্ষু চড়কগাছ! নারীদের জন্য নয়, পুরুষদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয় প্রথম হাই হিল জুতা। দশ শতকে, প্রাচীন পারস্যে। সেনাবাহিনীর সৈনিকদের জন্য। নিরাপদে ঘোড়ায় চড়তে। উঁচু হিল গ্রিপ ধরে রাখার ক্ষেত্রে দারুণ কাজের হিসেবে বিবেচিত হয় সে সময়। ঘোড়ার পিঠে বসে ভারসাম্য বজায় রেখে তীর ছোড়ার ক্ষেত্রেও হিলের সাপোর্ট ছিল দুর্দান্ত। এমন কার্যকারিতার খবর খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে পারস্য সাম্রাজ্যের বাইরেও কদর বাড়তে শুরু করে হিলের। পরে ইউরোপে পাড়ি জমায় পুরুষদের হিল। পুরুষ শাসকদের পায়ে জেঁকে বসে। রাইডিং হিল বা লুই হিল হিসেবে এর নাম ছড়িয়ে পড়ে পুরুষদের মুখে মুখে। হয়ে ওঠে ঐশ্বর্যের প্রতীক। সতেরো শতকে ইউরোপিয়ান কোর্টে এর রমরমা বাড়ে। হিল পরিণত হয় পুরুষালি ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গে। রাজ-রাজড়া থেকে ইউরোপিয়ান অভিজাত মহলে বিভিন্ন ধরনের হিল হয়ে ওঠে স্ট্যাস্টাস সিম্বল। তবে এই শতকের শেষ দিকেই আবেদন হারায় পুরুষদের কাছে।
মিনি স্কার্ট মাজেজা
ব্রিটিশ ফ্যাশন ডিজাইনার ম্যারি কোয়ান্টের উদ্ভাবন মিনি স্কার্ট। সেই ১৯৬০ সালের প্রথমার্ধে। সে সময়কার ক্রমবর্ধমান ফেমিনিনিটির প্রকাশক হয়ে ওঠে এই পোশাক। সিক্সটিজ এবং সেভেনটিজের ফেমিনিস্ট মুভমেন্টেরও প্রতীক হিসেবেও তরুণদের মাঝে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে মিনি স্কার্ট। এর নকশার পেছনে প্রাণ জুগিয়েছিল লন্ডনের স্ট্রিট স্টাইল। এর আগপর্যন্ত স্কার্ট সাধারণত হাঁটু ছোঁয়া অথবা তার নিচ অব্দি হয়ে থাকত। সবচেয়ে মজার ব্যাপার ঘটেছে এর নামকরণ নিয়ে। মিনি স্কার্টের নামকরণ করা হয়েছে ‘মিনি কুপার’ নামক গাড়ি থেকে। তা থেকেই-বা কেন এই নামকরণ? কারণ, ডিজাইনারের সবচেয়ে পছন্দের গাড়ি সে। কোয়ান্টের মতো মিনি স্কার্ট এবং মিনি কুপারের মধ্যে বেশ কিছু সাদৃশ্য বিদ্যমান। দুটোই অপটিমিস্টিক, ইয়াং অ্যান্ড ফ্লার্টি।
ফ্যাশন ডেস্ক
ইলাস্ট্রেশন: সংগ্রহ