আড্ডা I দ্য নেম গেম
নিজের নামে ব্র্যান্ড নেম রাখার চর্চা বিশ্বব্যাপী নন্দিত। হাই এন্ড লাক্সারি, কনটেম্পরারি, স্ট্রিট ওয়্যার—সবখানেই দেখা যায় এই ধারা। আর ডিজাইনারের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক হিসাব-নিকাশ। বাংলাদেশের ফ্যাশন বাজারের বিস্তৃত কলেবরেও দেখা যায় নিজ নামের ব্যবহার। তরুণ সাত ফ্যাশন ডিজাইনার ক্যানভাস ঈদ আড্ডায় জানালেন তাদের এই সিদ্ধান্তের পেছনের গল্প, দর্শন আর অভিজ্ঞতা
ক্যানভাস: বিশেষ ঈদ আড্ডায় আজ আলোচনা করতে চাই আপনাদের নিজ নিজ ব্র্যান্ডের নাম আর সেগুলোর পেছনের গল্প নিয়ে। প্রথমে জানতে চাই আপনারা কেন নিজের নামকে বেছে নিয়েছেন ব্র্যান্ডের নাম রাখার জন্য?
ইমাম হাসান: ধন্যবাদ। আমার ব্র্যান্ডের নাম লেবেল ইমাম হাসান। ব্র্যান্ডের নাম হিসেবে নিজের নামকেই বেছে নিয়েছি। কারণ, আমি চেয়েছি, কাজের মাধ্যমে মানুষ আমাকে চিনতে পারুক। ভাবনা বুঝতে পারুক।
আফসানা ফেরদৌসি: আমার ব্র্যান্ড আফসানা ফেরদৌসি। প্রথমে নাম রেখেছিলাম ট্রি। কিন্তু একদিন গুগল করে খুঁজে পেলাম, সুইজারল্যান্ডে এই নামে একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড আগে থেকে কাজ করছে। সিদ্ধান্ত নিলাম নাম বদলের। কারণ, প্রথম থেকেই আন্তর্জাতিক ফ্যাশন বাজারে কাজ করার বিষয়ে ভেবেছি। কিন্তু নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে কোনো নামই পছন্দ হচ্ছিল না। একদিন রাতে একটি কার্ড ডিজাইন করতে গিয়ে স্ক্রিনে নিজের নাম লিখলাম। নিজের নামকে ব্র্যান্ডের নাম হিসেবে ভালো লেগে গেল। সিদ্ধান্ত নিলাম, নিজ কাজকে নিজের নামেই পরিচিত করব।

আজিম উদ্দৌলা
আজিম উদ্দৌলা: এ জে আমার ব্র্যান্ডের নাম। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে নিজের নামেই পরিচিতি তৈরি হয়েছে। ফ্যাশন ব্র্যান্ড তৈরির সময়েও চেয়েছিলাম নামটি সামনে নিয়ে আসতে। প্রথমে রাখতে চেয়েছিলাম আজিম। কিন্তু শুভাকাঙ্ক্ষীরা পরামর্শ দেন একটু সৃজনশীলভাবে ভাবতে। সেখান থেকেই উৎসাহ। নিজের নামের দুটি অক্ষর নিয়ে ব্র্যান্ড নেম রেখেছি।
তানহা শেখ: আমার নাম তানহা আর ব্র্যান্ডের নাম তান। অনেকে মনে করেন, আমার নামের একটি অংশ বেছে নিয়ে শুরু করেছি কাজ। কিন্তু নিজের নামের বাইরেও একটি মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট এখানে ভূমিকা রেখেছে। আমার খুব পছন্দের বাদ্যযন্ত্র তানপুরা। তানপুরার বিশেষত্ব হচ্ছে, এটি এমনভাবে সুর তৈরি করে, যা নিজেকে প্রধান না করে অন্য সুরগুলোকে সুযোগ করে দেয়। তৈরি হয় মন ছুঁয়ে যাওয়া আবহ। এই তানপুরা থেকেই ধার করেছি আমার ব্র্যান্ড নেম, তান।
মাহিয়া নিনান পৌষী: আমার নামের শেষ অংশ পৌষী। এটাই আমার ব্র্যান্ডের নাম। নামটি নির্বাচন করেছি অজান্তেই। আমার নকশা করা পোশাক প্রথমবার বিক্রি করেছিলাম নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে। যেখানে এ নামেই সবাই আমার পোশাক চিনেছে। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে নিজের নামকেই অফিশিয়ালি ব্র্যান্ড নেম করেছি।

সাফিয়া সাথী
সাফিয়া সাথী: কাজ শুরু করেছিলাম খুব ছোটবেলায়। নাম নিয়ে ভাবিনি তখন। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে পোশাক নকশা করেছি বোন আর তার বন্ধুদের জন্য। প্রশংসিত হয়েছিল সে কাজ। এরপর ধীরে ধীরে সময় গড়ায়। অনুভব করি একটি নাম প্রয়োজন ব্র্যান্ডের জন্য। বন্ধুদের পরামর্শও নিই। চেয়েছিলাম এমন কোনো নাম রাখতে, যেটি প্রতিনিধিত্ব করবে রঙিন পোশাকের। কিন্তু কোনো নামই সেভাবে মন কাড়েনি। শেষমেশ নিজের নামকেই বেছে নিলাম।
ফারিহা তাসমীন: আমার নাম ফারিহা। আর ব্র্যান্ডের নাম ফারিহা বাই ভায়োলা। ক্লাস সেভেনে নিজের ক্লাস পার্টির জন্য প্রস্তুত করেছিলাম প্রথম ডিজাইন। নিজের জন্য একটি জামা। পেয়েছিলাম বিপুল প্রশংসা। বান্ধবীরা উৎসাহ দিয়েছিল। সেখান থেকেই নিজের নামে নিজস্ব কাজকে পরিচিত করার প্রয়াস শুরু। ভায়োলা অর্থ ভায়োলেট। এই রং অনেক বেশি ব্যবহার করি। তাই সেখান থেকেই শব্দটি ফারিহার সঙ্গে যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ক্যানভাস: আপনাদের এই সিদ্ধান্তের পেছনের ফিলোসফি কী?
ইমাম হাসান: আমার ছোটবেলা কেটেছে গ্রামে। নানাবাড়িতে। প্রকৃতির মায়া জড়ানো এক গ্রামে। সবার থেকে আলাদা ছিলাম। ছিলাম অন্তর্মুখী। ভালো লাগত সৃজনশীল কাজ করতে আর প্রকৃতির কাছে থাকতে। ফ্যাশন ডিজাইন আমার প্যাশন। কাজকে নিজের মতো প্রকাশের চেষ্টা করেছি এবং চেয়েছি ক্রেতাদের কাছে নিজস্বতাকে প্রকাশ করতে। সেই ভাবনাই কাজ করেছে লেবেল ইমাম হাসান তৈরিতে। উদ্দেশ্য ছিল, আমার ব্র্যান্ডকে চেনার আগে মানুষ আমাকে জানুক। ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করার উদ্দেশ্যে নিজের নাম বেছে নিয়েছি।
আফসানা ফেরদৌসি: নিজের নামকে ব্র্যান্ড নেম হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হুট করেই নেওয়া। এরপর খুঁজে পাই ব্র্যান্ড নেমের দর্শন—স্টোরি অব হ্যাভেন। আর আমার ব্র্যান্ডও স্টোরি টেলিং ব্র্যান্ড। প্রতিটি কাজের মাধ্যমে একেকটি গল্প মানুষের সামনে নিয়ে আসি। কখনো টেপা পুতুল, কখনো নদী। একের পর এক গল্প বলে যাওয়ার মাধ্যমেই ব্র্যান্ডটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই। আর ব্র্যান্ডের নামও তা-ই রিপ্রেজেন্ট করে।
আজিম উদ্দৌলা: ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে মডেল হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করার ফলে জানতাম কী কী ধরনের কাজ আমাদের দেশে হয়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হয়ে র্যাম্পে হেঁটেছি; দেখেছি তাদের পোশাক। নিজের মতো করে একটা ব্র্যান্ড তৈরির ইচ্ছা সেখান থেকে। তাই নিজের নামই সেখানে রাখতে চেয়েছি। আজিমের প্রথম দুই অক্ষর এ আর জেড। এই দুয়ে আমার নাম যেমন প্রকাশিত হয়, তেমনি ফ্যাশন জগতের আদ্যোপান্তও বোঝায়। শুরু থেকে শেষ—এ টু জেড।

তানহা শেখ
তানহা শেখ: আমার কাজকে সবার সামনে আনার জন্য প্রয়োজন ছিল একটি নামের। সেখানে নিজের সৃজনশীলতা, সংস্কৃতি আর মূল্যবোধকে তুলে আনতে চেয়েছি। মাস্টার্স শেষ করে নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করি। ছিল না তাড়াহুড়া। প্রয়োজন ছিল এমন একটি নামের, যেটি আমার কাজকে প্রকাশ করে। তানপুরা আমাদের দেশের একটি বাদ্যযন্ত্র। কাজও করি আমার দেশের নিজস্বতাকে কেন্দ্র করে। তাই তানপুরার প্রথম অংশ তানকেই বেছে নিয়েছি। ছোট্ট এই নামে লুকিয়ে আছে তানপুরার সুরের মূর্ছনা। যেমনটা তুলে আনতে চাই কাজেও।
মাহিয়া নিনান পৌষী: আমি কাজ শুরু করি ক্লাস নাইনে পড়ার সময়ে। ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করে শুরু হয় আমার যাত্রা। কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই। এক রাতে একটি গার্লস গ্রুপে পোস্ট করেছিলাম নিজের ডিজাইনটি। ঘুম ভেঙে সকালে দেখি, মানুষের প্রশংসায় ভাসছে আমার ফেসবুক। নিজের নামে তখন পাই পরিচিতি আর ভালোবাসা। তাই সেখান থেকেই আমার ব্র্যান্ডের নাম পৌষী।
সাফিয়া সাথী: ছোটবেলায় পুতুলের জন্য জামা বানাতাম। শৈশব কেটেছে ফ্যাব্রিক, সুই আর সুতায়। শুধু যে বানিয়েই ক্ষান্ত দিতাম, তা কিন্তু নয়। চাইতাম সবাই দেখুক। বলুক কেমন হয়েছে। পুতুলের জামা থেকে ভাগনের জামা; তারপরে বোন, বোনের বন্ধুদের পোশাক। ফ্যাশন ডিজাইনের বাইরে আর কিছু ভাবিনি। তাই নামেও সেই স্পর্শ রাখতে চেয়েছি। কাজকে নিজের নামেই সবার কাছে নিয়ে এসেছি।
ফারিহা তাসমীন: নিজের জন্য পোশাক বানাতে গিয়ে আমার যাত্রা শুরু। আর ছোটবেলা থেকে পছন্দের রং পার্পল। আবার, মনে হয় মানুষ যখন পোশাক কেনে, তখন ব্র্যান্ডের নামের সঙ্গে ডিজাইনারের নামও জানতে পারলে ব্র্যান্ডটি তার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পায়। সেই ভাবনা থেকেই নিজের নামকে ভায়োলার সঙ্গে যুক্ত করেছি।

মাহিয়া নিনান পৌষী
ক্যানভাস: আপনারা কি ব্র্যান্ডের নাম পরিবর্তন করতে চান? করলে সেটা কী হবে?
আজিম উদ্দৌলা: আমি কখনোই নাম চেঞ্জ করতে চাইব না। এটাই রাখতে চাই।
সাফিয়া সাথী: আমি এই নামেই রাখতে চাই সারা জীবন।
আফসানা ফেরদৌসি: কখনোই চেঞ্জ করব না।
তানহা শেখ: আমি এই নামেই রাখতে চাই।
ইমাম হাসান: আমি ব্র্যান্ডের নাম পরিবর্তন করতে চাই না।
ফারিহা তাসমীন: না। কখনোই পরিবর্তন চাই না।
মাহিয়া নিনান পৌষী: না। চাই না।

ফারিহা তাসমীন
ক্যানভাস: লোগোর নকশা তৈরির অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
ফারিহা তাসমীন: লোগো তৈরির সময় প্রথমে আমার ব্র্যান্ডের নামকে গুরুত্ব দিয়েছি। ব্র্যান্ডের নামটির দুটি অংশ। ভায়োলা তার প্রথম অংশ। এটি ইংরেজি শব্দ। এর প্রথম অক্ষর ভি থেকে তৈরি করেছি লোগো। আমার লোগোর নকশায় আছে হরিণের শিং। এমন শিং সব হরিণের মাথায় থাকে না। খুব দুর্লভ কিছু হরিণীর মাথায় দেখা যায়। এই শিং শক্তিকে নির্দেশ করে। আমি ব্র্যান্ডের জন্য এমন কিছু চেয়েছিলাম, যা ব্র্যান্ডকে শক্তিশালী করে উপস্থাপন করে। তাই সবকিছু ভেবে এই লোগো বেছে নিয়েছি।
আফসানা ফেরদৌসি: নিজেই লোগোর নকশা করেছি। কম্পিউটার স্ক্রিনে নিজের নাম লিখেছিলাম। উদ্দেশ্য, একটি কার্ড তৈরি। সেখানেই নিজের নাম লিখি। তারপরে আফসানার প্রথম অক্ষর এ এবং ফেরদৌসির প্রথম অক্ষর এফ পাশাপাশি বসিয়ে লোগো তৈরি করেছি। শিল্পী মন মুহূর্তেই খুঁজে পেয়েছিল লোগোটি।
মাহিয়া নিনান পৌষী: ২০১৩ সালে একটি র্যানডম লোগো বানিয়েছিলাম। তখন শুধু নামটি ছিল। এরপরে ৫ বছর বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ে কাজ করেছি। দেশের বাজার থেকে বাইরে ছিলাম। পরে ২০২০ সালে পুনরায় শুরু করি। একটি সুন্দর লোগো তৈরির প্রয়োজনীয়তা তখন বিশেষভাবে অনুভব করি। তখন বন্ধুদের সঙ্গে বসে লোগোর নকশা করি। আর নিজের নামের পাশে পাতা যোগ করি। এই রাফ লোগো পাঠিয়ে দিই ব্যাগ আর বক্স যিনি তৈরি করেন, তার কাছে। উনিই সম্পন্ন করেন বাকিটা। রং নির্বাচন আমার মাধ্যমে হয়েছে। আমি টিল কালার খুব পছন্দ করি।
তানহা শেখ: আমি ফ্যাব্রিক ম্যানুপুলেশন নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করি। তানের নকশায় সেটিই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি। এখানে ত বর্ণটি একটি পেঁচিয়ে আসা ফ্যাব্রিককে বোঝায়। ত-এর আকারটি নকশা করা হয়েছে সুইয়ের মতো করে। যেখানে আবার আছে সুতা। টিল গ্রিন ব্যবহারে আমি লোগো রং করেছি। কারণ, প্রকৃতি আমাকে উৎসাহিত করে। সেখান থেকে আর্দি টোনের প্রতি আমার ভালোবাসা।

আফসানা ফেরদৌসি
ইমাম হাসান: আমার ব্র্যান্ডের লোগোর নকশা নিজেই করেছি। লোগোতে উপস্থিত ক্রাউনটি মূলত আমার নামের ইংলিশ অক্ষরগুলো বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এর কারণ, আমি চাই ক্রেতা আমাকে চিনুক। যেহেতু সাসটেইনেবল লাক্সারি নিয়ে কাজ করতে চাই, তাই ব্যবহার করা হয়েছে জামদানির মোটিফ। আর রং হিসেবে ব্রাউন বেছে নিয়েছি; কারণ, আমি টেকসই তত্ত্বে বিশ্বাসী। তাই ধরণীর রঙে রাঙাতে চেয়েছি।
সাফিয়া সাথী: প্রথম লোগো শুধু আমার নামেই তৈরি করা হয়েছিল। নকশা করেছিল ছোট ভাই। পরে একটি আইকনসহ আবারও লোগো ডিজাইন নিয়ে কাজ করি। প্রকৃতি থেকে বেছে নিয়েছিলাম ময়ূর। আর ফন্টের ক্ষেত্রে চেয়েছি সহজে পড়া যায় এমন কিছু হোক। বর্তমানে রং র্যাডিশ পার্পল। তবে এটি পরিবর্তন করার কথা ভাবছি। পুকুরে জমে থাকা শেওলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে আমার। তাই এরপরে মস গ্রিন ব্যবহার করতে চাই।
ক্যানভাস: এমন একটি বৈশিষ্ট্য বলুন, যা আপনার ব্র্যান্ডে একদম স্পষ্ট।
ফারিহা তাসমীন: ভার্সাটাইলিটি।
মাহিয়া নিনান পৌষী: প্লাস সাইজ।
তানহা শেখ: ফ্যাব্রিক ম্যানুপুলেশন।
আফসানা ফেরদৌসি: স্টোরি টেলিং।
ইমাম হাসান: ফিউচার ফ্যাশন।
সাফিয়া সাথী: বিলাসবহুল অলংকরণ।
আজিম উদ্দৌলা: ইউনিক।
ক্যানভাস: গুগলে নিজের নাম খুঁজলে কখনো ব্র্যান্ড নেম এসেছে?
মাহিয়া নিনান পৌষী: এসেছে। সার্চ করলে আমার ব্র্যান্ড আর আমাকে নিয়ে করা নিউজের লিংক আসে। মজার বিষয় হচ্ছে, কক্সবাজারের রেস্তোরাঁ পৌষীর নামও আসে। অনেকে মনে করেন, সেটি আমার হোটেল!
ফারিয়া তাসমীন: আমার নাম সার্চ করলে সোশ্যাল হ্যান্ডেল আর আমাকে নিয়ে করা সংবাদের লিংক আসে। মন ভালো হয়ে যায়।
তানহা শেখ: তান লিখলে আমার ব্র্যান্ডের সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল হ্যান্ডেল অ্যাকাউন্ট এবং সংবাদ চোখে পড়ে।
আফসানা ফেরদৌসি: প্রাউড ফিল করি গুগলে নিজের নাম সার্চ করলে।
ইমাম হাসান: নাম সার্চ করলে আমাকে নিয়ে করা সংবাদ সামনে আসে। বেশ ভালো লাগে।
সাফিয়া সাথী: হ্যাঁ। নিজের নাম সার্চ দিলে ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, নিউজ—সব আসে। কাউকে কখনো ‘আমি কে জানিস?’ বলে বাংলা সিনেমা স্টাইলে থ্রেট দিতে ইচ্ছা করলে আমার নাম সার্চ দিয়ে দেখাব যে আমি কে! হা হা হা!
ক্যানভাস: নিজের নাম ব্র্যান্ড নেম হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণে কোনো আফসোস হয়?
ফারিহা তাসমীন: না, একদম না।
মাহিয়া নিনান পৌষী: না, কোনো রিগ্রেট নেই।
তানহা শেখ: না, আমি এই নামেই খুশি।
আফসানা ফেরদৌসি: না, কোনোভাবেই না।
ইমাম হাসান: না।
সাফিয়া সাথী: না। আমি এই নামই চাই।
আজিম উদ্দৌলা: না। আমি এ জে নামেই থাকতে চাই।
অনুলিখন: সারাহ্ দীনা
ছবি: ক্যানভাস