ফিচার I অন্য প্রিয়াঙ্কা
বন্ধু মেগান মার্কেলের। একই সঙ্গে অভিনয় করেছেন হলিউডি টিভি সিরিজ কোন্টিকোতে। তাই অবশ্যম্ভাবীরূপেই আমন্ত্রিত ছিলেন মেগানের বিয়েতে। প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে বন্ধু মেগানের রাজকীয় বিয়ের পাঠ চুকিয়ে ২১ মে সকালেই বলিউড ও হলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া উড়ে আসেন ঢাকায়। নেমে সোজা চলে যান কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে। রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে কাটান টানা চার দিন। উখিয়ার বালুখালী, জামতলী, কুতুপালংসহ শরণার্থী শিবিরগুলোর শিশুদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তাঁর ভ্যারিফাইড পেজে শেয়ার করেন অভিজ্ঞতা ও পরিদর্শনের ছবি।
প্রথম দিন লেখেন, ‘আমি এখন কক্সবাজারে। পৃথিবীর অন্যতম বড় শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে এসেছি। ২০১৭ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের জীবনে অবর্ণনীয় ঘটনা ঘটে যায়। পৃথিবী দেখেছে এই জনগোষ্ঠীর মানুষদের নিধনের নিষ্ঠুর অভিযান। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। যাদের ৬০ ভাগই শিশু।
এতটা সময় পেরিয়ে গেলেও তারা রয়েছে এখনো স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। তারা জানে না, কখন তাদের পরবর্তী সময়ের খাবার পাবে। আবার যখন তারা কিছুটা হলেও মানিয়ে নিয়েছে, তখনই প্রকৃতি হামলা করছে। বৃষ্টি সব শেষ করে দিচ্ছে। এই পুরো প্রজন্মের আমি কোনো ভবিষ্যৎ দেখছি না। তাদের চোখে দেখেছি কেবলই শূন্যতা। তারা আছে চরম মানবিক সংকটে। বিশ্ববাসীর উচিত তাদের সাহায্য করা। দয়া করে এ কাজটি সবাই করুন। এটাই তাদের সত্যিই খুব প্রয়োজন।’
রোহিঙ্গাদের প্রতি নৃশংসতা, ক্রূরতার কথাও তিনি শেয়ার করেন নিজের সামাজিক মাধ্যমে। জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) শুভেচ্ছাদূত প্রিয়াঙ্কা বিশ্ববাসীকে রোহিঙ্গা শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
ক্যানভাস ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ