বাইট
রাশিভেদে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই
আমেরিকানদের ফ্রেঞ্চ ফ্রাইপ্রীতি সুবিদিত। গড়ে একেকজন মার্কিন নাগরিক বছরপ্রতি ৩০ পাউন্ড ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেয়ে তৃপ্তি মেটান। দেশটিতে ১১ জুলাই পালিত হয় ন্যাশনাল ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ডে। মূলত ফুড জায়ান্ট ম্যাকডোনাল্ড’সের উদ্যোগ। কৌতূহলোদ্দীপক এই দিবস ঘিরে, রাশিভিত্তিক ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বাছাইয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট। কোন রাশির জাতক-জাতিকার জন্য ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের কোন পদ জুতসই, জেনে নেওয়া যাক তালিকা থেকে—মেষ (শুস্ট্রিং ফ্রাই), বৃষ (ট্রাফল ফ্রাই), মিথুন (কার্লি ফ্রাই), কর্কট (চিজ ফ্রাই), সিংহ (বোর্ডওয়াক ফ্রাই), কন্যা (ক্রিঙ্কল-কাট ফ্রাই), তুলা (পোমেস সফেলি), বৃশ্চিক (স্টিক ফ্রাই), ধনু (চিলি চিজ ফ্রাই), মকর (টেটার টটস), কুম্ভ (ওয়াফেল) এবং মীন (সুইট পটেটো ফ্রাই)।
ইলিশ রূপান্তর
হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারের আকাশছোঁয়া ১৬তম তলায় ‘ইলিশ’ সম্প্রতি নতুন পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে। শুরুতে এটি ছিল ১০০ অতিথির জন্য তৈরি একটি পরিমিত ও সুনির্দিষ্ট ভেন্যু, যেখানে স্বাচ্ছন্দ্য, নিখুঁত আয়োজন ও আন্তরিক আতিথেয়তার সমন্বয়ে আয়োজিত হতো করপোরেট সভা, ব্যক্তিগত ভোজ কিংবা ঘনিষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অতিথিদের ভালোবাসা ও চাহিদা বাড়ে বহুগুণে। সেই ধারাবাহিকতায় এর পরিসর আরও বাড়িয়ে, আধুনিক, সুসজ্জিত ও দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। ২৮৭৩ বর্গফুটের এই বলরুমে ৩০০ অতিথি অনায়াসে, আরামদায়ক পরিবেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। ফ্লোর-টু-সিলিং জানালা দিয়ে ঢাকার দিগন্তবিস্তৃত দৃশ্য, ঝলমলে ঝাড়বাতি, জ্যামিতিক সোনালি অলংকরণ ও প্রাকৃতিক আলোর ভারসাম্যে এটি হয়ে উঠেছে পরিপূর্ণ অনুষ্ঠান গন্তব্য। ভেন্যুটি সজ্জিত সর্বাধুনিক অডিও ভিজ্যুয়াল প্রযুক্তি, প্রজেক্টর এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগসহ, যা করপোরেট কনফারেন্স, আনুষ্ঠানিক ভোজ, বিয়ে, জন্মদিন বা প্রোডাক্ট লঞ্চের মতো বড় আয়োজনের জন্য ‘ইলিশ’-কে করে তুলেছে এক নির্ভরযোগ্য ও আদর্শ ঠিকানা। এখানে প্রতিটি আয়োজনে নিখুঁত সমন্বয় নিশ্চিত করেছেন হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারের অভিজ্ঞ অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারী ও রন্ধনশিল্পীরা, যারা গ্রাহকের প্রত্যাশাকে রূপ দেন পরিপূর্ণ বাস্তবতায়। ই-মেইল: MA.Raqib@ihg.com; ওয়েবসাইট: holidayinn.com/dhaka ।
ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ান স্বাদ
১৪ জুলাই ২০২৫ ঢাকার ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস ‘স্পাইস জার্নি অব ইন্দোনেশিয়ান টেস্ট’ শিরোনামে এক কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। উদ্দেশ্য—বাংলাদেশিদের ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবারের অনন্য স্বাদের সঙ্গে পরিচয় করানো। আয়োজনে সহযোগিতা করে ইন্দোনেশিয়ান কূটনীতিকদের স্ত্রীদের সংস্থা এবং ইন্দোনেশিয়ার পেশাদার শেফরা, যারা সরাসরি রান্না প্রদর্শন করেন। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন রন্ধনশিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, শেফ ও ব্লগাররা। তাতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইন্দোনেশিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আরিফ সুয়োকো। ইন্দোনেশিয়ান বিশেষজ্ঞ শেফ প্রাপ্ত সুমার্তো, যোগা আন্দ্রিয়ান ও ওয়াহিদিন দেখান মুখরোচক প্রধান খাবার পিনডাং ইকান পাতিন (পালেম্বাং-এর টক ও ঝাল ফিশ স্যুপ) এবং দুটি মিষ্টান্ন—ক্লেপন (পান্ডান চালের বলের ভেতরে গুড়) ও লাপিস সুরাবায়া (সুরাবায়া স্তরিত কেক)। এই আয়োজন ইন্দোনেশিয়ান রন্ধনশিল্প প্রচারের সপ্তাহব্যাপী প্রোগ্রামের অংশ, নেপালের কাঠমান্ডুতেও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফুড ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ
