ফিচার I ভ্রমণে স্মার্ট গ্যাজেট
অনেকে একটু ছুটি পেলেই বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। আর বড় ছুটি মিললে তো কথাই নেই। দেশে কিংবা দেশান্তরে ছুটে ফেরেন ব্যাগ গুছিয়েই। তাই তো ভ্রমণপিপাসুদের জন্য প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিতই হাজির হচ্ছে স্মার্ট সব গ্যাজেট আর গিয়ার নিয়ে। ভ্রমণে প্রয়োজনীয় এসব গ্যাজেট আর গিয়ার নিয়ে লিখেছেন তৌহিদুল ইসলাম তুষার
ক্যামেরা ও গোপ্রো
ভ্রমণে আমাদের সবারই নিত্যসঙ্গী ক্যামেরা। বাজারে নানা ধরনের ও ব্র্যান্ডের ক্যামেরা রয়েছে। ছবি তোলার জন্য ডিএসএলআর ক্যামেরার প্রচলন এখন সবচেয়ে বেশি। ক্যানন, নিকন, ফুজি ও সনির অনেক ধরনের ক্যামেরা পাওয়া যায়। লেন্সসহ ডিএসএলআর সহজলভ্য ৩৫ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকার মধ্যে। তবে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়দের ছোট আকারের ক্যামেরা অনেকের বেশ পছন্দের। এই ধরনের ক্যামেরার মধ্যে অন্যতম গোপ্রো। গোপ্রো সম্পূর্ণ পানিরোধী হওয়ায় পানিতে চালানোর জন্য কোনো আলাদা কেসিং দরকার হয় না। যে ইমেজ অথবা দৃশ্য ক্যাপচার কিংবা রেকর্ড করা হচ্ছে, তার ফ্রেমিং ও কম্পোজিশন ঠিকমতো রয়েছে কি না, তা দেখে নেওয়ার জন্য এলসিডির ব্যবস্থাও রয়েছে গ্রোপো ক্যামেরায়। এমন ভ্রমণের সময় ভিডিওগ্রাফি ও ফটোগ্রাফি আরও মজাদার ও আকর্ষণীয় করে তুলবে গোপ্রো। গোপ্রো ছাড়াও যেমন সনি, শাওমি ইত্যাদি বিভিন্ন ব্র্যান্ড অ্যাকশন ক্যামেরা তৈরি করে। এ ধরনের ক্যামেরার দাম শুরু ২১ হাজার টাকা থেকে। এ ছাড়া ৮ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে ক্যামেরা রয়েছে বাজারে। দেশের ই-কমার্স সাইটগুলোতে বেশি মিলবে অ্যাকশন ক্যামেরাও।
স্মার্টওয়াচ
ভ্রমণের সময় ফটোগ্রাফিসহ নানা কাজে আমরা বেশ ব্যস্ত থাকি। এ সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফোন আসতে পারে। তখন ফোন পকেট থেকে বের করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। তবে হাতে স্মার্টওয়াচ থাকলে ফোন পকেটে রেখেই কল রিসিভ করা যায়। এ ছাড়া জিপিএস, ছবি তোলা, হার্টবিট সেন্সরসহ নানা সুবিধা রয়েছে স্মার্টওয়াচে। যা ভ্রমণকালে দারুণ কাজে লাগবে। স্যামসাং, সনি, এলজি, হুয়াওয়ে, অ্যাপল, শাওমিসহ নানা ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচ বাজারে পাওয়া যায়। এসব স্মার্টওয়াচ আপনি কিনতে পারবেন ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। এ ছাড়া নন-ব্র্যান্ড স্মার্টওয়াচের দাম ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা।
ট্রাইপড ও সেলফি স্টিক
আমাদের দৈনন্দিন যাপনের অন্দরে সেলফি গুরুত্বপূর্ণ এক বিষয়। যেকোনো অনুষ্ঠানে গেলে সেলফি চাই-ই চাই। আর ভ্রমণে তো কথাই নেই। সেলফি ও ফটোগ্রাফির পাশাপাশি ভ্রমণে ভিডিওগ্রাফিও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রমণের কথা মাথায় রেখে এখন বাজারে এসেছে সাউজে বড় এবং অনেক বেশি হার্ড সেলফি স্টিক ও ট্রাইপড। বাজারে এখন বড় মাপের এবং অনেক বেশি হার্ড সেলফি স্টিক ও ট্রাইপড পাওয়া যায়। এসব সেলফি স্টিক মিলবে ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। আর ট্রাইপড পাওয়া যাবে ৭০০ থেকে ২০০০ টাকায়।
স্মার্ট বাইনোকুলার
ভ্রমণের সময় প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্য বাইনোকুলার অনেক প্রয়োজনীয় ডিভাইস। তবে এই স্মার্ট যুগে রয়েছে স্মার্ট বাইনোকুলার। এই ডিভাইস দিয়ে শুধু দৃশ্য দেখাই নয়, ছবি তোলা বা ভিডিও রেকর্ড করা যায়। এতে রয়েছে জিপিএস সুবিধা। সাধারণত ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যেই ভালো মানের বাইনোকুলার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া স্মার্ট বাইনোকুলার আইডিবি বা বসুন্ধরা শপিং মলেও পাবেন। তবে স্মার্ট বাইনোকুলার কেনা যাবে অনলাইনেও। স্মার্ট বাইনোকুলারের দাম সাধারণ বাইনোকুলার থেকে বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে সনি ‘ডিভ৫০ভি’ নামে একটি স্মার্ট বাইনোকুলার বাজারে এনেছে। স্মার্ট বাইনোকুলার পাওয়া যাবে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায়।
ল্যাপটপ
ভ্রমণে ল্যাপটপ! একটু অবাক হচ্ছেন, তাই না? কিন্তু বর্তমানে ভ্রমণে ল্যাপটপ একটা প্রয়োজনীয় ডিভাইস। আপনি চাকরিজীবী হয়ে থাকলে কিছু দায়িত্ব আপনাকে পালন করতেই হবে, যা ফোনে সবসময় সম্ভব হয় না। আবার আপনি যদি ট্রাভেল ব্লগার কিংবা শখের বা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হন, তবে ল্যাপটপ জরুরি। বাজারে এইচপি, আসুস, লেনোভো ব্র্যান্ডের হালকা ল্যাপটপ পাওয়া যায়, যা আপনার ভ্রমণের উপযোগী হবে। এগুলোতে অনেক বেশি চার্জ থাকে। মডেল অনুযায়ী বাংলাদেশে ৭০ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ল্যাপটপ সংগ্রহ করা যাবে।
পোর্টেবল প্রিন্টার
ভ্রমণে আরও একটি অনুষঙ্গ হতে পারে পোর্টেবল প্রিন্টার। গ্রাহকের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে নানা ডিজাইনের প্রিন্টার নিয়ে এসেছে প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো। প্রিন্টারগুলো একদিকে যেমন সহজে বহনযোগ্য, অন্যদিকে মোবাইলের সঙ্গে যুক্ত করেই যেকোনো কিছু প্রিন্ট দিতে পারবেন। স্পোরকেট নামের একটি পোর্টেবল প্রিন্টার বাজারে এনেছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান এইচপি। ডিভাইসটি হাতের মুঠোয় নিয়ে স্মার্টফোন থেকে সরাসরি ছবি প্রিন্ট করতে সক্ষম। ফোনের সাহায্যে এই প্রিন্টার দিয়ে ছবি প্রিন্ট করার জন্য এইচপির স্পোরকেট নামের একটি অ্যাপও আছে। এই অ্যাপ দিয়ে প্রিন্টারটি ব্লুটুথের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ডিভাইসটি থেকে ছবি প্রিন্ট দেওয়ার জন্য এইচপির নিজস্ব জিঙ্ক পেপার ব্যবহার করা হয়েছে। প্রিন্টের জন্য একসঙ্গে ২০টি কিংবা ৫০টি জিঙ্ক পেপার ব্যবহার করা যাবে। ক্যাননেরও রয়েছে ঠিক এমনই আরেকটি প্রিন্টার সেলফি। এটাও স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে কানেকশন দেওয়া যায়। এদের রয়েছে নিজস্ব ফটোপেপার। ১৮, ৩৬ ও ৫৪টি পেপার বক্স পাওয়া যায় বাজারে। এ ছাড়া ফুজি ফিল্মের ইন্সট্যাক্স শেয়ার এসপি-২ এসপি-৩। এখানে ছবি প্রিন্ট করা যাবে। যেখানে ছবির রেজুলেশন ৮০০-৬০০ থাকে। সেই সঙ্গে এতে ব্যবহার করা হয়েছে লেজার প্রিন্টিং প্রযুক্তি। তাই ছবির কালার আসে অনেক নিখুঁত। এখানে রয়েছে বিল্ট-ইন রিচার্জেবল ব্যাটারি। তবে এর জন্যও রয়েছে নিজস্ব পেপার। এ তো গেল ছবির কথা। অনেক সময় আমাদের ভ্রমণে গুরুত্বপূর্র্ণ কোনো পেপার দরকার হতে পারে। তেমনই একটি প্রিন্টার এইচপি অফিসজেট ২০০। ছোট আকৃতির এই প্রিন্টারের সাহায্যে খুব সহজেই ওয়্যারলেস সংযোগের মাধ্যমে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ থেকে প্রিন্ট দেওয়া যায়। এতে এইচপি অটো ওয়্যারলেস কানেক্ট প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, যার সাহায্যে সহজে সেটআপ দেওয়া যায়। এটি হালকা ও ছোট আকৃতির হওয়ায় ব্যাগে করে যেকোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। এতে রয়েছে বিল্ট-ইন রিচার্জেবল ব্যাটারি। ফলে প্রিন্টারটি ঘরে, অফিসে কিংবা গাড়িতে চার্জ দিয়ে নেওয়া যায়। ঠিক এমনই আরেকটি প্রিন্টার রয়েছে ইপসন ওয়ার্ক ফোর্স ডাব্লিউ-১০০। এই প্রিন্টারটিও ওয়্যারলেসের মাধ্যমে ফোন বা ল্যাপটপের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। আকারে ছোট হওয়ায় ব্যাগেও বহনযোগ্য। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এটা আপনার পাওয়ার ব্যাংক দিয়েও চার্জ করে নিতে পারবেন। এতে রয়েছে ১.৪ ইঞ্চি এলসিডি মনিটর। এ ছাড়া বাজারে আইস্ক্যান নামে কিছু পোর্টেবল স্ক্যানারও পারেন, যা আপনার প্রয়োজনের সময় সাহায্য করবে।
পাওয়ার ব্যাংক
ভ্রমণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিভাইস পাওয়ার ব্যাংক। কারণ, যেকোনো সময় আপনার ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যেতে পারে, এ সময় দরকার পাওয়ার ব্যাংক। বাজারে অনেক ধরনের পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যায়। তাই কেনার সময় ভালো মানের পাওয়ার ব্যাংক দেখে কিনতে হবে। প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে পাওয়ার ব্যাংকের ক্যাপাসিটির দিকে। বাজারে ১,৫০০ এমএএইচ থেকে শুরু করে ২০-৩০ হাজার এমএএইচ পর্যন্ত ক্যাপাসিটির পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পাওয়া যায়। ১০ হাজার এমএএইচ ক্যাপাসিটির পাওয়ার ব্যাংক ২,৫০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির মোবাইল ব্যাটারিকে ৩ বারের মতো রিচার্জ করতে সক্ষম হবে। দেখে নিতে হবে এতে পাস থ্রু চার্জিং ফিচার আছে কি না। কিছু পাওয়ার ব্যাংকে ১টি সিঙ্গেল আউটপুট পোর্ট দেখতে পাওয়া যায়। আবার কিছু পাওয়ার ব্যাংকে ৩-৪টি আউটপুট পোর্টস দেখতে পাওয়া যায়। এখন আপনি কোনটি পছন্দ করবেন, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ব্যবহারের ওপর। ইউগ্রিন পোর্টেবল এক্সটার্নাল পাওয়ার ব্যাংক চার্জারটিতে ব্যবহার করা হয়েছে আসল লাইটনিং কানেক্টর সেন্সর। তাই এমএফআই সার্টিফাইড ব্যাটারিযুক্ত ইউগ্রিন পোর্টেবল এক্সটার্নাল পাওয়ার ব্যাংক চার্জার আপনার আইফোন এক্স, আইফোন ৮, আইফোন ৭, আইফোন ৭ প্লাস, আইফোন ৬ এস, আইফোন ৬ এস প্লাসসহ অন্যান্য যেকোনো ফোনকে পুরোপুরিভাবে চার্জ করতে সক্ষম। এটি ১০ হাজার মিলি অ্যাম্পিয়ার ঘণ্টার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন। পাওয়ার ব্যাংকটিতে ৪টি এলইডি ইন্ডিকেটর লাইট রয়েছে। টিপি লিঙ্ক টিএল-পিবি পাওয়ার ব্যাংকটিতে রয়েছে ২০১০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ঘণ্টা ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যালে সিরিজ ব্যাটারি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে যেকোনো মোবাইল বা ট্যাবলেটকে পুরোপুরি চার্জ করতে পারে। আল্ট্রা ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির কারণে অন্য যেকোনো পাওয়ার ব্যাংক থেকে ৬৫ শতাংশ কম সময়ে চার্জ করতে পারে। এ ডেটা পি২০০০ডি একটি সম্পূর্ণ ডিজটাল পাওয়ার ব্যাংক। এতে ডিজিটাল ডিসপ্লে থাকায় কতটুকু চার্জ আছে, তা সহজেই জানা যায়। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পাওয়ার ব্যাংক চার্জারটিতে অতিরিক্ত এলইডি ফ্ল্যাশলাইট যুক্ত করা হয়েছে। পাওয়ার ব্যাংকটি আগুন, বৈদ্যুতিক শক প্রতিরোধী। একই সঙ্গে এই ওভার চার্জ, ওভার ডিসচার্জ, ওভার হিটিং, ওভার কারেন্টের বিরুদ্ধেও সমভাবে কাজ করে। হুয়াওয়ে এপি০০৭ ফোনের ব্যাটারির জন্য একটি উৎকৃষ্ট লাইফগার্ড। ১৩ হাজার মিলি অ্যাম্পিয়ার ঘণ্টা ক্ষমতাসম্পন্ন এই পাওয়ার ব্যাংক আপনার যাত্রা ও ভ্রমণের সময় ফোনকে সচল রাখতে সাহায্য করবে। আইফোন ৬-এর মতো ডিভাইসকে ৪ বারের বেশি চার্জ করতে সক্ষম। এই পাওয়ার ব্যাংকটি অধিকাংশ ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটকে সমর্থন করে। দুটি ইউএসবি পোর্ট থাকায় একই সঙ্গে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটকে চার্জ করতে পারবেন। অ্যাপাসার বি৫২০ প্রথমেই এর টাইটেনিয়াম সিলভার অ্যালুমিনিয়াম এবং সুন্দর ডিজাইনের কারণে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এতে রয়েছে ১.৩ সেন্টিমিটার বিশিষ্ট আল্ট্রা-থিন বডি। ২.১ অ্যাম্পিয়ারের মতো বড় মাপের ধারাবাহিক চার্জের পাওয়ার আউটপুট ক্ষমতা রয়েছে। এর ধারণক্ষমতা ১০ হাজার মিলি অ্যাম্পিয়ার।
হেডফোন
যাত্রাপথে বাস বা ট্রেনে দীর্ঘ সময় বসে থাকাটা বিরক্তির কারণ হতে পারে। তবে যদি গান শোনা যায়, তাহলে কিছুটা বিরক্তি কমে যাবে। বাস বা ট্রেনে লাউড স্পিকারে গান শোনা যায় না, এতে করে অন্যের অসুবিধা হতে পারে। তাই প্রয়োজন একটি ভালো মানের হেডফোন। ভ্রমণে তাই হেডফোন অবশ্যই সঙ্গে নেওয়া উচিত। এমন ধরনের হেডফোন দরকার সেটায় খুব লাউড সাউন্ড হবে না এবং উন্নত মানের মিউজিক সুবিধা দেবে। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের হেডফোন রয়েছে। ভ্রমণের ক্ষেত্রে ব্লুটুথ হেডফোন কেনা উচিত। তাহলে তারের ঝামেলা থাকবে না।
ইউনিভার্সাল মাল্টিপ্লাগ
আপনার হোটেলের পাওয়ার সকেটে চার্জার সেট করতেই পারছেন না। তাই এসব বিপদ থেকে বাঁচতে আপনি একটা ইউনিভার্সাল মাল্টি-সকেট পাওয়ার প্লাগ সঙ্গে রাখুন। ছোট কিন্তু খুব দরকারি জিনিস এটা।
সোলার চার্জার
এত এত গ্যাজেটের সঙ্গে পাওয়ারের অভাবে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেলে তো সমস্যা! পাওয়ার ব্যাংকও সর্বোচ্চ এক বা দু’দিন বাড়তি সাপোর্ট দিতে পারে। তাই আপনি যদি লোকালয় থেকে দূরে কোথাও যান, আপনার জন্য উপযুক্ত ডিভাইস হবে সোলার চার্জার। মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক তো বটেই, অনেক সময় এগুলো দিয়ে ল্যাপটপও চার্জ করা সম্ভব।
পানি বিশুদ্ধ করার যন্ত্র
শুনে একটু অবাক হয়েছেন নিশ্চয়ই। পানি বিশুদ্ধ করার যন্ত্র কীভাবে গ্যাজেটের মাঝে পড়ে। বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আজকাল অনেক হাইটেক গ্যাজেট বের হয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি নিশ্চিত করতে পারবেন যে আপনি বিশুদ্ধ পানি পান করছেন কি না। কয়েক দিন অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকার জন্য এক বেলায় একবার অবিশুদ্ধ পানি পান করাই যথেষ্ট।
ছবি: ইন্টারনেট