প্রসিদ্ধ ফ্যাশন ব্র্যান্ড থিয়েরি মুগলারের নতুন ফল/উইন্টার ২০২৪-২৫ কালেকশন উপস্থাপিত হয় ৩ মার্চ, প্যারিসের ঐতিহ্যবাহী লিসে কার্নো স্কুলে। থিয়েরি মুগলারের ভিআইপি অ্যান্ড মিডিয়া রিলেশনস লিড আইদা মেহনাজের অতিথি হিসেবে এই শোতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় মডেল, কোরিওগ্রাফার ও স্টাইলিস্ট আজরা মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী এবং শান্তা লাইফস্টাইলের প্রধান নির্বাহী দেওয়ান মুহাম্মাদ সাজিদ আফজাল।
ফ্যাশন শো সম্পর্কে আজরা মাহমুদ বলেন, ‘মুগলারের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ক্যাসি ক্যাডওয়ালেডার গাঢ় রং নিয়ে বেশি নিরীক্ষা করেন। বিশেষ করে কালো রং নিয়ে বেশি কাজ করেন। এ জন্য আমি ও আমার হাজব্যান্ড কালো পোশাক বেছে নিয়েছিলাম।’
আজরার পোশাক তৈরি করে দেয় হাউজ অব আহমেদ। তারা নতুন ডিজাইনের শাড়ি দিয়েছিল এই শোতে পরার জন্য। সঙ্গে লেদার ব্লাউজের হাতায় জারদৌজি করা। এ ছাড়া পুরো শাড়ির জমিনে অলংকৃত ছিল পুঁতির কাজ। অন্যদিকে, সাজিদ পরেন জুরহেমের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর মেহরুজ মুনিরের ডিজাইন করা কালো সিল্ক ও ভেলভেটের টাক্সিডো।
আজরা বলেন, ‘মুগলারের ফ্যাশন শো ছিল দারুণ থিয়েট্রিক্যাল ও ড্রামাটিক। সাধারণত আমরা যেমন রানওয়েতে মডেলদের আসা যাওয়া দেখি, সে রকম নয়। এতে মোট ৪১ জন মডেল রানওয়েতে হাঁটেন। মূল ফ্যাশন শো শুরু হলে প্রথমে চার জন হেঁটে যান। এরপর প্রথম পর্দা উন্মোচিত হয়। পর্দার পিছন থেকে আরও মডেল বেরিয়ে আসেন। আর তারা একের পর এক পর্দা ফেলতে থাকেন। এভাবে লিসে কার্নো মূল হল সবার দৃষ্টিগোচর হয়।’
‘এই হলের তিন ভাগের দুই ভাগই ছিল মূল রানওয়ে সেট, আর একভাগ দর্শকদের বসার জায়গা। মডেলরা মুগলারের সিগনেচার বোল্ড ও ফেমিনিন স্টাইলটাকে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। কালেকশনে কালোর ব্যবহার ছিল উল্লেখযোগ্য। সঙ্গে লাল ও কিছু প্রিন্টের ব্যবহার হয়েছে। সাধারণত মুগলারের সংগ্রহে প্রিন্ট খুব একটা দেখা যায় না। শোয়ের একদম শেষে ৪১ জন মডেল একসঙ্গে রানওয়েতে ফিরে আসেন। তখনই ব্যাকস্টেজ উন্মোচিত হয়। দেখা যায় সম্পূর্ণ ব্যাকস্টেজ সেখানে থাকা নেপথ্যের মানুষরা। যারা সব সময়ে পেছনে থেকে কাজ করে যান,’ যোগ করেন তিনি।
আজরা মাহমুদ আরও বলেন, “পুরো ফ্যাশন শো এত সুন্দর করে শুরু ও শেষ হয়, সামনের সারিতে থাকা ভিআইপি ও সেলিব্রেটিদের দিকে কারও সেভাবে চোখই পড়েনি। একে বলা যেতে পারে ‘দ্য শো টুকওভার মোমেন্ট’।”
- ক্যানভাস অনলাইন
ছবি: প্রত্যয় আহমেদ, ম্যাথিয়াস গোমেজ ও রনি রেজাউল