উইন্ডসরের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠিত হবে হ্যারি ও মেগানের বিয়ের মূল অনুষ্ঠান। গত বছরের নভেম্বরে বাগদান হয়েছিল হ্যারি-মেগানের। ব্রিটিশ সিংহাসনের ষষ্ঠ উত্তরাধিকারী ও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নাতি প্রিন্স হ্যারি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাদের প্রেমের বিষয়টি সামনে আসে। ওই বছরেই বাগদান হয়। এরপরই অপেক্ষা, এই জুটির বিবাহ কখন হবে। বিয়ের পর মেগান পরিচিত হবেন প্রিন্সেস হেনরি অব ওয়েলস নামে।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর নবদম্পতি যাবেন উইন্ডসর শহরের রাজকীয় দুর্গে। যেখানে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন রানির আমন্ত্রণ পাওয়া ৬০০ অতিথি। এরপর সন্ধ্যায় নবদম্পতি তাদের ঘনিষ্ঠ ২০০ বন্ধুর সঙ্গে অংশ নেবেন নাচে। বর-কনে বিয়েতে কী পোশাক পরবেন, তা এখনো খোলাসা করে বলেননি কেউ। বলা হচ্ছে বিয়ের আগ মুহূর্ত ছাড়া কেউ তা জানতে পারবেন না। তবে মেগান যে গয়নাগুলো পরবেন, সেগুলো হ্যারির প্রয়াত মা প্রিন্সেস ডায়ানার। এই রীতি রাজপরিবারের ঐতিহ্যের অংশ। ওই সব গয়না ডায়ানার বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেটকে পরতে দেখা গেছে বিভিন্ন সময়।
হ্যারি-মেগানের বিয়েতে গ্ল্যামার জগতের অনেক তারকাকেই দেখা যাবে। কিন্তু রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উপস্থিতি থাকবে না বললেই চলে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ ছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ও বিরোধী দলের নেতা জেরোমি করবিনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাই তাদেরও দেখা যাবে না বিয়েতে। তবে একঝাঁক তারকা অভিনেতা, অভিনেত্রী, শিল্পীর উপস্থিতি দেখা যাবে বিয়ের অনুষ্ঠানে। বিয়ের অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে নানা মাধ্যমে। এর আগে ২০১১ সালে বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের বিয়েও সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। কেট-উইলিয়ামের ওই বিয়ের অনুষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ দেখেছিল।