অ্যালোভেরা শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত। এই গাছটিও আমাদের দেশে খুবই সহজলভ্য। অ্যালোভেরা গাছকে অনেকে ‘বিস্ময়কর গাছ’ বলে থাকে।
রূপচর্চায়
রূপচর্চার এক অনন্য উপাদান অ্যালোভেরা। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ত্বকের কোনো ক্ষতি ছাড়াই মেকআপ তুলতে সাহায্য করা।
শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ফেরাতে
এক চা চামচ অ্যালোভেরা একটু হলুদ, আধ চা চামচ মধু, এক চা চামচ দুধ,আর পরিমাণমতো গোলাপজল নিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার মুখের শুষ্কভাব দূর হবে এবং মুখে আসবে সজীবতা।
চুলের পরিচর্যায়
চুল নিয়ে সবাই কম-বেশি চিন্তিত। কারো চুল পড়ে যাচ্ছে, চুল গজাচ্ছে না, মাথায় টাক বের হয়ে যাচ্ছে, চুল রুক্ষ হয়ে গেছে। এমন নানা সমস্যা রয়েছে। অ্যালোভেরা এই সমস্যার অনেক সমাধানই দিতে পারে। অ্যালোভেরা খুব ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এটি চুলকে নরম, সিল্কি করে, চুলের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে, খুশকি দূর করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহারে চুল হয় ঝলমলে।
ওষুধ হিসেবে ব্যবহার
অ্যালোভেরার ঔষধি গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। প্রাচীন যুগ থেকে অ্যালোভেরা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যে কোনো ঘা শুকাতে এটি খুব ভালো কাজ করে। অ্যালোভেরার ক্যাপসুল বা তরল অ্যালোভেরা খেলে ১০ দিনের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যাবে।