skip to Main Content

প্রাচীন খাবার বাঁশ কোড়ল

বাঁশ কবে থেকে মানুষের খাদ্যতালিকায় যোগ হলো, সেই দিনক্ষণ নির্দিষ্ট নয়। জানা যায়, চৌদ্দ শ বছর আগে থেকেই এটি খাওয়া হচ্ছে। চীনের তাং সাম্রাজ্যের লোকেরা বাঁশ খেত। এমনকি এটি দিয়ে তৈরি পদ তাদের কাছে বিশেষ মর্যাদার ছিল। তাই এ খাদ্যের আঁতুড়ঘর ভাবা হয় চীনকে। সেখান থেকে এটি খাওয়া রপ্ত করে মোঙ্গলরা।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাঁশের রেসিপি ছড়িয়ে পড়ে যাযাবরদের মাধ্যমে। ভারতে এ খাবার কীভাবে পৌঁছল, তা অজ্ঞাত। বাঁশের ‘কোড়ল’ নিয়ে এই অঞ্চলে একটি লোককাহিনি আছে, তা হচ্ছে কোনো এক সময় একটি খরগোশ টানা তিন মাস শুধু বাঁশ খেয়ে বেশ হৃষ্টপুষ্টভাবে বেঁচে ছিল। সেটি দেখে ভারতবাসী ধারণা করে, এটি নিশ্চয়ই খুব স্বাস্থ্যকর খাবার। এরপর তারা বাঁশ থেকে কোড়ল সংগ্রহ করে খাওয়া শুরু করে। বাঁশের মোথা থেকে মাটি ফুঁড়ে শিঙের মতো যে কচি কাণ্ড গজায়, সেটিই হচ্ছে কোড়ল। ইংরেজিতে বলে ব্যাম্বু শ্যুট। মারমারা একে বলে ‘মহ্ই’, ত্রিপুরাদের কাছে ‘মেওয়া’, চাকমা ভাষায় ‘বাচ্ছুরি’। বাংলাদেশে এই বাঁশ কোড়ল দিয়ে অনেক ধরনের রেসিপি তৈরি হচ্ছে। ভাজি থেকে শুরু করে তরকারি- সবই রান্না সম্ভব বাঁশ কোড়ল দিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top