skip to Main Content

সাজসারাই I ফ্লেকি টু ফ্ললেস

মেকআপের উপযোগী মসৃণ মুখত্বক। শীতের শুষ্কতা হটিয়ে। পেলবতায় সমর্পিত

শীতকাল মানেই সাজগোজের পৌষ মাস। যেমন খুশি তেমন সাজার উপযুক্ত ঋতু। এ সময় হেভি ফাউন্ডেশন ঘেঁটে যাওয়ার ভয় থাকে না। সেটিং স্প্রের বাড়তি লেয়ার দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এমনকি প্যালেটের সবচেয়ে গাঢ়, চকমকে শিমারি শেডগুলোও সুন্দর মানিয়ে যায় সাজে। শীতে সেজে ওঠার সমস্যাগুলো একটু ভিন্ন। এ সময় আবহাওয়ার আর্দ্রতা কমে যাওয়ার ফলে ত্বক ফাটে, চামড়া ওঠে। এই শুষ্ক রুক্ষ ত্বকে মেকআপ বসতে চায় না। বসলেও বিশ্রী দেখায়। তাই শীতে রুক্ষতার রেশ কাটিয়ে ত্বককে মেকআপ উপযোগী করে তুলতে প্রয়োজন বাড়তি পরিচর্যা। চাই পূর্বপ্রস্তুতিও। পারফেক্ট সাজের জন্য।
স্টার্ট উইদ স্মুদেনিং
শীতের শুষ্কতা ছাড়াও একজিমা আর সোরাইসিসের মতো ত্বকরোগেও চামড়া ওঠে। এমনকি রেটিনয়েডের মতো অ্যাকনে সারাইয়ের নানা উপাদানের নিয়মিত ব্যবহার ত্বককে খসখসে করে ফেলে। এ ক্ষেত্রে ডার্মাটোলজিস্টদের প্রথম পরামর্শ স্কিন প্রেপিং। মেকআপ করার আগে ত্বকের এক্সফোলিয়েশন। মাইল্ড স্ক্রাব দিয়ে। তারপর মেখে নিতে হবে হাইড্রেটিং ময়শ্চারাইজার। ত্বককে কোমল করে তুলবে, এমন স্কিন সফটেনিং এজেন্ট সমেত। শিয়া বাটার, থার্মাল স্প্রিং ওয়াটারযুক্ত ময়শ্চারাইজার এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর। মেকআপের আগে হাতে বেশ খানিকটা সময় থাকলে কুইক শিট মাস্ক সেশনও করে নেওয়া যায়। সময় না থাকলে ত্বক আর ঠোঁটের মৃত কোষে স্কচ টেপের আঠালো অংশটা চেপে ধরতে হবে কিছুক্ষণের জন্য। তারপর হালকা টান দিয়ে উঠিয়ে হাইড্রেটিং সেরাম অথবা ফেস অয়েল মেখে নিতে হবে সঙ্গে সঙ্গে। ত্বক হয়ে উঠবে মসৃণ, মেকআপের উপযোগী।
লেয়ার লাভ
স্কিন প্রেপিং সেরে নেওয়ার পর ইটজ টাইম টু প্রাইম। প্রচলিত প্রাইমার ছাড়াও এ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে শুষ্ক ত্বকের উপযোগী ফেস অয়েল। এতে মেকআপ অ্যাপ্লিকেশনের কাজটা সহজ হবে। প্রডাক্টগুলো মসৃণভাবে বসে যাবে ত্বকে, ব্লেন্ডের কাজটাও হবে ঝক্কিহীন। ফেস অয়েল চেহারায় যোগ করবে বাড়তি উজ্জ্বলতা। প্রাইমার ব্যবহার করতে হলে ডার্মাটোলজিস্টদের পরামর্শে ব্লার ইফেক্ট দেবে, তেমনগুলো নেওয়া ভালো। এগুলো চেহারার দাগছোপ, আনইভেন টেক্সচার আর বড় লোমকূপগুলো অস্পষ্ট দেখাতে সাহায্য করবে। কোমল দ্যুতিও যোগ হবে চেহারায়।
পারফেক্ট প্রডাক্ট
চামড়া ওঠা ফাটা ত্বকে ফুল কাভারেজের জন্য হাইড্রেটিং ফর্মুলার ফাউন্ডেশন, টিন্টেড ময়শ্চারাইজার বা কনসিলার ব্যবহার করা চাই। এগুলো ত্বকে মেকআপ লুকের পাশাপাশি জরুরি আর্দ্রতার জোগান দেবে। এ ধরনের ত্বকে পাউডারি ফর্মুলা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা। বরং বেছে নেওয়া চাই ক্রিমি, সুদিং ফর্মুলার সৌন্দর্যসামগ্রী। এগুলো লাইটওয়েট এবং মিডিয়াম কাভারেজ দেবে ত্বকে। যোগ করবে শিশিরসিক্ত মসৃণতা। এতে ত্বকের শীতকালীন রুক্ষতা এড়ানো যায়। বেজ মেকআপ তৈরির সময় ড্যাম্প বিউটি ব্লেন্ডার আর বাফিং ব্রাশ এ ধরনের ত্বকে পারফেক্ট ফিনিশ দেয়।
সিল দ্য ডিল
মেকআপ শেষে সেটিং স্প্রে দিতে পছন্দ করেন অনেকেই। ফাটা, চামড়া ওঠা ত্বকেও তা সম্ভব। কিন্তু সচেতন হতে হবে ফর্মুলা বাছাইয়ে। পাউডারি ফিনিশ দেয়, তেমনগুলো এ ক্ষেত্রে এড়িয়ে যেতে হবে। বরং বেছে নেওয়া চাই হাইড্রেটিং ফর্মুলার মিস্ট, যা মেকআপকে দিনভর ঠিকঠাক রাখবে, জোগাবে জরুরি আর্দ্রতাও। শীতের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব এড়িয়ে দেখাবে সতেজ।
 জাহেরা শিরীন
মডেল: আনিকা
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: জিয়া উদ্দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top