skip to Main Content
tamato-march-into

ফুড বেনিফিট I টমেটো

পুষ্টিগুণ ও স্বাদে অনন্য সবজি। কেবল সুস্বাস্থ্যের জন্য নয়, ত্বকের সৌন্দর্য অটুট রাখতে এটি বিকল্পহীন

 

টমেটো শীতকালীন সবজি। পাকা ও কাঁচা টমেটো নানাভাবে খাওয়া যেতে পারে। সালাদ, তরকারি, সস এমনকি জুস হিসেবেও খাওয়া যায়। এটি কোনো খাবারে মিশ্রিত হলে সেই খাবারের পুষ্টিগুণ ও স্বাদের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। প্রাকৃতিক রূপচর্চায় টমেটোর কার্যকারিতা অতুলনীয়।

টমেটোতে প্রোটিন ও ফ্যাট কম হলেও যথেষ্ট কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে রয়েছে ৯৫ ভাগ পানি, কার্বোহাইড্রেট ৪, ম্যাগনেসিয়াম ৩ দশমিক ৯, ম্যাঙ্গানিজ ৫, ফসফরাস ৩ এবং পটাসিয়াম ৫ গ্রাম।

রোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকা অসামান্য। টমেটো ক্যানসার রোধে, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, হজমশক্তি বাড়ানোসহ নানা শারীরিক প্রয়োজন মেটায়। বাতের ব্যথাও সারাতে পারে। প্রচুর পরিমাণে আঁশ, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি এবং সি থাকায় টমেটো হৃদ্‌পিণ্ড সচল রাখার সহায়ক। একটি টমেটো দৈনিক প্রয়োজনের ৪০ ভাগ ভিটামিন সি পূরণ করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে টমেটো সক্ষম, এটি নিয়মিত খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে যায়।

এটি ক্যানসার কোষ ধ্বংসকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের প্রাকৃতিক উৎস। লাইকোপেন থাকায় টমেটো কোষের বিভাজন প্রক্রিয়া টিকিয়ে রাখে। ফলে এটি প্রস্টেট এবং পাকস্থলীর ক্যানসার রোধে সহায়তা করতে পারে। ইতালির পারমায় অবস্থিত ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটির গবেষণা বলছে, যারা বেশি ধূমপান করেন, তাদের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায় যদি তারা দৈনিক ২ থেকে ৩টি কাঁচা টমেটো খেতে পারেন।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে এটি দারুণ কাজ করে। নারীর ডায়াবেটিস রোধে প্রতিদিন ৩৫ গ্রাম এবং পুরুষের জন্য ২৫ গ্রাম টমেটো চমৎকার ফল দেয়।

টমেটোতে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে। যেটি রোধ করে রাতকানা রোগ এবং মলিকিউলার ডিসঅর্ডার। হাড় মজবুত রাখার সহায়ক ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর। বার্ধক্যজনিত রোগ অস্টিওপোরোসিস ঠেকাতে প্রতিদিন টমেটো খাওয়া জরুরি।

আগেই বলা হয়েছে, এতে লাইকোপেন নামক উপাদান রয়েছে। ফলে, যারা নিয়মিত টমেটো খান, তাদের ত্বক উজ্জ্বল, মসৃণ, দাগমুক্ত থাকে। দই, হলুদ ও টমেটোয় তৈরি পেস্ট ব্যবহার করলে ত্বক হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। মাথার ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখতেও টমেটোর জুড়ি নেই।

দিল্লির বিএলকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও ইউরোলজিস্ট আদিত্য প্রধানের মতে, টমেটো কিডনির পাথর সৃষ্টির জন্য দায়ী- প্রচলিত এই তথ্য ভুল। কিডনিতে পাথর তৈরি হয় সাধারণত অক্সালেট সমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণের কারণে। টমেটো অক্সালেট ধারণ করে, তবে পরিমাণ এত বেশি নয় যে পাথরের জন্ম দেবে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, টমেটো বা টমেটো বীজের ব্যবহার কিডনি সমস্যাগুলোর কারণ হতে পারে না। তবে যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত, তাদের টমেটো বীজ এবং টমেটোজাত খাবার থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।

 লাইফস্টাইল ডেস্ক

ছবি: সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top