বাইট
চকলেটে বিষ
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক চকলেট পণ্যেই বিষাক্ত ভারী ধাতব ব্যবহৃত হয় বলে নতুন এক গবেষণায় সতর্ক করে দিয়েছে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি। নিউইয়র্ক পোস্ট সূত্রে জানা যায়, হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী হিসেবে খ্যাতি পাওয়া ডার্ক চকলেটসহ ৭২টি কোকোয়াভিত্তিক খাদ্যপণ্যের ওপর ৮ বছর ধরে চালানো হয়েছে এই গবেষণা। সেগুলোর মধ্যে ৪৩ শতাংশ পণ্য খাদ্য কর্তৃপক্ষের সুপারিশ অনুসরণ করলেও ৩৫ শতাংশ পণ্যে ক্যাডমিয়ামের ব্যবহার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অবাক করা বিষয় হলো, নন-অর্গানিক প্রোডাক্টগুলোর তুলনায় অর্গানিক তকমাযুক্ত পণ্যগুলোয় এই রাসায়নিকের উপস্থিতি বেশি মিলেছে। তাতে অবশ্য একটি-দুটি এ রকম চকলেট বা চকলেটজাতীয় পণ্য খেলে মানবদেহের তেমন ক্ষতি হবে না; তবে নিয়মিত ও বেশি খেলে তা ডেকে আনতে পারে বিপদ—এমনই দাবি গবেষণা দলের প্রধান কর্তা লেই ফ্রেমের।
খাবারে কুপোকাত টিকটক
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকের প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্সের সিঙ্গাপুর অফিসের কয়েক ডজন কর্মী গত ৩০ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিবিসির খবর, খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার তারা। তাদের মধ্যে ৫৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের নগর স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। বাইটড্যান্সও আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছে। জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে খাবার প্রস্তুতকরণ কিংবা রান্না করা হয় না; বরং তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকেই তা নিয়ে থাকেন কর্মীরা।
শরণার্থীর হাত ধরে বিদেশে দেশি স্বাদ
নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে সিরিয়া কুজিনের ব্যবসা শুরু করেছেন জিনা আববুদ। জিনা কিচেন নামে। তার ভাষ্য, ‘রান্নাঘরই আমার রাজ্য’। দ্য ন্যাশনাল নিউজের খবরে বলা হয়, ইউরোপীয় দেশটিতে নিজ দেশের খাবারের ব্যবসা চালু করা প্রথম সিরীয় শরণার্থী নারী তিনি। জিনা ছিলেন সিরিয়ার সবচেয়ে বড় শহর আলেপ্পোর বাসিন্দা। ব্যবসায় শিক্ষায় স্নাতক শেষে চাকরি করছিলেন সেলস ম্যানেজার হিসেবে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে, এর দুই বছর পর তিন সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে দেশ ছাড়েন। ইউরোপজুড়ে এক দুঃস্বপ্নময় যাত্রা শেষে, ২০১৫ সালে নেদারল্যান্ডসে পৌঁছান। আশ্রয় নেন আমস্টারডামের একটি শরণার্থীশিবিরে। স্বেচ্ছাসেবীর কাজ নেন ওই শিবিরের রান্নাঘরে। ধাপে ধাপে তিনি এখন শহরটির অন্যতম জনপ্রিয় রন্ধনশিল্পী।
ফুড ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ