skip to Main Content

বাইট

জেন-জি খাদ্যপ্রবণতা

খাদ্য বাছাইয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব সম্পর্কে ক্যানভাসের গত সংখ্যাতেই পড়েছি আমরা। এর পক্ষে এবার সাক্ষ্য মিলল নতুন এক জরিপ থেকে। বর্তমান তরুণ প্রজন্ম তথা জেন-জির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই নিজেদের খাদ্যপরিকল্পনায় রান্নার চেয়ে বরং এ ধরনের প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর নির্ভর করে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম স্মল ওয়ার্ল্ড নিউজ সার্ভিস (এসডব্লিউএনএস) প্রকাশিত খবরে জানা যায়, পোল্যান্ডভিত্তিক ই-কমার্স অ্যাজেন্সি পাবলিসিস কমার্স পরিচালিত ওই জরিপে দেখা গেছে, খাদ্য অনুপ্রেরণার প্রচলিত উৎসগুলো থেকে সরে, ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের ৭২ শতাংশই টিকটক (৮৪%) ও ইনস্টাগ্রামের (৭৫%) মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে ভরসা করে। অন্যদিকে, সব মিলিয়ে শুধু ৩২ শতাংশ হাত বাড়ায় ট্র্যাডিশনাল কুকবুকের প্রতি এবং ৪৫ শতাংশ শেষ পর্যন্ত আলাপ করে নেয় পরিবার-পরিজনের সঙ্গে। জরিপে অংশ নেওয়া ১০০০ জন জেন-জির মধ্যে ৬৪ শতাংশই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার ফুডি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ওপর ভরসা রাখে। আরও জানা যায়, সপ্তাহপ্রতি গড়ে ৩ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খাদ্যসম্পর্কিত বিষয়গুলোর পেছনে ব্যয় করে একেকজন জেন-জি।

দেশি ডায়েরিস

আগস্ট জুড়ে ঢাকার সিক্স সিজনস হোটেলে ছিল দেশি খাবারের দারুণ সমাহার। পুলের পাশে, প্যানোরামিক সিটি ভিউ, অর্ধশতাধিক আইটেমের বুফে, লাইভ স্টেশন, গ্রিল স্টেশন, নুডলস স্টেশন, চটপটি-ফুসকা স্টেশন। সঙ্গে একটি কিনলে তিনটি ফ্রি অফার, নির্দিষ্ট ব্যাংক কার্ডধারীদের জন্য। খাদ্যতালিকায় ছিল ঝাল ঝাল চানা চাট, দেশি ফিউশন দই বেগুন, পুষ্টিকর হালিম, মুখরোচক দোসা স্টেশন, চটপটি, ফুসকা, পাপড়ি চাট, নুডলস স্টেশন, লাইভ চিকেন টিক্কা, মালাই বটি কাবাব, বিফ সুতি কাবাব, বিফ চাপলি কাবাব, মিনি পিটা ব্রেডের সঙ্গে গালুটি কাবাব, ফিশ হারিয়ালি টিক্কা, বিফ কাবুলি বিরিয়ানি, লাহোরি নামকিন গোশত, মাটন পায়া, ওল্ডটাউন চিকেন রোস্ট, ফিশ কোফতা ইত্যাদি। মিষ্টিমুখের জন্য গুলাব জামুন, মিষ্টি দই, শাহি টুকরা, জিলাপি, চকলেট পাটিসাপটা পিঠাসহ নানা কিছু।

লো মেরিডিয়েনে নতুন এক্সিকিউটিভ শেফ

ক্রিস্টোফার ই. বাটলার। যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ডের নাগরিক। দুই দশকের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পুরস্কার বিজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান শেফ। সম্প্রতি এক্সিকিউটিভ শেফ হিসেবে যোগ দিয়েছেন লো মেরিডিয়েন ঢাকায়। হোটেলের রেস্টুরেন্ট ও ক্যাটারিং সুবিধার মেনু পরিকল্পনা, রেসিপি কার্যকর এবং আয় সর্বাধিককরণ তদারকিতে এরই মধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তার অভিজ্ঞতার ভান্ডার সমৃদ্ধ। মালদ্বীপের শান্ত সমুদ্রতট থেকে শুরু করে চীন, সুইজারল্যান্ড, দুবাইসহ আরও অন্যান্য শহরে সেই প্রমাণ রেখে এসেছেন। লো মেরিডিয়েনে যোগ দেওয়ার আগে মালদ্বীপের ভিলামেন্ধু আইল্যান্ড রিসোর্টে এক্সিকিউটিভ শেফ হিসেবে কাজ করেছেন। রন্ধনশিল্পে তিনি একজন কৌশলী; তীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গি, গুণমাননির্ভর পদ্ধতি এবং টিমকে অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপিত করার সহজাত ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। আধুনিক রন্ধনশিল্প নিয়ে তার আবেগ এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন স্বাদ সম্পর্কে বোঝাপড়া ব্যাপক। নতুন কর্মস্থলে তিনি কৌশলগত খাদ্য প্রস্তাবনাগুলোকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান।

 ফুড ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top