সেলিব্রিটি I স্টাইল পপি
শুরুটা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চে। জয়ী হয়ে। এর পরপরই বড় পর্দায় অভিষেক। প্রথম ছবিতেই পর্দাকাঁপানো অভিনয়। এখন অব্দি কাজ করেছেন শ খানেক মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমায়। ঝুলিতে পুরেছেন তিন-তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বড় পর্দার এই মানবীকে আলাদা রূপে প্রকাশের পরীক্ষামূলক প্রয়াসের অংশ হিসেবে তার সঙ্গে আলাপচারিতার এক টুকরো
প্রিয় পোশাক?
শাড়ি। ছোটবেলা থেকেই নিজেকে বড়দের মতো সাজিয়ে তোলার ঝোঁক ছিল আমার। তবে খুব জমকালো কিংবা কাজ করা ভারী শাড়ি নয়, হালকা শিফন শাড়ি আমার বেশ পছন্দ।
প্রিয় রঙ?
সাদা সবচেয়ে প্রিয়। শান্তিপূর্ণ একটা আবহ সৃষ্টি হয় এ রঙে। গোলাপি, লাল আর কালোও আমার পছন্দ।
প্রথম ক্রাশ?
শাহরুখ খান। প্রথম দিককার সিনেমাগুলোতে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করলেও তাতে ভালোবাসার প্রতি যে স্পষ্ট এবং জোরালো প্যাশন দেখেছিলাম, সেটাই আমাকে ভীষণ আকর্ষণ করেছিল।
ব্র্যান্ডপ্রীতি আছে? থাকলে প্রিয় ব্র্যান্ড কোনটি?
তা তো একটু-আধটু আছেই। তবে তা নিয়ে বাড়াবাড়ি বা শো-অফ করাটা আমার পছন্দ নয়। স্কিনকেয়ারের ক্ষেত্রে ক্লিনিক ব্র্যান্ডটা আমার খুব প্রিয়।
নিজের সম্পর্কে সবচেয়ে মজার রটনা?
কিছুদিন পরপরই আমাকে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। এখনো একা আছি তো, তাই সবাই হয়তো আমাকে নিয়ে একটু দুশ্চিন্তায় থাকেন। বেশ উপভোগ করি আমি ব্যাপারটা! হা…হা…হা…
অপ্রকাশিত প্রতিভা?
আমি কিন্তু বেশ ভালো ছবি আঁকতে পারি। যেকোনো সুন্দর কিছু রঙ তুলিতে ফুটিয়ে তুলতে আমি অন্য রকম আনন্দ পাই।
প্রিয় ভ্রমণের জায়গা?
ভেনিস। রোম্যান্টিক জায়গাগুলোর মধ্যে এটা একটা সুন্দর স্থান। এ ছাড়া সুইজারল্যান্ডও আমার খুব পছন্দ।
ব্যাগে কী থাকে সব সময়?
পারফিউম।
প্রিয় সোশ্যাল অ্যাপ?
ফেসবুক। বেশ ব্যবহার করা হয় আমার। সামান্য নেশার মতোও কাজ করে।
গিল্টি প্লেজার?
মিষ্টি। সিগারেট বা পানের মতোই নেশা বোধ করি আমি মিষ্টির জন্য। প্রচুর খাওয়াও হয়।
সর্বশেষ আপনি কী খেয়েছেন?
আম-দুধ-ভাত।
আপনার শখ?
মাছ ধরা। আমার বাড়ি খুলনায়। সেখানে গেলেই আমার মাছ ধরা হয়। এমনও হয়েছে, শুধু মাছ ধরার জন্যই আমি বাড়ি গিয়েছি। আর শুটিং স্পটে যদি সুযোগ পেয়ে যাই, আগেভাগেই স্পট বুকিং দিয়ে ফেলি। তা ছাড়া ফটোসেশনে অংশ নিতেও আমার খুব ভালো লাগে।
প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী?
জুলিয়া রবার্টস, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, কাজল, শ্রীদেবী, সালমান খান, শাহরুখ খান- তালিকাটা অনেক বড়। আর আমাদের দেশের সবাইকে আমার পছন্দ।
কোন ধরনের সিনেমা ভালো লাগে? প্রিয় সিনেমা?
অ্যাকশন, থ্রিলার থেকে রোম্যান্টিক- সিনেমা ব্যাপারটাই আমার ভীষণ ভালো লাগার। তাই পছন্দের সিনেমা বাছাইয়ের ব্যাপারে কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। ‘গয়নার বাক্স’ আমার দেখা প্রিয় সিনেমা। একদম ছোট একটা বিষয়কে কেন্দ্র করেও যে অন্য ধাঁচের অসাধারণ সিনেমা তৈরি হতে পারে, বড় উদাহরণ সিনেমাটা।
প্রিয় গায়ক-গায়িকা?
সনু নিগম। এ ছাড়া গজল শুনতে আমার খুব ভালো লাগে। সে ক্ষেত্রে জগজিৎ সিং আমার বেশি শোনা হয়।
আপনি কি আবেগপ্রবণ?
আমি অনেক বেশি আবেগপ্রবণ। কিন্তু জীবনের নানা বাঁকে, নানান বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে আবেগ প্রকাশের ধরনটা হয়তো পাল্টে গেছে।
আইডল?
ববিতা আপাকে দেখে আমি অনুপ্রেরণা পাই। কিন্তু আলাদাভাবে কাউকে আইডল মেনে অনুসরণ করা হয় না।
ছোটবেলায় কী হতে চেয়েছিলেন?
পাইলট। দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর খুব ইচ্ছা ছিল। আমার ধারণা ছিল, শুধু প্লেন চালাতে পারলেই স্বপ্নটা পূরণ করা সম্ভব। ক্রাইম রিপোর্টারও হতে চেয়েছিলাম।
ফ্রিজে সব সময় কী থাকে?
চকলেট আর মিষ্টি।
বাসার সবচেয়ে পছন্দের জিনিস কোনটা?
আমি এমনিতেই একটু ঘরকুনো। শুটিং বা খুব জরুরি কাজ না থাকলে একদমই বের হই না। আমার বাসার মানুষগুলোই আমার সবচেয়ে পছন্দের।
পছন্দের শব্দ?
মানে! না, মানে জিজ্ঞেস করছি না। এই শব্দটা আমার খুব ব্যবহার করা হয়। আর ‘আই লাভ ইউ’ এ কথাটা, এর মধ্যে লুকিয়ে থাকা অনুভূতি আমাকে ভীষণ টানে।
আজ থেকে দশ বছর পর নিজেকে কীভাবে দেখতে চান?
যদি বিয়ে করি, তাহলে পরিবারের সঙ্গে দেখতে চাই নিজেকে। সবার মধ্যে থাকতে চাই। এ ছাড়া একটা বৃদ্ধাশ্রম দেওয়ার ইচ্ছা আছে। সেখানে অনেকটা সময় কাটাতে চাই।
জাহেরা শিরীন
স্টাইলিং ও কনসেপ্ট: নুজহাত খান
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: মর্তুজা আলম
ওয়্যারড্রোব: রামিম হাসান