বিশেষ ফিচার I প্রতিরোধই একমাত্র হাতিয়ার
বাংলাদেশে দ্বিতীয় মৃত্যুর কারণ এমন একটা রোগ, যেটা চাইলে নির্মূল করা যায়। অথচ স্রেফ না বলে ধুঁকে ধুঁকে একজন নারী নিঃশেষ হয়ে যায়। মহামারিতে পরিণত হওয়া এই রোগ নিয়ে লিখেছেন রুম্পা সৈয়দা ফারজানা জামান
শিউরে উঠবে সবাই এই শেষ হয়ে যাবার গল্প শুনলে। কিন্তু ব্যবস্থা নিলে হয়তো আজ মহামারিতে রূপ নিত না। যে রোগ নিয়ে কথা বলছি সেটা বস্তুত জরায়ুমুখ ক্যানসার। জানুয়ারি জরায়ুমুখ ক্যানসার সচেতনতা মাস। আমাদের বিশেষ আয়োজনে তাই থাকছে এই রোগ নিয়ে বিভিন্ন অভিমত এবং সচেতন করে তোলার প্রয়াস।
শমরিতা চটপটে একটি মেয়ে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত। তার খেলার জন্য স্কুল তো বটেই, এলাকাতেও বেশ নামডাক। স্কুল পেরিয়ে কলেজ। কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়। সবকিছু ঠিকঠাক কিন্তু কোথায় যেন ছন্দপতন ঘটে। মনে হয় মোনালিসার এমন কোনো ছবি, যে ছবিতে সব আছে, কেবল হাসিটা নেই। অনেক আগে থেকেই ওর পিরিয়ড অনিয়মিত হতো। বিষয়টা আমলে যে নেয়নি তা নয়। মাকে বললেই উত্তর মিলত, খেলোয়াড়দের এমন প্রায়ই হয়। কিন্তু এটা কিছুতেই শমরিতার ভালো ঠেকছিল না। শরীরের অস্বস্তি ক্রমেই মনের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। হাসিখুশি মেয়েটি হয়ে যায় নিষ্প্রভ। এর মাঝেই আবার বিয়ে ঠিক হয়। কী মনে করে এক ডাক্তার বন্ধুর পরামর্শে শমরিতা ঠিক করলো, এবার ডাক্তার দেখাবে। যেহেতু পিরিয়ডে ঝামেলা, তাই এই পরামর্শ গ্রহণ করা। তা না হলে বাসার সবার মতো শমরিতাও ভাবতে শুরু করেÑ পিরিয়ডের ঝামেলা আর কী ঝামেলা। তাই একটু নিমরাজি তা বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু রিপোর্ট শমরিতার পুরো পরিবারকে নিমেষেই স্তব্ধ করে দেয়। শমরিতার ক্যানসার! জরায়ুমুখ ক্যানসার! এখন এমন স্টেজে পৌঁছেছে, যেখান থেকে ফিরে আসার উপায় নেই। ফিরে আসা যায় না। অনেক চেষ্টার পরেও শমরিতা এক বছরের মাথায় পৃথিবীর মায়া কাটায়।
একটু অমনোযোগ আর উপেক্ষাই কেড়ে নেয় শমরিতার মতো মেয়েকে, যাকে নিয়ে গর্ব করতো তার পরিবার, তার স্বজন, স্কুলÑ এলাকার সবাই। পাড়া দাপিয়ে বেড়ানো মেয়েটির নীরব ঘাতক সেই ক্যানসার যার প্রতিকার করা যেত তখনোই, যখন এর উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু কেউ আমলে নেয়নি, কেউ এখনো নেয় না। ফলে শমরিতার মতন অনেকেই নীরবে হারাচ্ছে প্রাণ এই ক্যানসারের কালো আঘাতে।
জরায়ুমুখ ক্যানসার বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে পরিচিত রোগের মধ্যে দ্বাদশতম। আর নারীর জন্য পঞ্চম প্রাণঘাতী রোগ। ২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী স্তন ক্যানসারের পরেই বাংলাদেশে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে এই ক্যানসার, যার কারণে নারীর মৃত্যু হচ্ছে প্রতিনিয়ত। হিসাব বলে, এই সময়ে অন্তত ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে ভুগছে। এবং ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার মৃত্যুবরণ করছে প্রতিবছর। হিসাবের বাইরে এর সংখ্যা এক শব্দে অসংখ্য। এমন অভিমত ডা. শাহরিয়ার ফেরদৌস সৈয়দের।
অ্যাপোলো হসপিটালের মেডিকেল অনকোলজি শাখার কনসালট্যান্ট ডা. ফেরদৌস শাহরিয়ার সৈয়দ বেশ জোর গলাতেই বললেন, যদিও এই ক্যানসারে আক্রান্তের হার এখন বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে, তবু ভুলে গেলে চলবে না যে এটা এমন একটি ক্যানসার, যেটার প্রতিরোধ করা সম্ভব। কারণ, বিশেষ করে এই ক্যানসার, অনেক দিন ধরে ধীরে ধীরে সংক্রমিত হয়। তাই চাইলেই কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ রুখে দেওয়া সম্ভব।
পরিবারে একাধিক ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী দেখে রীতিমতো শিউরে ওঠেন উপস্থাপক ও আবৃত্তিশিল্পী শারমিন লাকি। তিনি প্রথমেই বললেন, কেন আমরা নিজেরাই একটু বুঝেশুনে চলি না। তিনি যোগ করেন, আজকাল মেয়েরা যারা ইউটিউব দেখে মেকআপ শিখছেন, নাচ শিখছেন বা হাতের কাজ শিখছেন, তারা কিন্তু একটু কষ্ট করে নিয়মিত এই বিষয়টা নিয়ে পড়ালেখা করলে নিজেরাই সচেতন হতে পারবেন। নিজের জন্যই সচেতনতা কিন্তু বেশ জরুরি। কারণ, নিজে জানলে জানাতে পারেন অন্যকেও। প্রথমে জানতে হবে। তারপর খুঁজে নিতে হবে সেই উপায়, যেটা মেয়েদের জীবনকে করবে সুন্দর। আর ভিড়তে দেবে না ক্যানসারকে।
মেয়েদের নিয়ে কাজ করেন রূপবিশেষজ্ঞ এবং নারী ব্যক্তিত্ব কানিজ আলমাস খান। তিনিও প্রথমে জানার ব্যাপারে জোর দিলেন। দুই যুগের বেশি সময় ধরে তিনি কাজ করছেন এমন একটি প্রতিষ্ঠানে, যেখানে মেয়েরা সেবা প্রদানে ও সেবা গ্রহণে অংশ নেয়। তাই এখন তিনি একটা মেয়েকে বসে থাকতে দেখলেও বুঝে ফেলেন, তার মনে কোনো ঝড় উঠেছে কি না। তিনি বলেন, কত মেয়ের শারীরিক কত সমস্যা হয়, কিন্তু মেয়েরা আজও মুখ খুলে তাদের সেটা বলতে পারে না। অথচ সময়মতো হয়তো অনেক ঘটনাই অন্য রকম হতো। তিনি যোগ করেন, কত মেয়ে এই রোগেই মারা যায়, অথচ সে জানেও না যে কী তার রোগ। কারও কারও পিরিয়ডের মাত্রা এত বেশি যে রক্তশূন্যতায় মারা যায়। হয়তো সঠিকভাবে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে পারে না বা জানে না বলে তাদের যৌনাঙ্গে রোগ ছড়িয়ে পড়ে, ক্যানসার হয়; এ জন্যই প্রয়োজন নিজে সচেতন হওয়া এবং অন্যকে সচেতন করা। বিশেষত পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা জরুরি। তাহলেও হয়তো মেয়েদের কিছু রোগ কম হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
একই ধরনের মন্তব্য করেন ড. ফেরদৌস শাহরিয়ার। তাঁর মতে, এই ক্যানসার প্রতিহত করার মতোই। তাই বিষয়টি তুলে ধরে নিয়মিত প্রচারের প্রয়োজন। তিনি যোগ করেন, ক্যাম্পেইন এ জন্যই দরকার, কারণ এটি একটি জাতীয় সমস্যা, বিভিন্ন অঞ্চলের মেয়েদের ক্রমেই এই রোগ কবজা করে নিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে একটি ভালো ক্যাম্পেইন, চলমান প্রচারণা মেয়েদের সচেতনতা তৈরিতে সহায়ক হবে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি উল্লেখ করেন, ইতিমধ্যেই কিন্তু জাতীয় পর্যায়ে একবার উদ্যোগ নেওয়া হয় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মেয়েদের টিকা দেওয়ার।
সাধারণত ১০ বছর বয়সের পর থেকেই জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধক টিকা নেওয়া যায়। মোট তিন ডোজ টিকা নিতে হয়- প্রথম ডোজের এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রথম ডোজের ছয় মাস পর তৃতীয় ডোজ টিকা নিতে হয়। টিকা গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত পরীক্ষা করালে জরায়ুমুখ ক্যানসারের আক্রমণ হার কমিয়ে আনা যায়। ভাইরাস এইচপিভি-১৬, এইচপিভি-১৮, এইচপিভি-৬, এইচপিভি-১১-এর প্রতিরোধক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে।
টিকা গ্রহণ আর নিয়মিত পরীক্ষার ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আগামী দশ বছরে জরায়ুমুখের ক্যানসার দেশ থেকে নির্মূল করা সম্ভব বলে মনে করেন ড. ফেরদৌস শাহরিয়ার।
উল্লেখ্য, আমেরিকান ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) নিয়মানুযায়ী ৯-২৫ বছর বয়সে এ টিকা দিলে সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হয়। যেকোনো এক ধরনের টিকা (সারভারিক্স অথবা গার্ডাসিল) যৌন জীবন শুরু হওয়ার আগেই দেওয়া প্রয়োজন। এই টিকার কারণে শরীরে এইচপিভির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। ফলে জরায়ুতে ঝুঁকিপূর্ণ ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবডি ভাইরাস ধ্বংস করে দেয়।
এ প্রসঙ্গে কানিজ আলমাস খান আরও যোগ করেন, তিনি তার প্রতিষ্ঠানে মেয়ে কর্মীদের এই টিকার ব্যাপারে সচেতনতামূলক প্রচারণা করেছেন। শুধু তা-ই নয়, মেয়েরা যেন পারসোনাসহ অন্য জায়গাতেও এই রোগ নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা করেন, সে ব্যাপারে উৎসাহ দিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপনী সংস্থার কর্মকর্তা শারমীন রহমান বলেন, প্রচারণার ওপর আর কিছুই হতে পারে না। আমাদের দেশ পোলিওর মতো মহামারি থেকে বের হয়ে এসেছে, স্যালাইন খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হয়েছে শুধু জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণার কারণে। আর যে জরায়ু থেকে আগামী প্রজন্ম জন্ম নেয়, সেই জরায়ুর দেখভাল করবে না?
অভিন্ন সুর উপস্থাপক শারমিন লাকির। তিনি বলেন, এখন তো পিরিয়ড নিয়েও আমরা কথা বলছি। সেটা শুধু শহরে না রেখে নিয়ে যেত হবে গ্রামে, এমনকি প্রত্যন্ত এলাকায়। যে উপকূলে হয়তো লবণাক্ত পানির কারণেও নানা যৌন রোগের সৃষ্টি হয়, সেখানে গিয়েও বলতে হবে এই ক্যানসারের কথা, জানাতে হবে সচেতনতার কথা। গড়তে হবে প্রাথমিক প্রতিরোধের বলয়।
ড. ফেরদৌস শাহরিয়ারের পরামর্শ, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসারের প্রতিরোধ বলয় তৈরি করতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বা যারা সুবিধাবঞ্চিত, তাদের জন্য আলাদা করে প্রোগ্রাম সেট করতে হবে। নিজেদেরই করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম করে সেফটি নেটের আওতায় এনে প্রতিরোধ সম্ভব; প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লেও চিকিৎসায় সুস্থ করে তোলা সম্ভব। অযথা শেষ মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা না করে আগেই নিজের দায়িত্ব অনুযায়ী বা সক্ষমতা অনুযায়ী জরায়ুমুখ ক্যানসার নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। খরচের ব্যাপারটাও যদি মুখ্য হয়, সে ক্ষেত্রে ধর্মীয়ভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে যে বার্ষিক দান বা অনুদান থাকে, সেটাকে এই মহৎ উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো যেতে পারে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই উদ্দেশ্যে খরচের ব্যাপারে এগিয়ে আসতে পারে।
জরায়ুমুখের ক্যানসার, এর প্রতিরোধ বা খরচ নিয়ে নিজের অভিমত জানান কানিজ আলমাস খান। তিনি বলেন, আমাদের এখানে অসংখ্য ডাক্তার গ্রাহক হয়ে আসেন। তাদের অনেকেই এ ব্যাপারে বিনা দ্বিধায় সহায়তা করতে আগ্রহী। প্রতিষ্ঠান হিসেবে পারসোনা এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানও যে যার জায়গা থেকে মেয়েদের পাশে দাঁড়াতে সদা প্রস্তুত।
এ মাসে অনুষ্ঠেয় জরায়ুমুখের ক্যানসার নিয়ে একটি বিশেষ সপ্তাহ পালন করছে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতাল। যেখানে কানিজ আলমাস খান এবং ড. ফেরদৌস শাহরিয়ার দুজনেই এই বিশেষ সপ্তাহে জাতীয় পর্যায়ে কোনো নীতিমালা প্রণয়ন করা যায় কি না বা কোনো নীতির অবকাঠামোতে এই রোগের প্রতিকারমূলক গণসংযোগ প্রচারণা চালু করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি শারমিন লাকি ও শারমীন রহমানের মতো ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন সেক্টর থেকে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সেই প্রচারণায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে কয়েক বছর আগে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধী টিকার প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন কানিজ আলমাস খান, শারমিন লাকি ও মোনালিসা।
তবে, যেকোনো পদক্ষেপকে কোনো সপ্তাহে নয়, বছরের প্রতিটা দিন স্কুলের ঘণ্টার মতো নিয়ম করে সরব করতে হবে। তাহলেই আসবে সুফল। কারণ, এখনো এ দেশে শুধু মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়, কিন্তু সেই দাঁড়াতে যাবার তাড়নায় মেয়েটি নিজের যত্ন নিচ্ছে কি না, তিরিশের পর মেয়েরা কেমন আছে বা থাকে, মেনোপোজ তাকে কোন জায়গায় দাঁড় করায়, সেটা নিয়ে ভাবা শুরু হয়নি এখনো। মেয়েদের শরীর, তার মনও যে ঘড়ির মতো, প্রয়োজন একটু যত্নের ছোঁয়া আর এগিয়ে চলার জন্য সেই বিশেষ চাবি এটা নিয়েও ভাবার সময় এসেছে। কারণ, একজন নারী মানেই একটি নতুন শিশুর আগমনের কেন্দ্র, মমতার উৎস। নারী আছে বলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাচ্ছে বিশ্ব। সেই নারীকে আগলে রাখার দায়িত্ব কি শুধুই নারীর? সে নারীকে আগলে ও যত্নে রাখার দায়িত্ব প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের। নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবার।
কারণ
জরায়ু ক্যানসার হতে পারে মূলত ৩৫ বছর বয়স থেকে ৫৫ বয়সের মধ্যে
অল্প বয়সে বিয়ে হলে (১৮ বছরের নিচে) বা যৌন মিলন করে থাকলে
২০ বছরের নিচে গর্ভধারণ ও মা হয়ে থাকলে
অধিক ও ঘন ঘন সন্তান প্রসব করলে
বহুগামিতা
স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব এবং যৌনাঙ্গ অপরিচ্ছন্ন থাকলে
বিভিন্ন রোগ-জীবাণু দ্বারা জরায়ু বারবার আক্রান্ত হলে যেমন হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস এবং হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস ইত্যাদি।
লক্ষণ
অনিয়মিত ঋতুস্রাব হওয়া
ঋতু সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ১ বছর পরেও রক্তস্রাব দেখা যাওয়া
যৌনসঙ্গমের পর রক্তস্রাব হওয়া
যোনিপথে বাদামি অথবা রক্তমিশ্রিত স্রাবের আধিক্য দেখা দেওয়া
সাদা দুর্গন্ধযুক্ত যোনিস্রাব হওয়া
লক্ষণীয়
একদিন বা এক মাসে হঠাৎ করে জরায়ুমুখে ক্যানসার হয় না। ক্যানসার সংক্রমিত হতে ১০-১৫ বছর সময় লাগে। কিন্তু জরায়ুমুখ ক্যানসারের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ রোগী আসে শেষ পর্যায়ে এবং ইতিমধ্যে ক্যানসার ছড়িয়ে যায়
দ্রুত রোগ ধরা পড়লে অপারেশনের মাধ্যমে জরায়ু কেটে বাদ দেওয়া যেতে পারে। কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যায়
৩০ বছরের বেশি বয়স হলেই জরায়ুমুখ অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে। তবে ১৮ বছরের আগে এবং বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে ২৫ বছর বয়স হলেই জরায়ুমুখ পরীক্ষা করাতে হবে
প্রতি তিন বছর পর স্বাস্থ্যকর্মীকে দিয়ে জরায়ুমুখ অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে
লেখক: সাংবাদিক