সেলিব্রিটি স্টাইল I সময়টা সিয়ামের
ছোটবেলায় বড় মাপের ব্যারিস্টার হতে চেয়েছিলেন। হয়েছেনও তাই। সুনাম, খ্যাতি- সবই মিলেছে। তবে প্লটটা পাল্টে গেছে। প্রিয় হয়ে উঠেছেন কোটি হৃদয়ের নায়ক হয়ে। প্রথমে মডেলিং, তারপর ছোট পর্দায় প্রবেশ। এখন তো ব্লক-বাস্টার সব সিনেমা দিয়ে কাঁপাচ্ছেন বড় পর্দা। সাবলীল কথাবার্তা আর মুগ্ধতায় মাখা হাসির জন্য নারী ভক্তদের মাঝে আলাদা কদর রয়েছে সিয়ামের। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এই মাসে তাই রইলো এ নায়কের নিজের গল্প
প্রিয় পোশাক?
I ক্যাজুয়াল থাকতেই পছন্দ করি। ব্লু ফেডেড জিনস, সাদা টি-শার্ট। সঙ্গে একটা ব্লেজার। ব্যস!
প্রিয় রঙ?
I সাদা। দারুণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একটা রঙ।
প্রথম ক্রাশ?
I মনিকা বেলুচি।
নিজের সম্পর্কে শোনা সবচেয়ে মজার রিউমার?
I আমি একজন প্লেবয়। হা হা হা।
ব্র্যান্ডপ্রীতি আছে? প্রিয় ব্র্যান্ড কোনটি?
I একদমই নেই। আমাকে যা ভালো দেখায়, যেটা পরে আরাম, আমি তাই পরি।
অপ্রকাশ্য প্রতিভা?
I আমি মানুষের গল্পের খুব মনোযোগী শ্রোতা। সবাই বলতে বেশি পছন্দ করে, আমি শুনতে।
প্রিয় ভ্রমণের জায়গা?
I ভুটান, থানচি আর বছরের যেকোনো দিন, যেকোনো মুহূর্তে সেন্ট মার্টিন।
ব্যাগে সব সময় কী থাকে?
I মানিব্যাগ, হা হা হা। আর ম্যানিবাগে বাবা-মায়ের ছবি।
গিল্টি প্লেজার?
I অগুনতি। প্রচুর ঝাল দিয়ে ফুচকা এর মধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দ। হা হা হা।
আপনার শখ?
I শখ সীমাহীন। ছোটবেলায় ছিল স্ট্যাম্প সংগ্রহ, কলম জমানো। আর এখন তো স্মৃতি জমাই। হা হা হা। আর আমার শখ কদিন পরপরই পাল্টে যায়। ভিনটেজ গাড়ির প্রতি আগ্রহ জন্মাচ্ছে এখন।
প্রিয় অভিনেতা, অভিনেত্রী?
I প্রয়াত সালমান শাহ আর হুমায়ুন ফরীদি স্যার। উনাদের সঙ্গে আমার কখনো কাজ করা হবে না, এ দুঃখটা দারুণ পোড়ায় আমাকে।
কোন ধরনের সিনেমা ভালো লাগে?
I রিয়েল ড্রামাটিক মুভিগুলো আমাকে খুব টানে। এ ছাড়া জীবনের সঙ্গে সহজে মিলিয়ে নেওয়া যায় এমন সিনেমাও আমার খুব পছন্দ।
আপনি কি আবেগপ্রবণ?
I অনেক। ভুল বুঝে কাছের মানুষদের দূরে চলে যাওয়ার যে অনুভূতি, সেটা আমাকে বেশি ভেঙেচুরে দেয়।
আইডল?
I আমার বাবা। এমন নীতিমান মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে।
ছেলেবেলায় কী হতে চেয়েছিলেন?
I যা চেয়েছিলাম, তাই হয়েছি। ব্যারিস্টার। হা হা হা। নায়ক হবার ইচ্ছা মনের কোনো কোণেও ছিল না।
ফ্রিজে সব সময় কী থাকে?
I আমি জুসোহোলিক মানুষ। জুস থাকবেই।
ঘরের সবচেয়ে পছন্দের বিষয়?
I আমার ওয়াশ রুম।
পছন্দের শব্দ, যা সবচেয়ে বেশি বলা হয়?
I আম্মু উ উ উ। হা হা হা।
তিনজন মানুষকে আপনি ব্যাগে পুরে নিয়ে সব সময় সঙ্গে রাখতে পারবেন- এমন অপশন যদি দেওয়া হয়, তাহলে?
I প্রথমে, অবন্তী, আমার স্ত্রী। ব্যাগে পুরে চেইনটা শক্ত করে আটকে দেব, যেন আর কখনো বেরোতে না পারে। দ্বিতীয়জন আমার মা। একটু পরপর বের করে যেন দেখতে পারি। তৃতীয়, জাকির। সে আমার প্রতিদিনকার যাবতীয় দরকারি জিনিসের দেখাশোনা করে।
যদি আপনাকে কারও লাইফস্টাইল বেছে নিতে বলা হয়, কারটা চাইবেন?
I ড্যান বিলজেরিয়ান। হা হা হা।
আপনার পোস্টার হয়তো এখন অনেকের ঘরের দেয়ালেই সাঁটানো থাকে, আপনার ঘরের দেয়ালে কার পোস্টার ছিল?
I সালমান শাহর।
নিজের কাজের সবচেয়ে পছন্দের ব্যাপার?
I অনেক শটের মাঝেই নিজের আসল অনুভূতিটা দিয়ে ফেলা যায়। ডিরেক্টরও খুশি, আর আমার মনের মধ্যে জমে থাকা কিছু একটা সহজে বেরিয়ে যায়। ট্রিকটা অনেকেই ধরতে পারেন না। আর ফ্রি ট্রাভেলিং তো আছেই। হা হা হা।
কাজের মধ্যে না থাকলে কী করেন?
I পরবর্তী সময়ে কী কাজ করব তা নিয়ে চিন্তা। আই অ্যাম রিয়েলি ইন টু ওয়ার্ক।
রোম্যান্টিক সিন করতে চান কার সঙ্গে?
I জয়া আহসান। তাকে বলেছিও ব্যাপারটা।
ফেবারিট ফ্যান মোমেন্ট?
I আমার প্রথম সিনেমার প্রথম দিন প্রমোশনের জন্য ময়মনসিংহে গিয়েছিলাম। এক নারী ভক্ত সকাল সাতটা থেকে এসে বসে ছিলেন আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য। আমরা পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা। এর মধ্যে অনেক হুড়োহুড়িতে তিনি আহতও হন। কিন্তু দমে যাননি। আমার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর আধঘণ্টা আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলেন। তখন মনে হচ্ছিল- কী এমন কাজ করেছি, যার জন্য এত ভালোবাসা!
যারা অভিনেতা হতে চান তাদের জন্য পরামর্শ?
I শুধু শখ নিয়ে এলে এ জায়গায় টিকে থাকা মুশকিল। জায়গাটাকে ভালোবাসতে হবে। তীব্র প্যাশন নিয়ে কাজ করতে হবে দর্শকদের জন্য।
দশ বছর পর নিজেকে কীভাবে দেখতে চান?
I বাচ্চা কাচ্চা আর পরিবার নিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি- এমন দেখতে চাই।
I জাহেরা শিরীন
স্টাইলিং ও কনসেপ্ট: নুজহাত খান
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: সৈয়দ অয়ন