সেলিব্রিটি স্টাইল I রুবাবা-রহস্য
বিশ্বাস করেন, নারীত্বের স্বভাবসুলভ সারল্য আর স্বাভাবিকতা বজায় রেখেই পুরুষপ্রধান যেকোনো জায়গা জয় করে নেওয়া যায়। তা প্রমাণও করেছেন। প্রায় দুই দশক ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের করপোরেট সেক্টরে। সম্প্রতি হয়েছেন উদ্যোক্তা। কাজ শুরু করেছেন স্বাস্থ্যসেবার ডিজিটাল সংস্করণ নিয়ে। দশ বছর পরের জন্য কী পরিকল্পনা আঁটছেন রুবাবা দৌলা। মুখোমুখি জাহেরা শিরীন
সম্প্রতি কিসে ঝোঁক বেড়েছে?
ওজন কমানোয়। হা… হা… হা…
অবসরে কী করা হয়?
আমার ছেলে এখন দেশে আছে। সময়টা ওর সঙ্গেই কাটাই। নইলে গান করা হয়।
ঢাকার সবচেয়ে পছন্দের ব্যাপার?
মানুষগুলো।
নিজের কেনা সবচেয়ে পছন্দের জিনিস?
আমার সুতি শাড়িগুলো।
প্রথম কাজ?
গ্রামীণফোনে, প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং অফিসার হিসেবে।
প্রথম উপার্জন?
গ্রামীণফোনেই। ১৪ হাজার টাকা। হা… হা… হা…।
যদি খেলোয়াড় হতেন, কী খেলতেন?
ব্যাডমিন্টন।
নতুন করে কী শিখতে চান?
ওকালতিটা আয়ত্ত করতে চাই।
সংক্ষেপে যদি নিজেকে বর্ণনা করতে হয়?
ঝুঁকি নিতে পছন্দ করি, কাজের ক্ষেত্রে একনিষ্ঠ আর হুট করে চটে যাওয়ার অভ্যাস আছে। হা… হা… হা…।
কিসে ভয় পান?
কিছুতেই না।
কিসে রাগ হয়?
কেউ যখন কাজে অকারণে অবহেলা করে।
পছন্দের ফ্যাশন ট্রেন্ড?
ফ্যাশন ট্রেন্ড আসলে আমার খুব বেশি ফলো করা হয় না। ক্যানভাসের এই শুটের জন্যই বোধ হয় এবার আমার অন্য রকম নতুন কিছু পরা হলো। কিন্তু পুরোনো কাতান, বেনারসিকে যে এখন নতুন রূপ দিয়ে ট্রেন্ডি ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরি হচ্ছে, সেটা আমার খুব পছন্দ।
পছন্দের পাখি?
কোকিল।
প্রিয় ফুল?
গোলাপ।
পছন্দের খাবার?
আমি পুরোদস্তুর মাছে-ভাতে বাঙালি। সঙ্গে ভর্তা হলে তো কথাই নেই।
অপছন্দের খাবার?
এমনিতে আমি সব খাই। করলা বাদে।
ফেবারিট বিউটি ট্রিক?
ঘুম।
মাস্ট হ্যাভ বিউটি প্রডাক্ট?
ভালো ময়শ্চারাইজার।
আপনার বিউটি রুটিন?
নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিই। চুলে নিয়মিত অয়েল ম্যাসাজ আর হেয়ার প্যাক মাখার চেষ্টা করি। আর ম্যানিকিউর, পেডিকিউর মাস্ট।
আপনার সৌন্দর্যের রহস্য?
ভেতরকার সৌন্দর্য।
জীবনের সেরা উপদেশ?
বি ইওরসেল্ফ। আমার বাবা বলেছিলেন।
কিশোরী রুবাবা দৌলাকে কী উপদেশ দিতে চাইতেন?
জীবন একটাই। একে অত কঠিন করে নেবার কিছু নেই; বরং উপভোগ করা চাই।
ওয়্যারড্রোবের এমন পোশাক, যা সবচেয়ে বেশি পরা হয়েছে?
আমার পুরোনো সুতি শাড়িগুলো।
ডাকনাম?
স্নিগ্ধা।
নিজেকে গুগল করা হয়েছে কখনো?
হুম্। হা… হা… হা…।
পছন্দের সিনেমা?
প্রিটি ওমেন।
জীবনে পাওয়া সেরা উপহার?
ভালোবাসা।
সেরা সারপ্রাইজ?
অপেক্ষায় আছি!
একটা মিথ্যা বলেন?
আমি অনেক ভালো। হা… হা… হা…।
এ বছর আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া সেরা ঘটনা?
এ বছর আমি বিরাট একটা ঝুঁকি নিয়েছি। করপোরেট সেক্টর ছেড়ে দিয়ে আমি এখন পুরোদস্তুর উদ্যোক্তা। আমার কোম্পানি ‘পালস’ কাজ করছে ডিজিটাল হেলথকেয়ার নিয়ে। যার মাধ্যমে ডাক্তার এবং রোগী সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কনসাল্ট করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে প্রান্তিক মানুষেরাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
প্রথম ক্রাশ?
‘হোয়াম’! ব্যান্ডের জর্জ মাইকেল।
আপনার রাশি?
আমি আসলে কাস্প। কুম্ভ আর মীনের মিশ্রণ।
অপ্রকাশ্য প্রতিভা?
আমি নিজে নিজে অনেক কথা বলতে পারি। হা… হা… হা…।
হিল না ফ্ল্যাট?
হিল।
ডায়মন্ড না পার্ল?
পার্ল।
ফিকশনাল ক্যারেক্টার, যার সঙ্গে প্রেম করতে চান?
আমি ভাই জর্জ ক্লুনিকেই চিনি শুধু।
গিল্টি প্লেজার?
রাতে ঘুম থেকে উঠে ফ্রিজ থেকে চকলেট খাওয়া। ডার্ক চকলেট।
আপনি কি আবেগপ্রবণ?
ভীষণ। আমার কান্নাটাই বেশি পায়।
পছন্দের শব্দ?
রিয়েলি! এটাই সবচেয়ে বেশি বলা হয়।
ছোটবেলায় কী হতে চেয়েছিলেন?
আর্মি অফিসার। আই ওয়ান্টেড টু বি আ জেনারেল।
দশ বছর পর নিজেকে কীভাবে দেখতে চান?
সুস্থ এবং সুখী। দেশের মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে—এমন কাজ করেছি দেখতে চাই।
স্টাইলিং ও কনসেপ্ট: নুজহাত খান
মেকওভার: পারসোনা
ওয়্যারড্রোব: চন্দন
ছবি: সৈয়দ অয়ন