সম্পাদকীয়
করোনায় ব্যাপক সংক্রমণের শুরু থেকেই বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আর ওষুধসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নানাভাবে মানুষকে রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আশার কথা, বাংলাদেশও এই সংগ্রামে শামিল হয়েছে।
কিন্তু ওষুধ আর ভ্যাকসিনের আশায় বসে না থেকে সবচেয়ে জরুরি হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সামাজিক, প্রয়োজনে ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখা এই সংক্রমণ রোধের প্রথম ও প্রধান শর্ত। কার্যকর পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। কেননা, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা খুব বিপজ্জনক কোনো ভাইরাস নয়, যদি একে মোকাবিলা করার মতো ইমিউনিটি মানবদেহে থাকে। সাধারণ ফ্লুর কিছু লক্ষণ দেখিয়ে কয়েক দিনেই এটি সরে যায় শরীর থেকে। সুতরাং আর আতঙ্ক নয়; বরং চলুন, প্রতিদিন প্রাণহানির হিসাব নিয়ে উদ্বিগ্ন বা মুহ্যমান না হয়ে এই সময়টা আমরা নানাভাবে উদযাপন করি, স্বগৃহে নিজেদের কাজগুলো সেরে নিই। নিজ নিজ সৃষ্টিশীলতাকে পূর্ণ মাত্রায় বিকশিত করি। এটা যেমন আমাদের উদ্বেগ থেকে রক্ষা করবে, তেমনি সম্ভাবনাময় জীবনকে গতিশীল রাখবে।
বিপন্নতার এই কালে একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগও অতিক্রম করলাম আমরা। সুন্দরবন আবার বিপুল ধ্বংসের হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে। তারপরও প্রকৃতিরক্ষায় সচেতন হবো না?
এবার বিশ্বের মুসলমানরা ঈদ ভিন্নভাবে উদযাপন করতে যাচ্ছে। এই সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এ এক নতুন অভিজ্ঞতা।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিয়োগান্ত কিছু ঘটনায় আমরা ব্যথিত। আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন শিক্ষাবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, বিশিষ্ট প্রকৌশলবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায়, স্বনামধন্য সংগীত¯স্রষ্টা আজাদ রহমান। প্রত্যেকেই বাঙালি জাতির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
ঈদের প্রীতি রইল। নিজের যত্ন নিন। অন্যেরও। ভালো থাকুন সবাই।