কোন কাজে কী চামচ
রান্নায় কিংবা পাতে- চামচের ব্যবহার সব জায়গাতেই। ব্যবহারের সুবিধার্থে এর রয়েছে বিভিন্ন আকার। পুরো পৃথিবীতে ৫০ প্রকার চামচের হদিস মেলে। খ্রিস্টের জন্মের পাঁচ হাজার বছর আগেও এর ব্যবহার ছিল। মিসরীয়রা এর ব্যবহার করত। তবে তখনকার চামচ ধাতু কিংবা প্লাস্টিকের ছিল না। ছিল হাতির দাঁত কেটে বানানো, কিংবা পাথর ও কাঠের। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় অব্দে চীন দেশে হাড়ের তৈরি চামচ ব্যবহৃত হতো। ধাতব তথা ব্রোঞ্জ ও সিলভারের চামচের খোঁজ মেলে প্রাচীন গ্রিসে। সংস্কৃত শব্দ ‘চমস’ কিংবা ফার্সি শব্দ ‘চামচাহ’ থেকে চামচ শব্দটির উদ্ভব হতে পারে বলে ধারণা করেন গবেষকেরা।
সে যা-ই হোক, আকৃতিভেদে চামচের ব্যবহার ভিন্ন। সেটের সবচেয়ে খুদে চামচটি ব্যবহার করা হয় চায়ের চামচ হিসেবে। সেটির চেয়ে কিছুটা বড় আকারের যেটি হয়, তা মূলত ডেজার্ট স্পুন। অনেকে এটিকেই চা-চামচ মনে করেন। মাঝারি আকারের চামচটি মূলত খাবার তুলে খেতে ব্যবহৃত হয়। এটির নাম টেবিল চামচ।
খাওয়ার সুবিধার্থে চামচের সেটে জায়গা করে নিয়েছে কাঁটাচামচ। তিন-চার কাঁটাওয়ালা চামচগুলো মূলত ডেজার্ট ফর্ক। মানে, মিষ্টি খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। ফল ও স্যালাডে গেঁথে তোলার জন্য দুই কিংবা তিন কাঁটাওয়ালা চামচ। মাঝারি আকারের কাঁটাচামচটি মূল খাবার খেতে ব্যবহৃত হয়। টেবিল চামচের পাশাপাশি। গোল মাথার চামচগুলো স্যুপের জন্য। একটু খোঁড়লওয়ালা গোলচামচগুলো স্যুপ পরিবেশনের কাজে লাগে। টেবিল চামচের চেয়ে খানিকটা বড় আকারের চামচটি লাগে তরকারি পরিবেশনে। এর নাম কারি স্পুন। ভাত বাড়ার চামচটি ফ্ল্যাট এবং চওড়া। তা ছাড়া চামচ ছেঁটে একেবারেই ছোট একটি চামচ মেলে, সেটি লবণ তোলার। আচারের জন্য কিছু চামচ আছে। নাম পিকলস স্পুন। ড্রিংকস্পুন নামের কিছু চামচ হয়। এগুলোর ডাঁট সরু এবং মাথা গোল। গ্লাসে কোনো কিছু গুলে নেওয়ার জন্য এ ধরনের চামচ কাজে লাগে। তা ছাড়া টং নামে একধরনের চামচ হয়। সেগুলো ব্যবহৃত হয় রোস্ট খেতে।