সয়াবিনের উৎপত্তি
উদ্ভিজ্জ আমিষের বড় উৎস সয়াবিন। স্বাদেও মুখরোচক। নিয়মিত খেলে অনেক রোগবালাই থেকেই রেহাই মেলে। গর্ভাবস্থা থেকে বার্ধক্য—সব সময় এটি সুফলদায়ী একটি খাবার। যদিও কাঁচা অবস্থায় সয়াবিন স্বাস্থ্যসম্মত নয়। পাতিত করার আগে তাতে ক্ষতিকর প্রাকৃতিক উপাদানগুলো থেকে যায়। এই ধরনের সয়াবিন খেলে শরীরে আমিষ তৈরির এনজাইম ও ট্রিপসিন কাজ করার ক্ষমতা হারায়। ফলে প্রোটিন হজম না। এতে পেটে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
সয়াবিনের উৎপত্তি পূর্বচীনে। ধারণা করা হয়, ২৮৩৮ খ্রিস্টপূর্বে এর চাষাবাদ শুরু হয়েছিল। পরে চীনারা সয়াবিনকে এক ধরনের গাজনের মাধ্যমে খাদ্যোপযোগী করে তোলে। তাতে তৈরি হয় সয়াসস, নেটো, মিসো, টেমপেহ নামের পদগুলো। চৈনিক বিজ্ঞানীরা সয়াবিনের ঘণ্টকে পাতিত করে ক্যালসিয়াম সালফেট বা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট যোগে এক ধরনের দই তৈরি করেছিল। যেটি টফু নামে পরিচিত। গাজনকৃত এই পদটি পরে জাপান ও ইন্দোনেশিয়াতে খাবার হিসেবে জনপ্রিয় হয়। পশ্চিমারা ১৭৬৫ সাল পর্যন্ত সয়াবিনের হদিস পায়নি।
একটা সময় পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে গবাদিপশুর খাবার হিসেবে ফলানো হতো সয়াবিন। ১৯ শতকের শুরুতে মার্কিন বিজ্ঞানী জর্জ ওয়াশিংটন কারভের সয়াবিনের বীজের মধ্যে প্রোটিন ও তেল আবিষ্কার করেন। তখন থেকে এটি নিয়মিতভাবে উঠে আসে মানুষের খাদ্য তালিকায়।