সেলুলয়েড I অসুর
কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: পাভেল ভট্টাচার্য
প্রযোজনা : জিৎ মাদনানি, গোপাল মাদনানি এবং অমিত জুমরানি
সম্পাদনা : মলয় লাহা
অভিনয় : জিৎ মাদনানি, আবির চ্যাটার্জি, নুসরাত জাহান
সংগীত : বিক্রম ঘোষ
দৈর্ঘ্য : ২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট ১১ সেকেন্ড
শিল্প, প্রেম, ধর্ম আর করপোরেট রাজনীতির নান্দনিক মিশেলে তৈরি হয়েছে এই ছবি। কিগান, বধি ও অদিতি- তিন বন্ধুর ভালোবাসা-বন্ধুত্ব-শত্রুতার কাহিনি নিয়ে গড়ে উঠেছে এর আখ্যান।
অদিতি, কিগান ও বধি পরস্পর বন্ধু। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। অদিতি ভালোবাসত কিগানকে। কিন্তু ঘটনাচক্রে সে বিয়ে করে বধিকে। যদিও কিছুদিন পর তারা আলাদা বসবাস করতে থাকে। কিগানের হৃদয়জুড়ে ছিল কল্পনার এক নারী, যে দুর্গার প্রতিরূপ।
কিগান এক রাতে অদিতির মধ্যে সেই দুর্গার প্রতিচ্ছবি কল্পনা করে। অদিতি তার সান্নিধ্যে এসেছিল প্রেমের কারণেই। কিগান নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে নেয় অদিতির কাছে। অন্যদিকে সে বিয়ে করে বধিকে। আর বধি নিজের সন্তানের মতো বড় করে তোলে কিগান ও অদিতির সন্তানকে, যার পরিচয় কিগানের জানা ছিল না। আত্মত্যাগের পরও বধি তার হৃদয়ে স্থান পায় না।
শারদীয় উৎসবের সময় কিগান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুর্গা প্রতিমা বানায়। তার এ কাজে অদিতি সব রকম সহযোগিতা করে। পূজামন্ডপের জন্য বধির কোম্পানির কাছে স্পন্সরশিপ চাওয়া হলেও সে বাতিল করে দেয় একমাত্র কিগান সেখানে যুক্ত বলে। বধি সেই মূর্তি ভেঙে ফেলার হুমকিও দেয়। অন্যদিকে এক পার্টিতে অদিতির বাবাকে কিগান অপমান করায় তিনি প্যারালাইজড হয়ে যান। যে কারণে, অদিতির মনে ঘৃণা আর প্রতিশোধের স্পৃহা জেগে ওঠে। বধির সঙ্গে অদিতিও দুর্গা প্রতিমা ভাঙার পরিকল্পনা করে। তারা সেই মন্ডপের পূজা বন্ধ করতে সফল হলেও কিগানের শিল্পকর্ম স্থায়ী হয়ে যায় তার নিজেকে পূজামন্ডপের আগুনে পুড়িয়ে শেষ করার মধ্য দিয়ে। তবে তার আগে সে বধিকে জানিয়েছিল, সে নেভাদায় চলে যাবে। যেখানে আর্টিস্ট নিজেকেও তার শিল্পকর্মের সঙ্গে আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। বধি আর অদিতি চেষ্টা করেছিল কিগানকে বাঁচানোর। তা সম্ভব না হলেও কিগানের বানানো সেই বিশাল দুর্গা প্রতিমা সংরক্ষণ করা হয় বন্ধুর স্মৃতিরক্ষার্থে।
চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কৌশল সাধারণ। সিনেমাটোগ্রাফি চলনসই। সাজসজ্জা কিংবা সেট বিন্যাসে বাড়তি কোনো চাকচিক্য নেই। কিগানের মেকআপ আর পোশাক ছিল ভবঘুরে একজন মানুষের মতোই। তবে তার অভিনয়ের দুর্বলতা লক্ষণীয়। অদিতির চুলের সাজ কিংবা কস্টিউমে আর্ট কলেজের ছাত্রীর আভাস। বধির চরিত্র আর বাহ্যিকতায় ফুটে উঠেছে করপোরেট জীবনের প্রতিচ্ছবি। তবে সিনেমার সিজিআই ছিল অনেকটা দুর্বল। মিউজিকে যে কেউ পূজা আর নান্দনিকতার মিশ্রণ পাবে।
কিগান, বধি বা অদিতি কেউ অসুর নয়। তবে পরিস্থিতি মানুষকে কখনো কখনো অসুরে পরিণত করে। এই বার্তাই ছবিটিতে হাজির করা হয়েছে।
ভাস্কর্যশিল্পের কিংবদন্তি রামকিংকর বেইজকে উৎসর্গ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটি।
সাদিয়া তাবাসসুম প্রীতি
কুইজ
১. কিগান অদিতির মধ্যে কোন দেবীর প্রতিচ্ছবি কল্পনা করে?
ক. দূর্গা
খ. কালি
গ. সরস্বতী
ঘ. লক্ষ্মী
২. অদিতির বিয়ে কার সঙ্গে হয়?
ক. কিগান
খ. বধী
গ. অতুল
ঘ. রজতাভ
৩. কিগান কীভাবে আত্মাহুতি দেয়?
ক. আগুনে পুড়ে
খ. ফাঁস দিয়ে
গ. পানিতে ডুবে
ঘ. বিষ খেয়ে?
Kigan Oditir Modde Durga Devir Proticchobi Imagine Kore. Nice store, thanks for the Canvas Magazine. I love to read Bangla magazines especially Canvas is my favorite.