রাশি রসদ I কন্যার অন্ন
দিনকয়েক কি হজমের গন্ডগোল পোহাতে গেল? ভুগতে হবে আরও কিছুদিন। মূলত কন্যারাশির জাতক-জাতিকাদের প্রধান সমস্যাই এটা। উদরের রোগ পিছু ছাড়ে না। ফলে অন্যান্য রাশির লোকদের চেয়ে খাদ্য গ্রহণে বেশি বাছবিচার করতে হয় এ রাশির নরনারীকে। বেছে খেলে হজমের সমস্যা থেকে সাময়িক নিস্তার মেলে ঠিকই, কিন্তু এ রাশির অধিগ্রহ বুধ হওয়ায় রোগটি বয়ে বেড়াতে হতে পারে আমৃত্যু। তবে সারাইয়ের উপায়ও আছে। তা হলো ‘ক্যালি সালফ’। অর্থাৎ পটাশিয়াম সালফেট। মজার ব্যাপার, এ রাশির বডিসল্টও এটি। ফলে এই যৌগসমৃদ্ধ খাবার খেলে উপকার মেলে। এটি দেহের সব অয়েল মলিকুল টেনে নিয়ে যায় লিভারে। তারপর তেলের অণু ভেঙে রক্ত শোধন করে। ফল হিসেবে মেলে উন্নত হজম শক্তি।
সৌন্দর্যের সঙ্গে কন্যারাশির একটা কথিত যোগ আছে। লোকের ধারণা, এ রাশির নরনারীরা সুশ্রী হন। বিষয়টি সঠিক হোক বা না হোক, ক্যালি সালফ সমৃদ্ধ খাবার ত্বককেও ঠিক রাখবে। এসব বিবেচনায় কন্যারাশির জাতক-জাতিকাদের সব সময়ই ফাইবার ও ওমেগা ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। চা, দানাদার শস্য, স্যালাড, ফলের রস ও স্যুপ খাওয়া যাবে ইচ্ছেমতো। কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে আইসক্রিম, বেশি মসলাদার ও ক্যালরিযুক্ত খাবার থেকে। চকোলেটকে জানাতে হবে পুরোপুরি বিদায়। এটি বেশি আক্রান্ত করে এ রাশির কম বয়সী ছেলেমেয়েদের দাঁত। ফলে ছেলেবুড়ো সবাই চকোলেট থেকে সাবধান!
এ রাশির স্বাস্থ্যসচেতনেরা খেতে পারেন লেবু, আমন্ড, গম, চিজ, ব্ল্যাক অলিভ, ওটস ও মাটন। এসব খাবারের সঙ্গে কন্যারাশির ভাগ্যের ওঠানামার সম্পর্ক আছে। শুধু নিজে খাওয়া নয়, অন্যকেও এই খাবারগুলো খাওয়ালে এ রাশির লোকদের ভাগ্য খোলে। ভোজ্যতেল হিসেবে ভেজিটেবল অয়েলই কন্যারাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য জুতসই। এ রাশির বয়স্করা ডাল, ভাত, সবজি, মাংস ও লাচ্ছি খেলে ফিট থাকার বাড়বে সম্ভাবনা।
এবার আসা যাক চলতি মাস প্রসঙ্গে। এ মাসে বুধ গ্রহের প্রভাবে কন্যারাশির খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। টক জাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। তা ছাড়া গ্রহের প্রভাবেই ভেস্তে যেতে পারে ডায়েট। যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় আছেন, তারা কলিগ ও বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে খাদ্যশৃঙ্খলায় অনিয়ম করে বসতে পারেন। তাই সাবধান!
অফিস, ব্যবসা কিংবা পড়াশোনায় উন্নতি করতে চাইলে পরিবারের সবাই কিছুদিন একসঙ্গে ডিনার করতে পারেন। পাকা তাল খুঁজে পেলে কিনে এনে সবাইকে নিয়ে খেলে পারিবারিক কলহ মিটে গিয়ে একতালে চলতে পারবেন। তবে বয়স্করা একটু ঝামেলা বাধাতে পারেন। মূলত তামাক জাতীয় দ্রব্য কন্যারাশির প্রকাশ্য শত্রু। এ দ্রব্য তাদের স্বভাবে সরাসরি প্রভাব ফেলে। এটি কন্যারাশির লোকেদের চিন্তাশক্তির লোপ ঘটায়। ফলে যেসব বয়স্ক মানুষ পানে জর্দা খান, তাদের পানের ডালা থেকে সেই কৌটা সরিয়ে ফেললে সংসারে মঙ্গল হতে পারে। এমনকি তা ওই ব্যক্তির স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো হবে।
খাবারের পেছনে এ রাশির জাতক-জাতিকাদের একটু বেশিই খরচ হতে পারে এ মাসে। তবে ফলের গাছ লাগানোর জন্য এটি খুবই উপযুক্ত ঋতু। এ রাশির মানুষ এ মাসে যা-ই রোপণ করবেন, সেটি ভবিষ্যতে অতি ফলবান হবে বলে আশা করা যায়। তা ছাড়া এ মাসে কন্যারাশির গৃহিণীরা যা রান্না করবেন, তা-ই সুস্বাদু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুমারিল ভট্ট
ছবি: ইন্টারনেট