ছুটিরঘণ্টা I চিয়াং রাইয়ের অচেনা জগতে
অপরূপ বনভূমি, শৈল্পিক সৌন্দর্যমণ্ডিত টেম্পল আর বর্ণিল নৈশবাজার। এক ঘোর লাগানো পরিবেশ। সেখানে বিচরণ করে এসে লিখেছেন ফাতিমা জাহান
জানালা দিয়ে সূর্যের আলোর মতো হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ছে অবাধ্য মেঘ। সামনের প্রসারিত বারান্দায় দাঁড়ালে তো নিজেকেই মেঘের মাঝে খুঁজে পাওয়া যাবে না! মেঘ থাকুক বা না থাকুক, এক পশলা বৃষ্টি ঝমঝম করে ভিজিয়ে দেবে বনভূমি। পাহাড়ি এলাকার এই রূপ সারা বছর মন ভালো করে দেয়। একটু একটু করে সূর্যের দেখা মিললে একটু একটু রঙধনুও সারি সারি পাহাড়ের গায়ে আভা ছড়ায়। এমন নির্মল প্রকৃতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আকাশও রং বদলাতে থাকে।
আজ আমি যাব চিয়াং রাইয়ের বনভূমির ভেতর এক ঝরনা দেখতে। থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই বিখ্যাত এর হোয়াইট ও ব্লু টেম্পলের জন্য। আমার মতো বাঁধন না মানা, অ্যাডভেঞ্চারাস ভ্রমণার্থী অবশ্য ক্লান্তি-অবসাদের তোয়াক্কা না করে ঘুরে বেড়ায় বনে-জঙ্গলে। হোটেলও নিয়েছি একদম জঙ্গলের কোল ছুঁয়ে। নামতোক খুন কর্ন ফরেস্ট পার্ক এই জঙ্গলেই পড়ে। মূল শহরের ডাউনটাউন থেকে প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার দূরে। দূরে হলেও পাকা রাস্তা আছে। এখানে আসার জন্য বাস কিংবা তুকতুক (অটোরিকশা) আছে। আমি অবশ্য কয়েক দিনের জন্য মোটরবাইক ভাড়া করেছি। কেননা, যে আনন্দ নিজে নিজে উড়ে বেড়ানোয়, তা অন্য কোথাও নেই! নামতোক খুন কর্ন ফরেস্ট পার্কের সামনে মোটরবাইক রেখে জঙ্গলের মধ্যে প্রায় দুই কিলোমিটার ট্রেকিং করে যাব সেই ঝরনার কাছে।
পাহাড়ি পথ বেশির ভাগ জায়গায় উঁচু-নিচু আর পিচ্ছিল। চূড়ায় উঠতে যেমন সময় লাগে, নামতেও খুব সাবধান থাকতে হয়। বৃষ্টিতে ভেজা পথ, নামার সময় পা পিছলে গড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। তবে এই পিছলে পড়া নিয়ে এখন ভাবার সময় নেই আমার! সামনের বনভূমি ঘন হয়ে আসছে। মনে হচ্ছে পাতারা গাছ থেকে ঝেঁপে বৃষ্টি নামাবে। একেবারে ঠাসবুনন গাছে সবুজাভ আঁধারে মনে হচ্ছে যেন কোনো রূপকথার রাজ্য। এই সবুজ বনের পথ নিয়ে যাবে অন্য রাজ্যে, যেখানে এলিস নামের একটি মেয়ের দেখা পাব!
বেশিক্ষণ অবশ্য এলিসের ভাবনায় মত্ত থাকা গেল না; বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। আমি রেইনকোট পরে এসেছি। আমার এই ঝমাঝম বা ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মাঝেই পথ পেরোতে আনন্দ। দুই কিলোমিটার অল্প দূরত্ব মনে হলেও পাহাড়ি পথ আর বরষামুখর দিনে তা অনেক আসলে। এতে আমার কিছু মাত্র অসুবিধে হয় না। আমি বাস করি আপন জগতে। সেখানে সময়ের কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। আপন মনে কথা বলতে বলতে বনভূমির মাঝ দিয়ে খুন কর্ন ঝরনার উত্তাল ডাক একসময় শুনতে পেলাম। এ জঙ্গলে বাঁশঝাড় প্রচুর।
নামতোক ফরেস্টের এই ঝরনা মনে হচ্ছে, পুরো বনভূমিকে জলের ঝাপটায় আচ্ছন্ন করে দেবে। উত্তাল তরঙ্গ আর আছড়ে পড়া তার। রুপালি জল চারদিকের রূপ ফিকে করে দিয়েছে। এ যেন জরি ঝলমল রেশম চাদর বিছিয়ে জলে নেমে পড়তে বলছে। খানিক রেশমের চাদরে আপ্যায়ন করতে চাইছে। এমনিতেই আমার জামা-জুতো বৃষ্টির জলে ভিজে গেছে। নতুন করে আর ভেজার কিছু নেই। তবু এই মেঘের মতো, রুপোর পরত দেওয়া ঝরনার জলে না নামলে এই ঐশ্বর্য ভান্ডার চিনব কী করে! এর মধ্যে কয়েকজন ইউরোপীয় ছেলেমেয়ে ঝরনার জলে নেমে গেছে। এদের ব্যাপারস্যাপার আমার খুব ভালো লাগে। যেকোনো দুর্গম জায়গায় এরা স্বচ্ছন্দে পৌঁছে যায়। খাওয়া, ঘুমের তেমন খুঁতখুঁত নেই। যেকোনো পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেয়।
পুরো থাইল্যান্ডে গরমকাল চলে সারা বছর। তবে এখানে, এই জঙ্গলে এসে মনে হলো বেশ শীতল। শুধু শীতল নয়, ঠান্ডাও পড়েছে। জলে ভিজছি প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে। কিছুক্ষণ পর উঠে এলাম। ফেরারও একই পথ। কখনো বরষা তো কখনো মেঘ, কখনো বরষার খানিক বিশ্রাম।
হোটেলে ফিরে জল-কাদা ধুয়ে থাই কারি দিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সেরে আবার পাখা মেললাম। এবারের গন্তব্য হোয়াইট টেম্পল বা ওয়াট রং খুন। এই খুনখারাবি বোধ হয় আরও দেখতে হবে! জঙ্গলের নাম খুন, এমনকি টেম্পলের নামও। আসলে থাই ভাষায় খুন শব্দ দিয়ে সম্মান বোঝানো হয়। এই যেমন, ফাতিমা খুন। মানে মিস ফাতিমা।
হোয়াইট টেম্পলের সামনে এক প্রাচীর। সদর দরজায় দর্শনার্থীর ভিড়। প্রাচীরের ওপাশে ধবধবে সাদা এক প্যাগোডা। এত শুভ্র যে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। চারদিকের সবকিছুই শ্বেতশুভ্র। দেয়াল, মূর্তি…সব। প্যাগোডার চারধার ধরে গোল হয়ে আছে জলাধার, যেখানে প্যাগোডার ছায়া পড়ে থাকে। বিংশ শতাব্দীতে এই প্যাগোডা নির্মাণ শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। এটি মূলত বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের প্যাগোডা ছিল। কিন্তু এখন নতুন করে যে উদ্দেশ্যে নির্মিত হচ্ছে, তা হলো সেন্টার ফর লার্নিং অ্যান্ড মেডিটেশন। মানে, যে কেউ এখানে এসে আধ্যাত্মিক চর্চা করতে পারবে।
বিশাল আঙিনা পেরিয়ে মূল ভবন। কিন্তু আঙিনায় পথের দুধারে হাজার হাজার মানুষের হাত কনুই অবধি মাটি থেকে খোদাই করা। খুবই অদ্ভুত এবং ভয়ংকর লাগল দেখে। মূল টেম্পলের গায়ে কোনায় কোনায় বিশাল বিশাল রাক্ষসের মাথা খোদাই করা। মূল টেম্পলের সামনে ভয়ানক সব রাক্ষস-খোক্কসের মূর্তি। গাছে গাছে ঝুলছে রাক্ষসের কাটা মুন্ডু। দেখলেই ভয় লাগে। এই টেম্পল কি ভয় দেখানোর জন্য বানানো হয়েছে? আসলে এসব ভাস্কর্যের মাধ্যমে মানুষের অশান্ত আত্মা আর চরিত্রের অসৎ ও মন্দ দিক বোঝাতে চেয়েছেন স্থপতি। শুভ্র, সৌম্য ভাস্কর্য দিয়েও যে সুন্দরভাবে মানুষের চরিত্রের ঋণাত্মক দিক তুলে ধরা যায়, তা এই টেম্পলে না এলে হয়তো বুঝতাম না।
টেম্পলের বহিরাঙ্গের আকার অন্যান্য থাই টেম্পলের মতোই। সাদা রঙের খোদাইকর্মের ওপর বিভিন্ন আকারের ছোট ছোট আয়না বসানো। এতে টেম্পলের রং আরও খোলতাই হয়েছে; ঠিকরে পড়ছে রোশনি চারদিকে। স্থপতিকে কুর্নিশ করতেই হয়। একে তো এমন সুন্দর থিম তৈরি করে নতুনত্ব এনেছেন টেম্পলের কারুকাজে, তার ওপর একে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
টেম্পলের সামনে-পেছনের দেয়াল ও ছাদের কারুকাজ একই রকম। দেখতে আমাদের দেশের চারচালা ঘরের মতো। মূল ভবনের চারদিকে অনেকগুলো অপ্সরার মূর্তি। সব বেলি ফুলের পাপড়ির মতো সাদা। কেউ নমস্কারের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে, কারওবা পদ্মফুল হাতে আঁখি নিমীলিত। শরৎকালের ঝকঝকে নীল আকাশের কিনারায় হোয়াইট টেম্পল দেখতে একদম একরাশ মেঘের বাড়ির মতো লাগছিল।
হোয়াইট টেম্পল দেখে এবার আমি চললাম সদ্য নির্মিত ব্লু টেম্পলের উদ্দেশে। স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ওয়াট রং সুয়া তেন। প্রথম দর্শনেই বুকে ধাক্কা লাগার মতো সৌন্দর্য এই টেম্পলের। থাইল্যান্ডের সব টেম্পলের আকার একই রকম। এমন গাঢ় নীল রঙের টেম্পল আগে কখনো দেখিনি। নীলকান্তমণির মতো গায়ের রং এর। চোখ ফেরানো যায় না। মনে হয় এক অতল নীল সমুদ্রের মাঝে ডুব দিয়ে খুঁজে আনি রত্নমানিক। বাইরে ঘুরে ঘুরে দেখতেই মনে হলো, বেলা পার হয়ে যাবে। নীলের কারুকাজের মাঝে সোনালি রঙের বর্ডার। মূল টেম্পলের প্রবেশদ্বারে দুটি নীল ড্রাগন হাঁ করে নীল আগুনের হলকা ছড়াচ্ছে। টেম্পলের সামনে একটি নীল রঙের স্তূপা বা বৌদ্ধ স্তূপ। এযাবৎকালে যত স্তূপা দেখেছি, তা হয় ইট কিংবা সাদা রঙের। এবার রঙের এই অভিনবত্ব দেখছি আর ভাবছি এর জল-ছলছল রং কেমন করে যেন নীল আকাশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নীল রাজ্যের বিশালত্ব আবিষ্কার করেছে।
ভেতরে আরও বিস্ময়। দেয়াল আর ছাদে নীল রং করা; এর ওপর সোনালি রঙের হালকা নকশা আঁকা। কিন্তু চারদিকে নীলের এমনই ভুবন ভোলানো উৎসব, যেখানে অন্য যেকোনো রং ফিকে হয়ে যায়! টেম্পলের শেষ মাথায় গৌতম বুদ্ধ চুপচাপ আসন পেতে বসে আছেন। মর্মর পাথরের বুদ্ধের মূর্তিটি বিশাল আকারের। সামনে নৈবেদ্য রাখা আছে ফুল, ফল, টাকা, জল প্রভৃতি। ভক্তরা অনেকেই আসছেন, গড় হয়ে প্রণাম করছেন, চলে যাচ্ছেন। এই ভক্তি ছাপিয়েও আমার মনে দাগ কেটে যাচ্ছে ওই গাঢ় নীল রং। মনে হচ্ছে নীল সমুদ্রে কখনো অবগাহন করছি, কখনো ভেসে উঠছি, কখনো ডুবে গিয়ে তুলে আনছি এর সবচেয়ে দামি নীলা পাথরটি। এমন সুন্দর জগতে আসলে ভক্তি আপনা হতেই আসে, রঙের সৌন্দর্যের প্রতি। ব্লু টেম্পল আকারে ছোট হলেও এমন অত্যাশ্চর্য প্যাগোডা ছেড়ে আসতে ইচ্ছে করছিল না। মনে হচ্ছিল বারবার রঙের মোহনায় ঘুরপাক খাই।
এখন আমাকে এই নীলাম্বরের নিচে নীল টেম্পলের ভাবনায় জড়িয়ে যেতে হবে মূল শহরে। অবশ্য সেখানে যাবার আগে এখানকার একটা খুব মজার জায়গা আছে, তা হলো থাইল্যান্ড, মিয়ানমার আর লাওসের মিলনভূমি। সে জায়গায় কুড়ি মিনিটের মধ্যেই আমার ময়ূরপঙ্খি চেপে চলে এলাম। ঘোলা একটা নদী দেখলাম, তার বাঁ পাশে মিয়ানমার, ডান পাশে লাওস আর আমি যেদিকে দাঁড়িয়ে আছি, সেদিকটায় থাইল্যান্ড। এই মিলনস্থল দেখার চেয়ে আমার এখানে আসার সময় পথের দৃশ্যই বেশি আকর্ষণ করেছে। খোলা আকাশ, দুধারে হয় পাহাড় নয় বনভূমি; দেখলে মনে হতেই পারে চিয়াং রাই বেশ প্রাচীন জনপদ। চিয়াং রাইয়ে প্রথম জনবসতি গড়ে ওঠে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে। এর পরের শতকে চিয়াং রাই চলে যায় মিয়ানমারের কাছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে চিয়াং রাইকে আবার ফিরে পায় থাইল্যান্ড। কিন্তু কখনোই এই বনভূমি, এই আকাশ, বাতাসের কিছুমাত্র পরিবর্তন হয়নি। এগুলো তখনো যেমন ছিল, এখনো তেমনই।
বিদেশি ট্যুরিস্টদের কাছে চিয়াং রাইয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হলো নাইট বাজার। শুধু শনি ও রবিবার রাতেই বসে এ বাজার। আমি পৌঁছতে পৌঁছতে বাজার পুরো জমজমাট হয়ে উঠেছে। খোলা আকাশের নিচে ছোট ছোট স্টলে বিক্রি হচ্ছে আশপাশের গ্রামের মানুষদের বানানো হস্তশিল্প। সারি সারি দোকান আর বাহারি তার পসরা। আমি এমব্রয়ডারি করা একটা ব্যাগ কিনলাম। জামা, জুতো, শোপিস, ওয়াল হ্যাংগিং, টেবিল ম্যাট, কাচ ও কাঠের তৈজসপত্র, বাহারি মোমবাতি, লন্ঠন, চিত্রকর্ম…কী নেই এখানে। থাইল্যান্ডের অন্য যেকোনো নাইট বাজারের চেয়ে চিয়াং রাইয়ের বাজারটিতে পণ্য পাওয়া যায় বেশি। এখানেও বিভিন্ন রঙে ভরে উঠেছে প্রতিটি দোকান। মধ্যরাত অবধি চলবে মানুষের আনাগোনা আর বেচাকেনা।
পণ্যের দোকানগুলো ছাড়িয়ে এক পাশে সারি সারি খাবারের দোকান। থাই খাবার আমার খুব প্রিয়। এত ধরনের মিষ্টি দেখলাম এই বাজারে, পঁচিশ-ত্রিশ রকম তো হবেই! ফ্রায়েড মাছ, মুরগি, নুডলস, ফ্রায়েড রাইস—সব মুখরোচক খাবার আছে এখানে। এক পাশের দোকানে সারি সারি প্লেট ভর্তি করে রাখা আছে নানান ধরনের পোকামাকড়। যার যেটা পছন্দ তা বললেই হালকা রান্না করে দেবে। এ ছাড়া আছে বাহারি শামুক ঝিনুক। আর জুসের বাহারি রং ও স্বাদ তো মনে হয় যেকোনো দেশের পানীয়কে হার মানাবে। সারা বছর এত গরম থাকে এখানে, জুসের সামনে অন্য পানীয় নস্যি!
আমি পছন্দের খাবার নিয়ে এবার খাদ্যশিল্পের দিকে মনোযোগী হলাম। বাজারের আরেক পাশে মঞ্চ করা। কিছুক্ষণ বাদে থাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বসবে। মঞ্চ খালি দেখে চলে গেলাম ব্যাকস্টেজে। সেখানে দেখা মিলল অগুনতি রূপসী, সাজপোশাকে অতুলনীয় অপ্সরার। তাদের নৃত্য শুরু হবে খানিক বাদে। সলজ্জ অপ্সরারা আমার সঙ্গে ভাবও করলেন। দলে দলে অপ্সরা দেখে মনে হলো, আমি যেন স্বর্গের কোনো উদ্যানে এসে পড়েছি। এখানে শুধু আনন্দেরই বিচরণ।
এরই মাঝে ভুবন মাতিয়ে, মঞ্চ কাঁপিয়ে থাই সুন্দরীরা নৃত্যগীত পরিবেশন শুরু করেছেন। সে এক মোহময় জগৎ। দর্শকদের মাঝে বিদেশিই বেশি। সবাই সারা দিনের ক্লান্তি ভুলে আরও সতেজ হয়ে উঠছেন।
এ রকম আনন্দে মত্ত পরিবেশ পেলে এই ভূমিতে বারবার ফিরে আসাই যায়।
ছবি: লেখক