দেহযতন I মার্শাল আর্ট মিস্ট্রি
স্পোর্টসের চেয়ে বেশি কিছু। ঐতিহ্যগত আর আধুনিক যুদ্ধকৌশলের অনুশীলন ও শৃঙ্খলার এক বিস্তৃত পরিসর। পন্থাগুলো বিশ্বজুড়ে সংস্কৃতি ও দর্শনের মধ্যে নিহিত। আত্মরক্ষা, মানসিক সুস্থতা, প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে অনুশীলন করা
মার্শাল আর্টে শৈলী ও শৃঙ্খলা অনেক। যার প্রতিটির রয়েছে নিজস্ব কৌশল, নীতি ও সাংস্কৃতিক পটভূমি। মার্শাল আর্টিস্টরা স্ট্রাইকিং ও গ্র্যাপলিং কৌশলের বিভিন্ন শৈলী রপ্ত করেন অথবা নেন অস্ত্র প্রশিক্ষণ। এমনকি দুটির সংমিশ্রণেরও করে থাকেন ব্যবহার। যদিও মার্শাল আর্ট শারীরিক কসরতের সঙ্গে জড়িত, তবু দার্শনিকতা ও নৈতিকতা বোধ বাড়িয়ে তুলতে ভূমিকা রাখে; যেমন শৃঙ্খলা, মর্যাদাবোধ, নম্রতা, অধ্যবসায় ও আত্মনিয়ন্ত্রণ।
মার্শাল আর্টের বিস্তার জগতের প্রায় সর্বত্র। এর সহায়তায় বিভিন্ন সভ্যতা তাদের নিজস্ব ও স্বতন্ত্র যুদ্ধব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। এগুলোর মধ্যে কুংফু, কারাতে, জুডো, আইকিডো, মুয়ে থাইসহ বিশ্বের অনেক সুপরিচিত মার্শাল আর্টের উৎপত্তি এশিয়ায়। খেয়াল করলেই বোঝা যায়, এটি সাংস্কৃতিক বিনিময়, স্থানান্তর ও অঞ্চলগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে বিকশিত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন মার্শাল আর্ট শৈলী একে অপরকে প্রভাবিত করে একটি সমৃদ্ধ বৈচিত্র্যের দিকে পরিচালনা করেছে। ধারণা করা হয়, মার্শাল আর্ট সম্ভবত মানবসভ্যতার সমান বয়সী। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ, ঐতিহাসিক নথি ও মৌখিক বিভিন্ন সাক্ষ্য ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এক যুদ্ধব্যবস্থাকে নির্দেশ করে। ইতিহাসজুড়ে প্রতিরক্ষার যুদ্ধে মানুষের একটি যথাযথ পন্থার প্রয়োজন ছিল। তারই ফল মার্শাল আর্ট।
বিশ্বাস করা হয়, কালারিপায়াত্তু একটি প্রাচীন নথিভুক্ত ভারতীয় মার্শাল আর্ট, যাতে স্ট্রাইক, কিক, গ্রিপ ও অস্ত্রের প্রতিরক্ষা অন্তর্ভুক্ত। কয়েক শতাব্দী ধরে এটি অন্যান্য মার্শাল আর্টের বিকাশে প্রভাব ও অবদান রেখেছে। মার্শাল আর্টের সৌন্দর্য হলো নতুন শাখায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ ও বিবর্তন করা। তবে অনেকের মতে, এর আদি উৎপত্তি প্রাচীন গ্রিসে।
সার্টিফাইড কমব্যাট ও পারফরম্যান্স কোচ এবং ফাংশনাল পারফরম্যান্স স্টুডিওর প্রতিষ্ঠাতা মিনহাজ রেমো জানান, মার্শাল আর্ট বেশ কয়েকটি মূল উপাদানকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা একজন মার্শাল আর্টিস্টের সামগ্রিক সাফল্যে অবদান রাখে। এই মূল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে সরঞ্জাম, কৌশল ও প্রশিক্ষণ পদ্ধতি।
সরঞ্জাম: সরঞ্জামগুলোতে প্রতিরক্ষামূলক গিয়ার ও ট্রেনিং এইড অন্তর্ভুক্ত। প্রতিরক্ষামূলক আইটেমের মধ্যে রয়েছে গ্লাভস, হ্যান্ড রেপস, মাউথগার্ড, শিন গার্ড, হেডগিয়ার এবং গ্রয়েন প্রটেক্টর, যা আঘাতের ঝুঁকি কমাতে কাজে দেয়। অন্যদিকে পাঞ্চিং ব্যাগ, ফোকাস মিটস, কিকিং শিল্ড, ডামি ও উইপন ডামি হচ্ছে ট্রেনিং এইড, যা দক্ষতা বাড়ায়।
কৌশল: মার্শাল আর্ট কৌশলগুলো শৈলীর ওপর নির্ভর করে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। স্ট্রাইকিং থেকে শুরু করে গ্র্যাপলিং, থ্রোয়িং, জয়েন্ট লক, সাবমিশন, ডিফেন্সিভ ম্যানুভারসহ রয়েছে নানা কৌশল। এর প্রতিটির আবার নিজস্ব সমন্বয় পদ্ধতি ও কৌশল রয়েছে।
প্রশিক্ষণ: প্রশিক্ষণ পদ্ধতিগুলো দক্ষতা অর্জন, শারীরিক কন্ডিশনিং ও মানসিক শৃঙ্খলা বিকাশের জন্য নকশা করা। বিভিন্ন মার্শাল আর্ট শৈলীতে এসব পদ্ধতি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়; তবে বেশির ভাগের মধ্যে রয়েছে ফর্ম, স্প্যারিং, ড্রিলস, কন্ডিশনিং এক্সারসাইজ এবং মানসিক নিয়ন্ত্রণ।
বলে রাখা ভালো, প্রতিটি মার্শাল আর্টের সরঞ্জাম, কৌশল ও প্রশিক্ষণ পদ্ধতির রয়েছে নিজস্ব জটিল সংমিশ্রণ, যা নির্ধারিত হয় শৃঙ্খলার দর্শন, উদ্দেশ্য ও সাংস্কৃতিক পটভূমির ভিত্তিতে।
রেমো বলেন, ‘মার্শাল আর্ট বহু বছর ধরে বিকশিত ও বৈচিত্র্যময় হয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চল ও সংস্কৃতিতে যুদ্ধ ও আত্মরক্ষা পদ্ধতির জন্য এর নিজস্ব সিস্টেমের ঘটেছে বিকাশ।’ বাংলাদেশি এই মার্শাল আর্ট এক্সপার্টের মতে, এর রয়েছে হাজারও স্বতন্ত্র শৈলী। তবে এগুলোকে ছয়টি ভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করা সম্ভব।
জাপানিজ: গভীর ঐতিহাসিক শিকড় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের জন্য জাপানি মার্শাল আর্ট বিখ্যাত। এই শৈলীর মার্শাল আর্টগুলোর প্রথম উল্লেখযোগ্য রূপটি ‘কোরিউ’, যার শৈলী ও শৃঙ্খলা ১৮৬৮ সালে মেইজি পুনরুদ্ধারের আগে জাপানে বিকশিত মার্শাল আর্টে দেখা মেলে। আধুনিক জাপানি মার্শাল আর্ট শৈলীর মধ্যে রয়েছে কারাতে, জুডো, আইকিডো ও কেন্দো। কারাতে ও আইকিডো ঘুষি, লাথি ও নিক্ষেপের মাধ্যমে লড়াই করার একটি স্ট্যান্ডআপ পদ্ধতি। অন্যদিকে জুডো হলো আঁকড়ে ধরাভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এ ছাড়া কেন্দো মার্শাল আর্টিস্টরা শিনাই নামক বাঁশের তলোয়ার ব্যবহার করেন।
মিক্সড মার্শাল আর্ট (এমএমএ): এর বিকাশ গেল নব্বইয়ের দশকে। কোনটি সেরা মার্শাল আর্ট, তা নির্ধারণে এর আবির্ভাব। এমএমএ হলো কমবেট স্পোর্টস, যা বিভিন্ন মার্শাল আর্ট শাখাকে অন্তর্ভুক্ত করে। এর কোনো আলাদা স্টাইল নেই। কিছু যোদ্ধা মুয়াই থাই বা অন্য কোনো কিকবক্সিং শৈলীর ওপর জোর দিয়ে স্ট্রাইকিংয়ে ফোকাস করেন। একই সময়ে কেউ কেউ ব্রাজিলিয়ান জিউ-জিৎসুর কৌশল প্রয়োগে দেখান পারদর্শিতা। যোদ্ধারা সাধারণত তাদের পটভূমির ওপর ভিত্তি করে খেলার কোনো একটি বিশেষ দিক বেছে নেন।
কোরিয়ান: কোরিয়ান মার্শাল আর্টের উৎপত্তি প্রাচীনকালে। ইতিহাস বলে, চীন ও বৌদ্ধ যোদ্ধাভিক্ষুদের প্রভাবে এর বেশ কিছু শৈলীর উদ্ভব। বর্তমানে এর দুটি বিশিষ্ট শাখা হলো তায়কোয়ান্দো ও হ্যাপকিডো। এর মধ্যে প্রথমটি একটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত কোরিয়ান আত্মরক্ষার ব্যবস্থা। এটি দ্রুতগতির স্ট্রাইকিং মুভমেন্ট একত্র করে এবং মানসিক দৃঢ়তার ওপর জোর দেয়। অন্যদিকে, ব্রুট ফোর্সের বদলে গতি লাভের জন্য প্রতিপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয় হ্যাপকিডো।
চায়নিজ: এই মার্শাল আর্টকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক শৈলীতে শ্রেণিবদ্ধ করা সম্ভব। তাই চির মতো অভ্যন্তরীণ শিথিলকরণ ও ফ্লোয়িং মুভমেন্ট শরীরের অভ্যন্তরে ফোকাস করে। এটি স্বাস্থ্য সুবিধা, মোশন ধ্যান ও আত্মরক্ষামূলক কাজের জন্য পরিচিত। অন্যদিকে, কুংফু হলো একটি বাহ্যিক শৈলী, যা শারীরিক শক্তি, গতি ও এক্সপ্লোসিভ মুভমেন্টের ব্যবহার ঘটায়। এরও রয়েছে বেশ কয়েকটি উপধারা; যার প্রতিটিতে কঠোর প্রশিক্ষণ ও সরাসরি আক্রমণাত্মক যুদ্ধের কৌশল জড়িত।
ব্রাজিলিয়ান: এটি দুটি স্বতন্ত্র শৈলীর জন্য পরিচিত—ক্যাপোইরা ও ব্রাজিলিয়ান জিউ-জিৎসু (বিজেজে)। প্রথমটি লাইভ মিউজিকের তালে রিদমিক ও ফ্লুইড কিক, সুইপ এবং স্পিনকে অন্তর্ভুক্ত করে। শত্রুকে ফাঁকি দেওয়া ও ধাঁধায় ফেলার জন্য এর বেশ পরিচিতি। অন্যদিকে, বিজেজে একটি কার্যকর বাস্তব জীবনের আত্মরক্ষার কৌশল, যা আধুনিক মিক্সড মার্শাল আর্টে জনপ্রিয়। বিজেজের মধ্যে গ্র্যাপলিং কৌশল জড়িত, যা প্রতিপক্ষের বশ্যতা অর্জনের জন্য শরীরের নিয়ন্ত্রণ নির্ধারণ করে। পদ্ধতির মধ্যে জয়েন্ট লক, চোকহোল্ড ও পজিশনিং অন্তর্ভুক্ত।
বাস্তবতাভিত্তিক আত্মরক্ষা: এটি বলতে বাস্তব বিশ্বের সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশিক্ষণ পদ্ধতির একটি বিভাগকে বোঝায়। বাস্তবভিত্তিক আত্মরক্ষার সবচেয়ে সুপরিচিত রূপ—ক্রাভ মাগা। এটি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জন্য তৈরি করা একটি গতিশীল যুদ্ধব্যবস্থা। এ এমন এক কৌশল, যা দ্রুত প্রয়োগের ওপর জোর দেয়। এর কৌশলগুলো নান্দনিকতার চেয়ে কার্যকারিতাকে দেয় প্রাধান্য। স্টাইলগুলোতে স্ট্রাইকিং অ্যাটাক থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাত্মক কৌশল অন্তর্ভুক্ত।
বিভিন্ন ধরনের মার্শাল আর্ট সম্পর্কে মিনহাজ রেমোর ভাষ্য, ‘লড়াইয়ের অসংখ্য শৈলী রয়েছে। সব মার্শাল আর্ট বিবেচনা করার জন্য আপনাকে শত শত বিকল্প মাথায় রাখতে হবে। অবশ্য নির্দিষ্ট সব কৌশলের পরিবর্তে, সর্বোত্তম মার্শাল আর্ট কী, তা বিবেচনা করাই শ্রেয়।’ এ ক্ষেত্রে মার্শাল আর্ট তিনটি স্বতন্ত্র ধরনের বলে জানান তিনি।
স্ট্রাইকিং মার্শাল আর্ট: একে স্ট্যান্ডআপও বলা হয়। এতে উভয় যোদ্ধার দাঁড়িয়ে থাকা কৌশলগুলো সম্পাদনের ওপর ফোকাস করা হয়। বহুল প্রচলিত স্ট্যান্ডআপের মধ্যে রয়েছে কারাতে, তায়কোয়ান্দো, মুয়ে থাই ও কুংফু। স্ট্রাইকিং মার্শাল আর্ট হাত বা মুষ্টি, পা ও কনুই বা হাঁটুতে আক্রমণ ও প্রতিরক্ষার সমন্বয় করে। স্ট্রাইকাররা ফোকাস, সমন্বয় ও শারীরিক অবস্থানের মাধ্যমে তাদের নৈপুণ্যের বিকাশ ঘটান। ফুটওয়ার্কের মৌলিক বিষয় এবং দূরত্ব মূল্যায়নের মাধ্যমে গতি ও নির্ভুলতা অর্জন করেন তারা।
গ্র্যাপলিং: এই মার্শাল আর্ট ক্লোজ কোয়ার্টার যুদ্ধবিষয়ক কৌশলগুলোতে ফোকাস করে। গ্র্যাপলাররা প্রতিপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ এবং মাটিতে শরীরের সুবিধাজনক অবস্থান অর্জন করেন। সাধারণ গ্র্যাপলিং শৈলীর মধ্যে রয়েছে ব্রাজিলিয়ান জিউ-জিৎসু, জুডো, সাম্বো ও কুস্তি। গ্রাউন্ডওয়ার্ক সাবমিট করার সময় মুভমেন্ট সীমিত করতে প্রতিপক্ষের শরীরের অবস্থান পরিবর্তন করে। স্ট্যান্ডআপ ক্লিঞ্চ, থ্রো ও টেকডাউন এর অন্তর্ভুক্ত। গ্র্যাপলাররা অ্যাটাকের থ্রেট কমিয়ে আক্রমণের বাইরে প্রতিপক্ষকে দমন করেন।
হাইব্রিডস: হাইব্রিড মার্শাল আর্ট স্টাইলে স্টাইকিং ও গ্র্যাপলিং কৌশল—উভয়ই অন্তর্ভুক্ত থাকে। এমএমএ, জিট কুনে ডো ও ক্রাভ মাগা এর উদাহরণ। এই মার্শাল আর্ট পদ্ধতিতে ঘুষি, কিক, থ্রো, টেকডাউন, ক্লিঞ্চ ও সাবমিশনের মতো অনেক কৌশল রয়েছে।
মার্শাল আর্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে রেমোর পরামর্শ, ‘লক্ষ্য ও আগ্রহ নির্ধারণের পাশাপাশি বিভিন্ন মার্শাল আর্টের সঙ্গে সম্পর্কিত আত্মরক্ষা, শারীরিক সুস্থতা, সাংস্কৃতিক অন্বেষণ ও ব্যক্তিগত বিকাশের দিকগুলোর প্রতি খেয়াল রাখা চাই। ফিটনেস লেভেল, সীমাবদ্ধতাসহ নিজের শারীরিক ক্ষমতাও মূল্যায়ন করতে হবে। সবশেষে মূল্যায়ন করুন প্রশিক্ষক ও স্কুল। আপনার মূল্যবোধ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো পূরণ করতে খুঁজে নিন যথাযোগ্য কোচ ও জিম।’ তিনি জানান, জনপ্রিয় মার্শাল আর্টে কেন্দো, বেড়া, এসক্রিমা, কালি ও আর্নিস নামক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। তবে বেশ কিছু তায়কোয়ান্দো ও হ্যাপকিডো দোজাং কখনো কখনো প্রশিক্ষণার্থীদের বেত, ছোট লাঠি বা কাঠের তলোয়ার দিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়।
মিনহাজ রেমোর মতে, মার্শাল আর্ট শুরু করা একটি রোমাঞ্চকর যাত্রা, যার জন্য প্রতিজ্ঞা, শৃঙ্খলা ও অধ্যবসায় প্রয়োজন। নিরাপদ পরিবেশের জন্য মৌলিক কৌশল ও ধারণা রপ্ত করে মার্শাল আর্ট শেখা শুরু করা যেতে পারে। আর তা হওয়া উচিত প্রদত্ত নির্দেশিকা অনুসরণ করার তীব্র ইচ্ছাশক্তিসমেত। ‘বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ এবং নিয়মিত অনুশীলন করুন। বুঝতে হবে দক্ষতার বিকাশ ও অগ্রগতির জন্য সময় প্রয়োজন; তবে ধারাবাহিকতা সর্বদা লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। প্রশিক্ষকের পরামর্শে মার্শাল আর্ট লাইফস্টাইল অনুসরণ করুন, যা আপনাকে নিজের পছন্দসই ফল অর্জনে সহায়তা করবে,’ পরামর্শ তার। আরও বলেন, ‘মার্শাল আর্ট স্কুল, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ডোজো ও একাডেমি—এগুলো মার্শাল আর্ট শেখার সেরা জায়গা। অনলাইন রিসোর্স আপনাকে এই কৌশলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে; তবে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ বা প্রশিক্ষকের বিকল্প নেই।’
ফুয়াদ রূহানী খান
ছবি: ইন্টারনেট