skip to Main Content

কভারস্টোরি I সুবাসিত সৌরভ

স্কিন বেনিফিট বার অথবা সৌন্দর্য সাবান- যে নামেই ডাকা হোক না কেন, গুণ আদতে একই! একসময় ছিল প্রয়োজন। তারপর জনপ্রিয়তার শিখর থেকে ছিটকে পড়েছিল কিছু সময়ের জন্য। গুণীর কদর যে হারায় না সহজে, তার প্রমাণ নিয়ে সাড়ম্বরে ফেরত এসেছে আবারও। দখল করছে বাজার। তারই তত্ত্বতালাশ সারাহ্ দীনার বয়ানে

তেল আর সাবান। একসময় ছিল সৌন্দর্যের মূল উপকরণ। সারা দিন মুখ-হাত ধোয়া, স্নান সম্ভার কিংবা চুল ধুয়ে নেওয়ার প্রয়োজন- এক সাবানেই সব! বাংলাদেশে তৈরি প্রথম সাবানের নাম ১৯৩৭, বাংলা সাবান বা গোল্লা সাবান। ১৯১৯ সালে হাজী নূর আলী সওদাগর চট্টগ্রামে এটি তৈরি করেন। ১৯৩৭ নামের পেছনে আছে সালের গল্প। সেই বছরে সাবানটি নিবন্ধিত হওয়ায় এমন নামকরণ। এভাবে শুরু, তারপরে সাবানের তালিকায় যোগ হয়েছে হাজারখানেক নাম। গ্লিসারিন সাবান, কসকো, লিরিল, মেরিল, লেমন ডিউ, লাক্স, স্যান্ডেলিনা। হালাল সাবান নিয়ে এসে বাজার দখল করেছিল অ্যারোমেটিক। তারপরেও বাজারে এসেছে বিভিন্ন সাবান। তালিকা বিশাল। এগুলোর মধ্যে কোনোটা জনপ্রিয়তা হারিয়েছে, কোনোটা ব্যবসা গুটিয়েছে, কোনোটা এখনো বাজার দখলে রেখেছে। আমদানিও হয়েছে বহু বিদেশি সাবান; এখনো হচ্ছে। বার সাবান কখনোই পুরোপুরি হারিয়ে যায়নি। একসময় মুদিদোকানে বিক্রি হতো সেসব সাবান। তারপরে কসমেটিকের দোকানে আর শেষমেশ জায়গা করে নিয়েছে সুপারমার্কেট শেলফে। গোল্লা সাবান থেকে শুরু করে আজকের হ্যান্ডমেইড সোপে পৌঁছেছে। নিত্যদিনের চাহিদা মিটিয়েছে বহু বছর। এখন বিলাসী পণ্য হিসেবেও পাচ্ছে কদর। তাই বলে যে আর রোজকার দরকার নেই, তা কিন্তু নয়। বিশ্বব্যাপী ২০২৪ সালে এই পণ্যের বাজার ছিল ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিউটি বার ২.০
একটা সময় গায়ে লেগেছিল ওল্ড ফ্যাশনের তকমা। বিকল্প হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল বডি ওয়াশ। দীর্ঘ ছিল সে রজনী। অল্পতেই ফুরায়নি! এত বছর পরে সাবান আবার এসেছে আলোচনায়। নিজেকে বদলেছে চাহিদা অনুযায়ী। প্রযুক্তি আর আধুনিকতা ধারণ করে নিজেকে শুধরে নিয়েছে অনেকটাই। আবার প্রকৃতির প্রতি যে দায়বদ্ধতা, তা পূরণেও সাধ্যমতো চেষ্টা। এ জন্য অবশ্যই সাবানের রসায়নবিদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। অপরাধের বোঝা নামাতে সাহায্য তো তাদের কাছ থেকেই পেয়েছে এই পণ্য। মোটাদাগে তিন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল সাবান। ক্রেতা চাহিদা বুঝে নিজেকে বদলে নেওয়ার চেষ্টা প্রকাশিত হয়েছে নতুন অধ্যায়ে। ব্যবহৃত উপাদানে রাসায়নিক উপস্থিতির উচ্চ মাত্রা কমিয়ে এনেছে। টেকসই তত্ত্ব মেনে বাজারজাতকরণ সম্পন্ন হয়েছে। শুরু থেকে শেষ অবধি পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে আনার প্রয়াস ছিল শতভাগ।
সেই থেকে এই
বাণিজ্যিকভাবে বিশ শতকে প্রথমবারের মতো তৈরি করা হয় সাবান। তখন ব্যবহার করা হতো চর্বি ও কস্টিক সোডা। উদ্দেশ্য ছিল দুটি- ত্বক ও কাপড় পরিষ্কার। সে সময়ের সাবানে সুগন্ধ বেশ তীব্র ছিল। ১৯৯০ থেকে ২০১০ সময়কালে প্রাকৃতিক তেল ও ভেষজ উপাদান ব্যবহার শুরু হয়। এই সময় থেকে বিউটিফিকেশনের সঙ্গে সোপ বারকে জুড়ে দেওয়ার ভাবনার উৎপত্তি বলে জানা যায়। মানুষ তখন সুন্দরতা ও যত্নের জন্য সাবান ব্যবহার শুরু করে। শুধু পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে নয়। স্কিন-ফ্রেন্ডলি ফর্মুলেশন তাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সাবানের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, রোম নগরীতে প্রোথিত ছিল এর শিকড়। সাবানের ইংরেজি সোপ। আর রোমান মিথলজি মতে, এই নাম নেওয়া হয়েছে মাউন্ট স্যাপো থেকে। এটি রোমের একটি পাহাড়। সেখানে পশু জবেহ করা হতো। বৃষ্টির ধারার সঙ্গে নেমে আসত অ্যানিমেল ফ্যাট আর উড অ্যাশ। মিশে যেত টাইবার নদীর স্রোতে। এই নদীতেই কাপড় পরিষ্কার করতেন রোমান নারীরা। তারাই প্রথম আবিষ্কার করেন, পাহাড় থেকে আসা উদ্বৃত্ত মিশে যাওয়ার কারণে কাপড় ধোয়া বেশ সহজ হয়ে উঠেছে। সাবান নিয়ে ভাবনার শুরুয়াত এখানে বলে মনে করা হয় ইতালিসহ আরও অনেক দেশে। রোমান সাহিত্য তালাশ করে আরও জানা যায়, প্রথম শতাব্দীতে লেখক প্লিনি দ্য এল্ডার সাবান বিষয়ে লিখেছেন। সেই লেখার তথ্য বলছে, ট্যালো ও অ্যাশ থেকে তৈরি করা হতো তখনকার সাবান। সেখান থেকে ধীর পদক্ষেপে তৈরি হয় সৌন্দর্য সাবান। সাবান শুধু ময়লা পরিষ্কারের দায় নিয়ে আসেনি- এই ধারণাই বদলে দেয় পুরো শিল্পকে।
সাবানের পরে শাওয়ার জেল, বডি ওয়াশ, বাথ বম্ব বাজারে এসেছে। সঙ্গে এনেছিল স্পা লাইক স্নানের আশ্বাস। তবু মুছে ফেলা যায়নি বার সাবানে নির্ভরতা। কয়েক দশক ধরে লিকুইড ক্লিনজার বাজারে আধিপত্য বজায় রেখেছে এবং স্কিন ক্লিনজিং প্রাধান্য পেয়েছে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিউটিফিকেশন বারের রিফর্মুলায় ভাবা হয়েছে স্কিন কেয়ার বেনিফিট নিয়ে। তাই পুরোনো বেসিককে পাশে সরিয়ে যোগ হয়েছে নতুন অনেক কিছু। ময়শ্চারাইজিং লিপিড ব্যবহৃত হয়েছে বিভিন্ন ফ্লেভারে। যেমন শিয়া বাটার, কোকো আর জলপাই তেল। ত্বক কোমল রাখার গুণ আছে এসবে। এক্সফোলিয়েন্টস হিসেবে গুঁড়া করা ওটস, চালের গুঁড়া, ফলের এনজাইম ব্যবহারের চল এসেছে। বেশ কিছু বিশেষ গুণসম্পন্ন উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে ক্রেতার চাহিদা বুঝে। এই তালিকায় আছে নিয়াসিনামাইড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, টারমারিক, অ্যাকটিভেটেড চারকোল। এগুলোর প্রধান কাজ ত্বকের উজ্জ্বলতা ও কমনীয়তা বৃদ্ধি। বেশ কিছু সোপ ব্র্যান্ড সচেতনভাবে সিনথেটিক ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার বন্ধ করেছে। যেমন সোডিয়াম ডাইক্লো সালফেট, প্যারাবেন সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এই শিল্পের বেশ কিছু ব্র্যান্ড এখন উপাদানের বিস্তারিত খুব গুরুত্বের সঙ্গে লিপিবদ্ধ করে। মোড়কেই উল্লেখ থাকে সেখানে কী কী আছে। বোটানিক্যালসের আনকোরা ব্যবহার, সিঙ্গেল অরিজিন তেল এবং হ্যান্ডক্রাফটেড টেক্সচার যোগ হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী সাবানেও এসেছে পরিবর্তন। হাতে তৈরি সাবানের দারুণ গ্রহণযোগ্যতা এক দশক ধরে। ক্রেতা আস্থা তৈরি হয়েছে সেখানেও। সাবান শিল্পের জায়ান্টদেরও দেখা যাচ্ছে প্রিমিয়াম লাইন নিয়ে কাজে আগ্রহী হতে। ধারণা করা হয়, ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার আছে নতুন ধারার বিশেষ এসব সাবানের।
মুকুটে নতুন পালক
বিউটিফিকেশন সোপ মূলত অভিজ্ঞতা বিক্রি করে। একটি সুগন্ধি, সুন্দর নকশা করা সাবান মেখে স্নানের ক্ষণকে মধুর করে তোলার প্রত্যয় মিশে থাকে এই প্রসাধনে। স্নান পৃথিবীর অন্যতম মাইক্রো রিচুয়াল। আর সুগন্ধ মানব মনের মনোযোগ ও মুড- দুই জায়গাতেই প্রভাব রাখে। ফেনাময় স্নান দেহকে দেয় আরাম। উপস্থিত এক্সফোলিয়েন্টও ত্বককে যত্নের স্পর্শ বুলিয়ে দেয়। মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা ও শিল্প বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সৌন্দর্যপণ্য কেনা প্রায়ই পরিচয় প্রকাশের কাজ করে- ভোক্তারা এমন ব্র্যান্ড বেছে নেন, যা তাদের মূল্যবোধ (প্রাকৃতিক, মিনিমালিস্ট, হস্তশিল্পনির্ভর) প্রকাশ করে। আর আচারগতভাবে ব্যবহৃত এসব পণ্য মানসিক স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ায়।
এক জরিপে জানা যায়, বাজারে বিউটি সোপের অবস্থান। বার সোপ মার্কেটের ভ্যালু ২০৩০ সালে মাল্টি বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে যাবে। একই সঙ্গে অর্গানিক সোপ সেগমেন্টও কলেবরে বাড়বে বলে ধারণা করা হয়। বিউটি সোপের মেজর কোম্পানিগুলো টেকসই, রিফিলেবল আর প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের সাবানের বাজার দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ থেকে বোঝা যায়, এই ক্যাটাগরিগুলো বেশ আকর্ষণের জায়গা তৈরি করতে পেরেছে। বার সাবানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কাজ করবে যে বিষয়গুলো, সেসবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটির কথাই বলা যাক। প্রথমত প্রিমিয়াম কোয়ালিটি ও ন্যাচারাল বারের প্রতি ক্রেতা চাহিদা; দ্বিতীয়ত করপোরেট ইনভেস্টমেন্ট। সাবানের বাজার বড় হওয়ার পেছনে কাজ করতে পারে আরও কারণ।
টেকসই তত্ত্বের আখ্যান
সাবান তার প্যাকেজিং থেকে বেশ নাটকীয়ভাবে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে; যা একসময় পরিবেশের ক্ষতি করার জন্য দায়ী হিসেবে প্রমাণিত। পরিবেশসচেতন ক্রেতারা এ ধরনের উপাদান ব্যবহারের সম্পূর্ণ বিপরীতে অবস্থান করেন। ফলে বার সোপ উদ্যোক্তারাও দিয়েছেন সেদিকে মনোযোগ।
ইনগ্রেডিয়েন্ট ট্রান্সপারেন্সি
ক্রেতারা এখন জানতে চান, তাদের ক্রয় করা পণ্যে কী কী উপাদানের উপস্থিতি আছে। আগে এই চাহিদা সেভাবে ছিল না বললেই চলে। বর্তমান সময়ের বার সাবান এর মোড়কেই উল্লেখ করে দিচ্ছে, কী কী উপাদানের মিশ্রণে তৈরির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
ক্লিন-লেবেল ডিমান্ড
ক্রেতা এখন সার্টিফিকেটের দিকেও মনোযোগ দিচ্ছেন বেশ। জানতে চাচ্ছেন, পণ্যটি প্রকৃতির কোনো ক্ষতির কারণ কি না। রাসায়নিকের বাইরে শতভাগ অর্গানিকে থাকতে চাচ্ছেন অনেকে। ভেগান পণ্যও আলাদা মার্কেট শেয়ার নিয়েছে। ক্রুয়েলটি ফ্রি পণ্যও চাচ্ছেন অনেক ক্রেতা। এসব তথ্য সাবানের ব্র্যান্ডগুলো গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করছে তাদের প্যাকেজিংয়ে।
প্রিমিয়াম সেন্সরি পজিশনিং
সাবানের সঙ্গে স্নায়ুর সম্পর্ক নিয়েও তৈরি হয়েছে সচেতনতা। প্র্যাকটিসও করছেন অনেকে। আগের মতো সলিড একটি বার তৈরিতেই শেষ হচ্ছে না দায়িত্ব। সেখানে আরও স্পষ্ট হয়েছে, সাবানের আকার ব্যবহারকারীর হাতে ধরার জন্য কতটা উপযোগী, কেমন নকশায় বাড়বে এই সাবলীলতা, টেক্সচার কেমন হলে ভালো লাগবে, কেমন সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়েছে, সিঙ্গেল অরিজিন বাটার ব্যবহার করা হয়েছে কি না- এসব বিষয়।
বাজার বয়ান
 সাবানের বাজারের কলেবর বেশ বড় এবং ২০৩০-এর দশক পর্যন্ত দ্রুতগতিতে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যায় গবেষকদের মাধ্যমে। ধারণা করা হয়, প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বার সোপ এখানে প্রাধান্য পাবে। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি সাবানের চাহিদাও বাড়বে। অর্গানিক ও ন্যাচারাল লেবেল সমৃদ্ধ সাবানের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। কারণ, ক্রেতারা ক্লিন লেবেলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
 নতুন ফর্মুলেশন ব্যবহার করে বার সাবানও ত্বকের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ করা সম্ভব। এ ধরনের বারগুলোতে এখন এনজাইম্যাটিক এক্সফোলিয়েন্ট এবং লিপিড-রিপেয়ার কমপ্লেক্সের মতো সক্রিয় উপাদান যুক্ত হচ্ছে।
 মিনিমাল প্যাকেজিং ক্রেতাদের বার সাবান বিমুখ করছে না; বরং আগ্রহী করে তুলছে। এখানেও দেখা যাচ্ছে সম্ভাবনা। পরিবেশের ক্ষতি এবং কাগজ ও প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে।
কড়ি দিয়ে কিনলাম
সাবানের দাম অনেক ক্ষেত্রে কম হয়। সে যে শুধু সাইজে ছোট বলে, তা কিন্তু নয়। দাম কেমন হচ্ছে আর তার ব্যবহার কতটা সহজ, তা নিয়ে ভাবনা থেকেই যায়। এখানেও সাবান ইতিবাচকতা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়েছে। ট্রাভেল ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠছে। দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায় এবং খুব বেশি খরচ করতে হয় না। আবার দামি সাবান কিনতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। সাধ্যের মধ্যে চাহিদা মিলিয়ে কিনলেই চলবে।
বার সাবান এখন কেবল পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম নয়; বরং টেকসই, কার্যকরী ও প্রিমিয়াম কেয়ারের প্রতীক। ক্রেতারা এখন আরামদায়ক, পরিবেশবান্ধব ও প্রমাণভিত্তিক বার প্রোডাক্টের দিকে ঝুঁকছেন। বিউটিফিকেশন বার যদি আবারও বাজিমাত করতে চায়, তাহলে কিছু বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকা চাই। বার প্রোডাক্টে আরও প্রমাণভিত্তিক সক্রিয় উপাদান যোগ করা যেতে পারে। যেমন এনজাইম্যাটিক এক্সফোলিয়েন্ট, স্থিতিশীল উদ্ভিদ নির্যাস এবং লিপিড-রিপেয়ার কমপ্লেক্স। সার্টিফিকেশন, ট্রেসেবিলিটি ও এথিক্যাল সোর্সিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিতে পারে। কারণ, ক্রেতারা এখন এই বিষয়গুলো দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। মিনিমাল প্যাকেজিং দেখেও ক্রেতাদের বার সাবান কেনার আগ্রহ বাড়ছে; যা ভবিষ্যতে হয়তো আরও বাড়বে। এ ছাড়া বাজারের কলেবর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হয়।
সাবান শুধু বিলাসিতা নয়, প্রয়োজন। ধরণি এখন নানা ভারে জর্জরিত, এ সময়ে টেকসই তত্ত্বে যদি কিছু ভার কমিয়ে আনা যায়, তবে তাই-ই সই। এই ভাবনাতেই ক্রেতারা পুনরায় ভাবছেন গোসলে সাবানের যোগ নিয়ে।

মডেল: ইয়ুমনা, তিস্তা ও বর্ণিতা
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: লাক্সের সৌজন্যে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top