নখের সাজে অ্যাক্রিলিকের জয়গান চলছে সৌন্দর্য দুনিয়ায়। বিলি আইলিশের মতো তারকা থেকে শুরু করে সৌন্দর্য সচেতন সাধারণ তরুণী– সবাই বেশ কাবু এ ঘোরে! আমেরিকান উইমেন ফ্যাশন ম্যাগাজিন “হারপার’স বাজার” সূত্রে জানা যাক বিস্তারিত।
কাকে বলে অ্যাক্রিলিক নেইলস?
অ্যাক্রিলিকস হলো লিকুইড মনোমার ও পাউডার পলিমারের একটি কম্বিনেশন। এ দুটিকে একসঙ্গে পেস্ট করে, ন্যাচারাল নেইলে আনা যায় চমক জাগানিয়া সৌন্দর্য। এর বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য আপনার দেহ-মনে এনে দেবে ফুরফুরে অনুভূতি। আপনাকে অনেকের ভীড়ে করে তুলবে একেবারেই আলাদা।
অ্যাক্রিলিক নাকি জেল নেলস– কোনটা ভালো?
এ দুটিই যেহেতু ন্যাচারাল নেইলের জায়গায় আর্টিফিসিয়াল নেইলের চমক এনে দেয়, তবে জেল নখকে তুলনামূলক বেশি গ্লসি ও ন্যাচারাল করে তুলে বলে এ ক্ষেত্রে একটি ইউভি লাইটের প্রয়োজন পড়েই।
এদিকে, হারপার’স বাজারকে স্যালি হ্যানসের এক্সপার্ট হানা লি জানান, ‘জেলের তুলনায় অ্যাক্রিলিক বেশি বলিষ্ঠ, ফলে নখের এই সৌন্দর্যের স্থায়ীত্বও বেশি।’
তিনি আরও বলেন, আপনি যদি আপনার নখের পরিধি একটু বাড়িয়ে তুলতে চান, তাহলে অ্যাক্রিলিক ব্যবহার করুন; তবে যদি নখে ধরে রাখতে চান ন্যাচারাল লুক, সে ক্ষেত্রে জেলই শ্রেয়।
কতটা নিরাপদ?
অ্যাক্রিলিক নেইলসে শুধু যে সুখবরই শোনা যায়, তা কিন্তু নয়। ২০১৬ সালে বিউটি ব্লগার অ্যামেলিয়া পেরিনের ভাইরাল স্টোরিটি আমাদের ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না। মাত্রাতিরিক্ত রকমের অ্যাক্রিলিক নেইলসের অ্যাডিকশন তার নখের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে উঠেছিল। তবে সার্বিকভাবে জানা যায়, অ্যাক্রিলিক নেইলস সাধারণত নখের কোনো ক্ষতি করে না; অবশ্য আপনি যদি এর যথেচ্ছ প্রয়োগ ও নিকৃষ্ট মানের রিমুভাল ব্যবহার করেন, তাহলে ভিন্ন কথা।
হানা লি বলেন, ‘অ্যাক্রিলিকের একটু বদনাম হয়ে গেছে; তবে অন্য কোনো আর্টিফিসিয়াল নেইল প্রোডাক্টের তুলনায় এটি আপনার নখের বেশি ক্ষতি করবে– এমনটা ভাবা ঠিক নয়।’
স্থায়িত্বের মারপ্যাঁচ
অ্যাক্রিলিক কোনো ট্রেডিশনাল নেইল পলিশের মতো নয়, বরং এর স্থায়ীত্ব বেশ বেশি। এই নেইল আর্টে নখ সাজিয়ে আপনি পার্টি থেকে সমুদ্র সৈকত– যেকোনো জায়গায় নিশ্চিন্তে বিচরণ করতে পারবেন। হানা লি জানান, ঠিকঠাক যত্ন নিলে অ্যাক্রিলিক নেইলের স্থায়ীত্ব দু’মাস পর্যন্তও হতে পারে!
তিনি বলেন, “ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর্যন্ত টিকতে পারে অ্যাক্রিলিকস; তবে ‘আপনার নখের বৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে প্রতি দুই-তিন সপ্তাহে একবার করে ‘ফিল’ করানোর দরকার পড়তে পারে।” ‘ফিল’ করানো মানে, নখের বটম থেকে কিউটিকল পর্যন্ত একটি প্রফেশনাল টাচ-আপ দেওয়া।
তবে যা-ই করুন, কোনো বিউটি এক্সপার্টের সাহায্য নিতে ভুলবেন না!