তখনো পৃথিবীর মাটিতে মানুষের শাসন ছিল না। এ গ্রহে বাস করতো বড়, ছোট ও মাঝারি আকারের কিছু জীব। তাদের সামগ্রিক নাম ডাইনোসর। এরা ছিল তৃণভোজী। মাঝেমধ্যে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে একে অপরকে ধ্বস করে দিত। কিন্তু পৃথিবীর বিবর্তনের ধারায় একটি দুর্ঘটনা মুছে দেয় ডাইনোসরদের সাম্রাজ্য। তারা হয়ে যায় মাটির নিচের ইতিহাস। এখনো বিজ্ঞানীরা তাদের জীবাশ্ম খুঁজে পায় মাটির গভীরে। মাঝেমধ্যে এত প্রকাণ্ড কঙ্কাল আবিষ্কৃত হয় যে মানুষের চোখ তা দেখে ছানাবড়া হয়ে যায়।
এবার আর্জেন্টিনার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিজ্ঞানীরা প্রাচীন ডাইনোসরের একটি জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন। এটি মাঝারি মাপের ঘাড় এবং লম্বা লেজবিশিষ্ট চার পায়ের একটি ডাইনোসর। এ জীবাশ্ম দেখে এটিকেই সর্বকালের বৃহৎ প্রাণী বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইনজেটিয়া প্রিমা’ যার বাংলা অর্থ ‘প্রথম দানব’।
জীবাশ্মটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৩ ফুট ওজন প্রায় ১০ টন। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, প্রায় ২১ কোটি বছর আগে ট্রাইয়াসিক সময়ে এজাতীয় ডাইনোসর বসবাস করত। আবিষ্কৃত ইনজেটিয়া প্রিমা ‘সেরোপডস’ নামের একটি ডাইনোসর গোত্রের প্রথম সদস্য ছিল।
ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা দৈত্য আকৃতি ইনজেটিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো চিহ্নিত করেছেন। এটি পাখির মতো শ্বাসযন্ত্রের কাজ পরিচালনা করত। শরীরের ভেতর বাতাসের মাধ্যমে অক্সিজেন নিতো বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।