দেশব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনে উদ্যাপিত হচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। সেই সঙ্গে জাতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছে সেই সব সূর্যসন্তানকে, যাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগে আমরা পেয়েছি আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তাদের লেখা চিঠি নিয়ে ২০০৯ সালে দৈনিক প্রথম আলো ও গ্রামীণফোনের উদ্যোগে প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয় সংকলন গ্রন্থ ‘একাত্তরের চিঠি’। এই ‘একাত্তরের চিঠি’ প্রকাশনার অবলম্বনে পত্রলেখক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিঠির অনুপ্রেরণায় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড কিউরিয়াস বিশেষভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করল।
এ উপলক্ষে ব্র্যান্ডটির বনানী ও মিরপুর আউটলেটের প্রতিটি ফ্লোর সাজানো হয়েছে জাতীয় পতাকার রঙের নানা উপকরণ ও সজ্জানুষঙ্গ দিয়ে। তবে প্রদর্শনের শুরুটা শো উইন্ডো থেকে। সেখানে ম্যানিকিনদের পরানো হয়েছে লাল-সবুজ রঙের পোশাক এবং স্বাধীনতা দিবস থিমে বানানো ব্র্যান্ডটির নতুন ডিজিটাল প্রিন্টের রিওয়াশেবল মাস্ক। ঠিক নিচেই মাটির পাত্রে রাখা হয়েছে একাত্তরের চিঠির রেপ্লিকা আর পেছনে ঝোলানো হয়েছে সাদা মসলিনে স্ক্রিন প্রিন্ট করা চিঠি। বনানী শোরুমে ঢুকতেই বাঁ দিকে থাকা ছোট গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনীর মতো করে ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখা হয়েছে চিঠির রেপ্লিকাগুলো।অন্যান্য ফ্লোরের দেয়ালে স্থান পেয়েছে এই চিঠির ফ্রেম। টপ ফ্লোর থেকে নিচতলা পর্যন্ত ঝোলানো হয়েছে সাদা মসলিনে স্ক্রিন প্রিন্ট করা চিঠি। এসবের পাশাপাশি ফ্যাশন হাউসের বিভিন্ন পণ্য যেমন গয়না, চামড়ার জুতা, শাড়ি তৈরির অনুষঙ্গ এবং যন্ত্রানুষঙ্গ বিচিত্রভাবে শোকেস এবং দেয়ালে বাঁধাই করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। অনন্য বৈচিত্র্যময় এই অন্দরসজ্জা বেশ মুগ্ধ করার মতো।
কিউরিয়াস লাইফস্টাইলের বয়স খুব বেশি নয়। পথচলার শুরু থেকেই তারা প্রাধান্য দিয়ে এসেছে বাংলাদেশের ঐতিহ্য, শিল্প, সংস্কৃতিকে। তাদের গৃহসজ্জার পণ্য থেকে শুরু করে পোশাক-আশাক- সবখানে রয়েছে ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার বৈচিত্র্যময় মেলবন্ধন। ইতিমধ্যে ঐতিহ্যবাহী ও আভাঁ-গার্ডে ফিউশনভিত্তিক পণ্য দিয়ে নজর কেড়েছে ফ্যাশনসচেতন মানুষদের। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কংগ্লোমারেট ডেকো লিগ্যাসি গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান কিউরিয়াস লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড। এর প্রধান উদ্যোক্তা ও চেয়ারম্যান এম শাহাদাত হোসেন কিরণ। ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং ডিজাইন কনসালট্যান্ট বর্ষীয়ান ডিজাইনার চন্দ্র শেখর সাহা। ব্র্যান্ডটির অন্দরসজ্জা, পণ্যনকশা ও উন্নয়নে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর নান্দনিকতাবোধ। সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের সজ্জাতেও রয়েছে তার বিশেষ অবদান। এই উদ্যাপন চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত কিউরিয়াসের বনানী ও মিরপুর আউটলেটে।